Breaking News

Tips

ভি আই পি প্রশ্ন এবং উত্তর।

চিকিৎসা বা এন্টিবায়োটিক কখন দিবো? অযথা মেডিসিন না দিলে খামারী কেন মন খারাপ করে?

প্রশ্ন ১।পিক প্রোডাকশন কতদিন থাকবে তা কিসের উপর নির্ভর করে?

উত্তর:২০ সপ্তাহের আগের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বডিওয়েট এবং ইউনিফর্মিটির উপর নির্ভর করে।পাশাপাশি পিকের ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করে।

প্রশ্ন ২।৫০ সপ্তাহের পর মুরগি ভাল প্রোডাকশনে থাকবে কিনা তা কিসের উপর নির্ভর করে?

উত্তর:পিক প্রোডাকোশনের ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করে।পাশাপাশি ৫০ সপ্তাহের পরের ব্যবস্থাপনার উপরও নির্ভর করে।

প্রশ্ন ৩। কত পার্সেন্ট পিকে উঠবে তা কিসের উপর নির্ভর করে?

উত্তর:মুরগির ইউনিফর্মিটির উপর নির্ভর করে।

প্রশ্ন ৪।মুরগি সুস্থ থাকবে কিনা তা কিসের উপর নির্ভর করে?

উত্তর:পিকের ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করে।গ্রোয়িং পিরিয়ড হলে ১ম ৪ সপ্তাহের উপর নির্ভর করে।

প্রশ্ন ৫।খামারী ঝরে পড়ে কেন

উত্তর:ডাক্তারের পরামর্শ এবং ট্রেনিং ছাড়া ভুল পদ্ধতিতে সেড করলে এবং ডাক্তারের অধীনে ফার্ম পরিচালনা না করলে।১ম কয়েকটা ব্যাচ ভাল হতেই পারে এটা ব্যতিক্রম।তাছাড়া ভাগ্যের একটা ব্যাপার থাকে।

প্রশ্ন:৬ সমস্ত ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে কে ম্যানেজ করতে পারে।

উত্তর : একজন দক্ষ ডাক্তার।

প্রশ্ন ৭ কিভাবে ডাক্তার দেখানো ভাল।শুধু মাত্র হঠাত প্রয়োজনে নাকি স্থায়ীভাবে সব বিষয়ে?

উত্তর:স্থায়ীভাবে সব সময়ের জন্য।অসুস্থ হয়ে গেলে চিকিৎসা করে ফার্মকে লাভজনক করা কঠিন।অনেক ক্ষেত্রে অসম্বব।

৮।খামারির পরামর্শ অনুযায়ী ডাক্তারকে কাজ করতে দিলে কার ক্ষতি?

একজন খামারী যখন ডাক্তারকে চালাবে তখন খামারীর জন্য ক্ষতিকর হবে।

ডাক্তারকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে।কারণ ডাক্তার জানে কখন কোথায় কি করতে হবে।

প্রশ্ন ৮.আপনি কি একজন দক্ষ ডাক্তার দ্বারা নতুন ফার্ম করতে চান অথবা পুরান ফার্ম গুলো আমার অধীনে পরিচালনা করতে চাচ্ছেন।শর্ত আলোচনা সাপেক্ষে।

প্রয়োজনে আমার নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।০১৭১৭৩০০৭০৬

@@@@@

চিকিৎসা বা এন্টিবায়োটিক কখন দিবো? অযথা মেডিসিন না দিলে খামারী কেন মন খারাপ করে?

