হরিণ লালন পালন
বর্তমান সময়ে হরিণ লালন পালন বিত্তবানদের একটা ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে । এতদসংক্রান্ত বিষয়ে অনেকেরই জিজ্ঞাসা থাকে । তাই লিখছি ।
হরিণসহ সকল ওয়াইল্ডলাইফ ফার্মিং এর লাইসেন্স প্রদানের মালিক বাংলাদেশ বন বিভাগ । দুই ধরণের লাইসেন্স তারা দিয়ে থাকেন ১) ব্যক্তি পর্যায়ের লাইসেন্স ২) খামার পর্যায়ের লাইসেন্স ।
হরিণের সংখ্যা ১১ পর্যন্ত বা তার নিচে থাকলে হবে ব্যক্তি পর্যায় । হরিণের সংখ্যা ১১ এর উপরে হলে হবে খামার পর্যায় । পছন্দ আপনার । দুই পর্যায়ের দুই ধরণের ফি । প্রথমে বন বিভাগে লাইসেন্সে জন্য আবেদন করবেন ।
কনজারভেটর অব ফরেস্ট (ওয়াইল্ডলাইফ) বরাবরেও করতে পারেন অথবা তাঁর অধীনস্থ ওয়াইল্ডলাইফ ডিভিশনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাদের নিকটও করতে পারেন ।
লাইসেন্সের ফরম পূরণের সময় একটি কলামে উল্লেখ করতে হয় হরিণ প্রাপ্তির উৎসের কথা । উৎস সরকারী বেসরকারী দুইই হতে পারে ।
বেসরকারী খামারগুলি থেকে যদি নিতে পারেন তাহলে সেই খামারের নাম ও ঠিকানাসহ একটি প্রত্যয়ন পত্র আবেদন ফরমের সাথে যুক্ত করে দিবেন । সরকারী উৎস হচ্ছে প্রাণিসম্পদের আওতাধীন বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা ও রংপুর চিড়িয়াখানা ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মূল্যায়ন কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য হরিণ প্রতি ৭০,০০০/- (সত্তর হাজার টাকা ) ।
এজন্য আপনি তিনটি টায়ারের যে কোন একটি টায়ারে আবেদন করতে পারেন । সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়/মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর/কিউরেটর , বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা ।
আপনার আবেদনের প্রেক্ষিতে হরিণ বিক্রয়যোগ্য হরিণের মজুদ থাকলে আপনি হ্যাঁ সূচক একটি রেসপন্স পাবেন ।
এই রেসপন্সটি আপনার লাইসেন্সের আবেদনে যুক্ত করে দিবেন । উৎসের কনফারমেশন পেলে বনবিভাগ আপনাকে একটি এনওসি (না দাবী সনদ পত্র ) ইস্যু করবে ।
এনওসি হাতে পেয়ে রিসিট কেটে সরকারী বিধি মোতাবেক হরিণ ক্রয় করে রিসিট নিবেন । পূনরায় এই মানি রিসিট বন বিভাগে প্লেস করলে মূল লাইসেন্স পেয়ে যাবেন ।
মনে রাখবেন মূল লাইসেন্স হাতে না পেলে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ আপনার কাছে হরিণ হস্তান্তর করবেন না ।
প্রকাশ থাকে যে, আপনার লাইসেন্সের আবেদনের প্রেক্ষিতে হরিণ লালন পালনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ আপনার আছে কীনা বন বিভাগ সেটাও যাচাই করে দেখবে ।
হরিণ লালন পালন একটা পজিটিভ দিক । এভাবে যুগ যুগ করে হরিণ পালতে থাকলে এক সময় ছাগলের মত গৃহপালিত প্রাণিতে রুপান্তরিত হবে ।