মেডিসিন/এন্টিবায়োটিক কখন দেয়া উচিত:

১।ব্যাক্টেরিয়াল ডিজিজের ক্ষেত্রে সাথে সাথে দিতে হবে যত দেরি তত ক্ষতি।

২।ভাইরাল ডিজিজে ৩-৪দিন পরে।

৩।মেটাবলিকে এন্টিবায়োটিক দেয়া যাবে না।

৪।স্পোরাডিজ ডিজিজে এন্টিবায়োটিক দেয়া যাবেনা।

৫.এসাইটিস,পাইলিং/শীতে এন্টিবায়োটিক দেয়া যাবেনা।

৬।দূর্বল/বাতিল বাচ্চা মারা গেলেও এন্টিবায়োটিক /মেডিসিন দেয়ার দরকার নাই।

৭।স্ট্রেস/ধকল জনিত মারা গেলেও এন্টিবায়োটিক দেয়া যাবেনা।

৮।এন্টিবায়োটিক এর কোর্স দেয়ার পরেও মারা গেলে এন্টিবায়োটিক দেয়ার দরকার নাই।

৯।এক্সিডেন্টাল/প্রানীর আক্রমন জনিত মৃত্যু হলে এন্টিবায়োটিক দেয়া যাবে না।তাই আগে জানতে হবে কিভাবে মারা গেল।

১০।মাইকোটক্সিকোসিস জনিত মারা গেলেও এন্টিবায়োটিক দেয়ার দরকার নাই।

নোট: মারা যাচ্ছে কিন্তু ডাক্তার এন্টিবায়োটিক দিচ্ছে না এতে অনেক খামারীই মন খারাপ করে ভুল ধারণা পোষণ করে থাকে।

এন্টিবায়োটিক ডাক্তারের লাভ ছাড়া লস নাই।লস হবে খামারীর।কাজেই খামারী হবার আগে অনেক কিছু জানা উচিত।

এতে অনেক খরচ কমে যায়।বর্তমানে তারাই লাভ বেশি করে যাদের খরচ কম হয়।

একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারই এসব বুঝে চিকিৎসা দেয়।কাজেই মেডিসিন চালানোর অতি আগ্রহ খামারীর জন্য লস।

নোট:১

টক্সিসিটির হলে আমরা অনেক সময় টক্সিন বাইন্ডার/নিউট্রালাইজার দিয়ে থাকি।

খামারী পরেরদিন বা কয়েকদিন পর কল দিয়ে বলে থাকে টক্সিসিটি ভাল হয়নি।

মনে রাখতে হবে মাইকোটক্সিকোসিস ভাল হবার বিষয় না।এটা দেয়া হয় ভাল মুরগি যাতে ভাল থাকে।লিভার এবং কিডনি ঠিক রাখার জন্য।

মর্টালিটি বন্ধ করার সুযোগ নাই।

টক্সিন বাইন্ডারের মেইন কাজ খাবারের টক্সিসিটি কম রাখা মানে প্রিভেন্টিভ হিসাবে কাজ করে খাবারে।চিকিৎসায় নয়।

টক্সিন যুক্ত খাবার বন্ধ করতে হবে।

নোট :২

খাবারে সমস্যা মানেই মাইকোটক্সিন খামারী নরমালি সেটাই ভাবে।

খাবারে সমস্যার কারণে সালমোনেলা/টাইফয়েড,কক্সিডিওসিস এবং মাইকোটক্সিকোসিসের কারণে মুরগি মারা যেতে পারে।তাই শুধু মাইকোটক্সিন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

নোট:৪

হার্টে,মাংসে এবং এবডোমিনাল ফ্যাটে হেমোরেজ মানেই কলেরা বা এ আই বা গাম্বোরু না।

মাইকোক্সিন ও হতে পারে।এটাই এখন অনেক পাওয়া যায়।

নোট:৫

শুধু পি এম এবং মরা মুরগি দেখেই রোগ নির্ণয় করা যাবে না। ফার্মের সুস্থ মুরগির দিকেও তাকাতে হবে, ভাবতে হবে এবং রোগ নির্ণয় করতে হবে।

আমরা পি এমে যা দেখি তা অনেক সময় বাদ দিতে হবে বরং যা দেখিনা তা দিয়েই ডায়াগ্নোসিস করতে হবে।

নোট:৬

হিস্ট্রি না নিয়ে ডিজিজ ডায়াগ্নোসিস করা মানে ভুল ডায়াগ্নোসিস করা।

অধিকাংশ থেকে সঠিক ভাবে হিস্ট্রি না নিয়েই ডায়াগ্নোসিস করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।আমার কাছে অনেকেই চিকিৎসা চায় যারা হিস্ট্রি না বলে বরং লক্ষণই বলে থাকে বেশির ভাগ।

নোট:৭

ডাক্তারের দক্ষতার (Better stage) হল শুধু হিস্ট্রি নিয়ে ডায়াগ্নোসিস করা।চূড়ান্ত এবং (Best stage) হল সঠিক প্রোগ্নোসিস করা।

নোট:৮

মুরগি ভাল করে দেয়া ডাক্তারের কাজ নয়।ডাক্তারের কাজ রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা এবং প্রোগ্নোসিস করা।

নোট:৯

আমরা রোগের বিভিন্ন মেডিসিন দিয়ে থাকি।কিন্তু (সময়) ও একটা মেডিসিন। কিছু সমস্যা/রোগ সময়ের প্রেক্ষিতে ভাল হয়।কিছু জটিল আক্রান্ত মুরগি থাকে যা ভাল হয় না। সেসব আক্রান্ত মুরগি মারা যাবার পর বাকি গুলো মারা যায় না।এ ক্ষেত্রেও সময়ই বড় মেডিসিন।

মারেক্স এবং লিউকোসিস সহ আরো অনেক রোগ আছে যা নির্দিস্ট সময় পর আর মারা যায় না।মানে সময়ই মেডিসিন।

চিকিৎসা অনেক দেয়া হয়েছে। এরপর ও মারা যায়।অপেক্ষা করেন হয়ত চিকিৎসা ছাড়াই কিছুদিন পর ভাল হয়ে যাবে।অনেক রোগই আছে যাদের নির্দিস্ট মর্টালিটি আছে যা নির্দিস্ট সময় পর ভাল হবে।এমন কি চিকিৎসা না করলেও ভাল হতে পারে।আবার চিকিৎসা করার পর সাথে সাথে বা কিছুদিন পর ভাল হয়ে থাকে।

একমাত্র ব্যাক্টেরিয়াল রোগের ক্ষেত্রেই চিকিৎসার পর মুরগি সুস্থ হয়ে যায়/যাবে যদি সঠিক ডায়াগ্নোসিস ও চিকিৎসা দেয়া যায়।ভাইরাল ডিজিজে তা সম্ভব না। ব্যাক্টেরিয়াল ডিজিজের ক্ষেত্রে একমাত্র এন্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন দিলে ১-২দিনের মধ্যে মর্টালিটি বন্ধ করার সুযোগ আছে।বিশেষ করে কলেরা এবং টাইফয়েড।অবস্থা বুঝে এবং দরকার হলে ইঞ্জেকশন দিতে হবে।অনেকেই ইঞ্জেকশন দিয়ে চায় না ফলে মুরগি বিক্রি করতে বাধ্য হয়।তবে অবস্থা বুঝে এবং দরকার হলে ইঞ্জকশনে যেতে হবে।

নোট:১০

একবার ইঞ্জেকশন দিলে সারা বছর ইনজেকশন দিতে হবে,এমন ধারণা ঠিক না।চিকিৎসা হবে ঝোপ বুঝে কোপ মারার মত।উলটা পালটা করলে হিসাব মিলবেনা।

নোট:১১

ইনজেকশন দিলে ডিম কমে যায় সেটা ভুল।ডিম কমে অসুস্থতার জন্য জরায়ু নস্ট হবার কারণে।তাছাড়া খাবার কম খাওয়া এবং ধকলের কারণে ডিম কমে।

নোট :১২

চিকিৎসা হলে রোগের ধরণ/অবস্থার।অথচ চিকিৎসা করা হয় রোগের যা ভুল।এক লাম্পিই ১৭ ধরণের তাই চিকিৎসাও ১৭ ধরণেও হবে।লাম্পির না।

@@@@

আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে এখন ফার্মের জন্য করণীয় কি।

এক মাসের একটা শিডিউল মেনে চললে অনেক অপকারে আসবে।

স্ট্রেস/ধকল কমানোর জন্য

১।রেজিও/ডিজিম্যাক্স/ইকসি ভেট ৫-৭দিন।

২।প্রবায়োটিক(প্রটেক্টর/প্রটেক্সিন)

৫-৭দিন

৩।ইসেল/ই কেয়ার৷ ৫দিন

৪।রেনা সি/রেভিট সি/সিভিট ভেট/ এন ভিট সি ৫দিন

৫।জিফ্লু ভেট/ ও জিংক /সলুজিংক ৫দিন।

৬।মাল্টিভিটামিন ৫দিন

৭।মাইকোপ্লাজমার ডোজ ৪-৫দিন।

৮।মাইকোপ্লাজমার ডোজ ৩-৫দিন

৯।টাইটার দেখে অথবা অবস্থা বুঝে ভ্যাক্সিন দিতে হবে।

নোট: আন্দাজে ভ্যাক্সিন করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।এ আই/রানিক্ষেত/কলেরা/আই বি হতে পারে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারই বলতে পারে কখন ভ্যাক্সিন করা লাগবে।

আমার পরামর্শ অনুযায়ী ফার্ম পরিচালনা করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।

০১৭১৭৩০০৭০৬

মাসিক ভিজিট ব্যাচ হিসাবে ১হাজার টাকা।

লেয়ার হলে আলোচনা সাপেক্ষে।

নোট: না বুঝে নিজে নিজে বা আন্দাজে দেখাদেখি মুরগি পালন করলে হয়ত কয়েক টা ব্যাচ ভাল হতে পারে কিন্তু পরের ব্যাচগুলিতে সমস্যা হলে আগের লাভ সহ অতিরিক্ত লস হয়ে যেতে পারে।একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার সিজন ও বয়স অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে।এতে মুরগি ধকলে পড়েনা

ধকল না পড়লে মুরগি অসুস্থ হয় না।

১।সেকেন্ডারী ইনফেকশন:

এটার ওছিলায় ফার্মে কেজির কেজি এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে।এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যানস হচ্ছে।খামারীর পকেট কাটা হচ্ছে।এন্টিবায়োটিক দরকার আছে তবে ফিল্ডে যা হচ্ছে এত বেশি দরকার নাই।

২.সাপোর্টিং ট্রিটমেন্ট:

এক্টা এন্টিবায়োটিক দিলে এখন আর খামারীর মন ভরেনা এমন কি ডাক্তারদের কেমন কেমন লাগে।একটি এন্টিবায়োটিক দিলে নাকি দূর্বল হয় তাই সেটাকে সাপোর্ট দিয়ে দাড় করাইয়া রাখতে আরেকটি এন্টিবায়োটিক দিতে হয়।যে এন্টিবায়োটিক দিলে সাপোর্ট লাগে সেটার দরকার কি!

৩.ব্রুডিং এ কোন এন্টিবায়োটিক দিবো:

ব্রুডিং এ প্রয়োজনে হলে এন্টিবায়োটিক দেয়া যায় তবে দিতেই হবে এমন না।এন্টিবায়োটিককে বাধ্যতামূলক ভাবে দেয়া ঠিক না।

৪।অতিরিক্ত খরচ কমাতে পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করতে পারেন।

ভি আই পি টিপস

শুধু রেডি ফিড দিয়ে কি লেয়ার মুরগি পালা সম্বব?

উত্তর না কারণ বয়স ও প্রোডাকশন অনুযায়ী ফিড খাওয়ানো সম্ভব হয় না।ফিডগুলো সারা বছরের জন্য এভারেজ হয়ে থাকে।

আবহাওয়ার সাথে খাবারের কিছু ব্যাপার থাকে।তাছাড়া পিক প্রোডাকশনের ব্যাপার থাকে।এই পিকে পানিতে বা খাবারে অতিরিক্ত ভিটামিন মিনারেলস,এমাইনো এসিড,প্রবায়োটিক,জিংক দিতে হবে।

৫০ সপ্তাহের পরে লেয়ার ২ খাবার দিতে হয় কিন্তু খামারি খাওয়াতে চায় না।তাছাড়া লেয়ার ২ দিলে ডিম কমে যায়।

তাই বিকল্প হিসাবে পানিতে ক্যালসিয়াম,এডিই এবং ডি ব্যালেন্স বা ঝিনুক ভাংগা দিতে হবে।

১৯-২২ সপ্তাহে প্রিলেয়ার ফিড খাওয়াতে হয় কিন্তু সম্ভব হয় না।অল্প খাবার লাগে বলে ডিলার আনেনা।তাই বিকল্প হিসাবে পানিতে ১৯-২২ সপ্তা ক্যালসিয়াম দিতে হবে বা গ্রোয়ার এবং লেয়ার ১ মিক্স করে খাওয়াতে হবে।

০১৭১৭৩০০৭০৬.

##এই সব কিছুই আমার লেখা বইয়ে পাবেন।(সহজে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা নামক বইয়ে)

আমাদের দেশে অধিকাংশ খামারী নিচের বিষয়ে সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারেনা।

১. ব্রুডিং

২.মুরগির বয়স অনুযায়ী ব্যবস্থা

১-২ সপ্তা,৩-১০ সপ্তা,১১-১৬ সপ্তা,১৭-২২ সপ্তা,২৩-৫০ সপ্তা।

৫১-৮০ সপ্তা,৮১-১০০ সপ্তাহ।

৩.প্রোডাকশন পিরিয়ডে ব্যবস্থা

৪।পিক পিরিয়ডে ব্যবস্থাপনা

৫.আবহাওয়াজনিত ব্যবস্থাপনা

৬.সিজনাল ব্যবস্থাপনা(শীত,বর্ষা ও গীষ্ম)

৭.স্ট্রেস ব্যবস্থাপনা

৮.ডিবেকিং ব্যবস্থাপনা

৯. ভ্যাক্সিনেশন ব্যবস্থাপনা

১০.কৃমিনাশক

১১.সাল্মোনেলা ও মাইকোপ্লাজমাল ব্যবস্থাপনা

১২.পর্দা ব্যবস্থাপনা

১৩.লিটার ব্যবস্থাপনা।

১৪.খাবার ব্যবস্থাপনা

১৫ মেডিসিনাল ব্যবস্থাপনা

১৬.।ইউনিফর্মিটি

১৭.বডিওয়েট

১৮.মোল্টিং ব্যবস্থাপনা

১৯.আর্লি ডায়াগ্নোসিস এবং সতর্কতা

২০.বাচ্চা এবং অতিলোভ ব্যবস্থাপনা

২১.দক্ষ ডাক্তার দ্বারা রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সহ অন্যান্য সকল কাজের ক্ষেত্রেই অনেক ভুল করে থাকে।এতে মুরগির সমস্যা সহ খরচ অনেক বেশি করে থাকে।হাজারে ৫-১০টাকা বেশি খরচ করে।নিজেরাই খুরগিকে ধকলে রাখে।ভুল করে মুরগি বিক্রিও করে দেয়।রোগ না বুঝার কারণে দেরি করায় মুরগি বিক্রি করতেও বাধ্য হয়।

উপরের উল্লেখিত২১টি বিষয় দক্ষতার সাথে ম্যানেজ না করতে পারলে ফার্ম লাভজনক হবে না।খরচ ২৫% এর বেশি হবে অথবা কয়েক বছর পর খামারী হারিয়ে যাবে।

নতুন যারা ফার্ম করবেন তাদের জন্য আছে আরো অনেক বিষয় যেমন ফার্ম করার আগে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে নির্দিস্ট জায়গায় পূর্ব পশ্চিম দিকে,নির্দিস্ট উচ্চতায়,দূরত্ব ঠিক রেখে সঠিভাবে মাপ ঠিক রেখে ফার্ম করতে হবে।ট্রেনিং নিয়ে ফার্ম শুরু করতে হবে।আগেই ফার্ম করা যাবে না।

নোট: কেউ যদি উপরের বিষয়গুলি সঠিকভাবে করতে চান এবং আমার পরামর্শ নিয়ে খরচ কমিয়ে ফার্মকে লাভজনক করতে আগ্রহ থাকে তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।ফি দিতে হবেনা।তবে লাভের একটা পার্সেটেজ মাসিক হিসাবে দিতে হবে।আমি কোন দিন খামারীর কাছ থেকে টাকা নেইনা।আমার দ্বারা যতটুকু খরচ কমে যায় এবং অতিরিক্ত যতটুকু প্রোডাকশন এবং ওজন আসে সেখান থেকে সামান্য অংশই নিয়ে থাকি।অনলাইনে(মোবাইলে/মেসেঞ্জারে) পরামর্শ ও চিকিৎসা দেয়া হবে।

টিপস ১

লেয়ার মুরগির জন্য ২৫-৫০ সপ্তাহ সবচেয়ে বিপদজনক এবং লাভ জনক।

কেন বিপদ জনক:

এই সময় লেয়ার ধকলে থাকে কারণ এই সময়েই লেয়ার বেশি ডিম দেয়।বেশি ডিম মানে বেশি ধকল।বেশি ধকল মানে বেশি রোগ।২৫-৫০ সপ্তাহের রোগ মানেই লস প্রজেক্ট কারণ এই সময়ে রোগ হলে ডিম ব্যাপক হারে কমে যায় যা পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকেনা।এমন কি মর্টালিটিও হয়।

এই সময় এইচ ৯ বা এইচ ৫/এইচ৭,কলেরা,টাইফয়েড,

ব্রংকাইটিস বেশি হয়।

এই সময় স্পেশাল খেয়াল রাখতে হয় যা একজন ডাক্তার অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।এই সময় মাসে মাসে বা আন্দাজে ভ্যাক্সিন দেয়া যাবে না।এই সময় যত রোগ হয় তার মেইন কারণ ভুল সময়ে রানিক্ষেতের ভ্যাক্সিন।ভ্যাক্সিনে মুরগির উপর ধকল পড়ে এবং টাইটারে সমস্যা হয়।আমাদের দেশে ৯০% খামারী ভ্যাক্সিন দেয় আন্দাজে ।জানেই না, বুঝেই না কখন ভ্যাক্সিন দিতে হবে।তাই জানতে হবে।

কেন লাভজনক:

এই সময়ই পিক মানে সর্বোচ্চ প্রোডাকশন থাকে।একটা ফ্লকের লাভ মেইনলি এই সময়টার উপরই নির্ভর করে(২৫-৬০ সপ্তাহ)।ধকল মুক্ত রাখতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

জানতে হবে কিভাবে ধকল পরে এবং কিভাবে রোগ হয়।মনে রাখতে হবে ধকলই সকল রোগের মূল।

বিস্তারিত জানতে সহজ ও আধুনিক পোল্ট্রি ব্যবস্থাপনা এবং পোল্ট্রি শিল্প নামক বইটি পড়তে পারেন।

০১৭১৭৩০০৭০৬

০১৭১৭৩০০৭০৬

Please follow and like us:

About admin

Check Also

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মাংস খাওয়া দেশের তালিকা

পৃথিবীর মোট বার্ষিক মাংসের এক চতুর্থাংশই খায় শুধু উত্তর আমেরিকায়। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মাংস খাওয়ার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »