মনে করি, একজন খাদ্য উৎপাদনকারী সরিষার খৈল এবং গমের ভূসি সহযোগে একটি খাদ্য তৈরী করতে চায় যার আমিষের হার হবে ২৫%। তাহলে তাকে কোন উপাদান কত অনুপাতে মেশাতে হবে। নিচের চিত্র টি লক্ষ করুনঃ
সরিষার খৈল-আমিষ ৩০%
গমের ভূসি-আমিষ ১৪%
সরিষার খৈল মেশাতে হবে=১৪-২৫ = ১১, ১১/(৫ + ১১)× ১০০ = ৬৮.৭৫
গমের ভূসি মেশাতে হবে= ৩০-২৫ = ৫, ৫/(৫ + ১১) × ১০০ = ৩১.২৫
তাহলে দেখা যাচ্ছে, সরিষার খৈল ও গমের ভূসি মিলে ১০০০ গ্রাম/এক কেজি খাদ্য তৈরী করতে হলে সরিষার খৈল মিশাতে হবে ৬৮.৭৫ ×১০ = ৬৮৭.৫ গ্রাম এবং গমের ভূসি মিশাতে হবে ৩১.২৫ × ১০ = ৩১২.৫ গ্রাম। দুই উপাদান মিলে হলো ৬৮৭.৫ + ৩১২.৫ = ১০০০ গ্রাম/এক কেজি। এখন দেখতে হবে এই দুই উপাদান থেকে প্রাপ্ত আমিষের পরিমাণের যোগফল ২৫% হয় কিনা।
১০০ গ্রাম সরিষার খৈল থেকে পাওয়া যায় = ৩০ গ্রাম আমিষ
৬৮৭.৫ গ্রাম সরিষার খৈল থেকে পাওয়া যায় = ২০৬.২৫ গ্রাম আমিষ
আবার, ১০০ গ্রাম গমের ভূসি থেকে পাওয়া যায় = ১৪ গ্রাম আমিষ
৩১২.৫ গ্রাম গমের ভূসি থেকে পাওয়া যায় = ৪৩.৭৫
অতএব, দুই উপাদান থেকে পাই ২০৬.২৫ + ৪৩.৭৫ = ২৫০ গ্রাম আমিষ/১০০০ গ্রাম খাদ্য, অতএব, শতকরা হার হবে ২৫%
লেয়ার ১ প্রোটিন হিউমিডিটি ফাইবার এশ ক্যাল ফস(ML) এনার্জি ফ্যাট
এ১ ১৭ ৮ ১৫ ৩.৮ .৭ ২৭৫০ ২.৫
মা ১৮ ১২ ৫ ১৩ ৩.৮ .৫ ২৭৫০ ৪.৫
কো(জে) ২০.৫ ১০ ৩.৫
প্র ১৭.৫ ১২ ৭ ১৩.৫ ২৭৫০ ৪.৫
কো ১৯.২ ১০ ৩.৫ ৪ (.৫-১.২) ২৯০০ ২.৫
নিউ ১৬ ১২ ৫ ১৫ ২-৪.৫ ২৭৫০
প্রিলেয়ার
না ১৭ ১২ ৫ ২.৫ .4(.36-.8) 2750
কো ২০ ১২ ৪.৫ ২.৫ .৫৫(.4-1) ২৯০০
স্টাটার
কো ১৮ ৫ ১ .45 (.7-1) 2850
গ্রোয়ার
কো ২০ ৫ ১০ ৩.৫ ১.২ .৫-১.২) ২৯০০ ২.৫
না ১৬ ১২ ৫ ১ .33 .33 .75 2750
প্র ১৬.৫ ২৮৫০ ৫
ফিড ফর্মুলেশন করতে কিকি বিষয় জানা দরকার এবং কিভাবে করা যায়,
১।বিভিন্ন খাদ্য উপাদানের নাম ও তাদের ইঙ্কলোশন লেভেল জানা দরকার
ভুট্রা,সয়াবিন,রাইস পালিশ,তেল,পাথর
২।খাদ্য উপাদানের মধ্যে এনার্জি,প্রোটিন,ফাইবার,ফ্যাট,ক্যালসিয়াম,ফসফরাস সহ অন্যান্য ভিটামিন মিনারলস কত% আছে তা জানতে হবে
৩।কোন উপাদানে লাইসিন ও মেথিওনিন বেশি আছে এবং কোন টাতে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস বেশি থাকে তা জানতে হবে।
সয়াবিনে লাইসিন আর ভুটায় মেথিওনিন বেশি থাকে।
৪।কোন খাবারে এন্টিনিউট্রিশনাল ফ্যাক্টর ও এন এস পি কত তা জানা দরকার।
সয়াবিনে টিপসিন ইনহিবিটর থাকে।
৫।খাদ্য উপাদানের স্পেশাল বৈশিস্ট্য কোন টায় ফসফরাস থাকে না তাও জানতে হবে।ফিশমিলে সালমোনেলা,ই কলিয়া,ক্লোস্টিডিয়াম বেশি থাকতে পারে।তাছাড়া জিংক থাকে অতিরিক্ত যক্সা এন্টারাইটিস করে।কিন্তু ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকে অনেক বেশি।
ঝিনুকে ফসফরাস থাকে না তাই ঝিনুক দিলে ফসফরাসের সোর্স দিতে হবে।
৬।কোন উপাদান গুলি এনার্জি সোর্স আবার কোন গুলি প্রোটীন সোর্স,কোন্টাতে আবার ফ্যাট সোর্স তাও জানতে হবে
৭।কোন টাতে আবার অল্প এনার্জি আবার কিছুতে আছে হাই এনার্জি
৭। এনার্জি ও প্রোটিন কম বেশি হলে ৫% হারে এনার্জি ও প্রোটিন সোর্স কম বেশি করে ফর্মুলা ঠিক করতে হয়।
৮।খাদ্য উপাদানের এনার্জি ও প্রোটিন % বের করার সুত্র জানতে হবে
৯।বর্ষা,শীত ও গরম কালের সাথে মিল রেখে ফর্মুলা বানাতে হবে।সিজনের ক্ষেত্রে পার্থক্য হয় এনার্জি,প্রোটিন,ক্যালসিয়াম,টক্সিন বাইন্ডার,ভিটামিন্স মিনারেলস,কক্সিডিওস্ট্যাস্ট।
১০।মুরগির স্পিসিস অনুযায়ী ফর্মুলেশন আলাদা হবে(ব্রয়লার,লেয়ার,সোনালী,কোয়েল,হাস) তাছাড়া বয়স অনুযায়ী ফর্মুলা আলাদা হয়(স্টাটার,গ্রোয়ার,ফিনিশার)।
বয়স বা স্পিসিসের ক্ষেত্রে মেইন পার্থক্য হল এনার্জি ও প্রোটিন আর বয়সের ক্ষেত্রে পার্থক্য হল এনার্জি,প্রোটিন,ক্যালসিয়াম,লাইসিন মেথিওনিন।
১১।ফিড এডিটিভস এর ব্যাপারে ধারণা থাকতে হবে ,তাছাড়া এদের ডোজ জানা লাগবে।
ফাইটেজ এঞ্জাইম,নরমাল এঞ্জাইম,এন্টি অক্সিডেন্ট,ইমালসিফায়ার,ক্লোলিন,
১২।কোন আইটেমের সাথে কোন টা দেয়া যায় আবার কোন টা দেয়া যায় না,কত ক্ষন মিক্সার করতে হয়
ক্লোলিনের সাথে অন্য ভিটামিন মিনারেলস মিক্স করা যাবে না।ক্লোলিন সব শেষে মিক্স করতে হবে।
১৩।ফিডের কারণে কি কি৮ সমস্যা বা ডিজিজ হতে পারে তা জানতে হবে
যেমন কক্সি,নেক্রোটিক এন্টারাইটিস,মাইকোটক্সিন,সালমোনেলা,ইকলাই
১৪।কোন উপাদান ব্যবহার করলে কোন টা দিতে হয় না বা কম লাগেতাও জানতে হবে।
১৫।কোন সিজেন কোন আইটেম কত দামে পাওয়া যায়,লোকালি কি কি উপাদান পাওয়া যায়।কত দিন কিভাবে স্টোর করে রাখা যায়।
১৬।নিজে ফিড বানালে কত লাভ হয়।
যেমন নিজে ফিড বানালে বস্তায় প্রায় ২০০-৪০০টাকা কম লাগে।
১৭।লোজ ফিড ও রেডি ফিডের মধ্যে পার্থক্য জানা লাগবে।
১৮।খাবারে কারণে প্রডাকশনে কি ধরণের প্রভাব পড়ে,ফিসিসে কি পরিবর্তন হয়।
১৯।খাবারের ধরণ ও প্রকারভেদ
প্রিস্টাট্রার,স্টাটার,গ্রোয়ার,প্রিলেয়ার,লেয়ার ১,লেয়ার ২।
লোজ ফিড ,রেডি ফিড,পিলেট ফিড।
গোটা দানা,ভাংগা দানা,গোটা ও ভাংগা মিক্স করে।
২০।খাবার বানানোর মেশিনের ধরণ,দাম,মেশিন চালানোর টেকনিক।
কিভাবে ফর্মুলা করা যায়
১,ইঙ্কলোশন লেভেল দিয়ে
২।এনার্জি ও প্রোটিন% বের করে
৩।ফিড ফর্মুলেশন এপ্স দিয়ে
৪।উপরের সব কিছুকে সমন্বয় করে।
৫।কিছু কোম্পানির ভিটামিন মিনারেলস প্রিমিক্স আছে যেগুলোর সাথে ভুটার,সয়াবিন মিক্স করে খাবার বানানো যায় ।
টিপস
বাজরা থেকে জোয়ার ভাল,জোয়ার থেকে গম ভাল
তিলের কেক বাদামের কেক থেকে ভাল
রাইস গ্লুটেন ডিডিজিএস থেকে ভাল
ব্লাড মিল সয়াবিন থেকে ভাল
মেইজ জার্ম হোল কর্ন থেকে ভাল
সয়াবিন থেকে ফিশ্মিল ভাল
লাইসিনের জন্য সয়াবিন এর পরিবর্তে ব্লাডমিল ভাল
সিল্ক ওয়াম পাপ্পি সয়াবিনের সমান।
ভুটার আর্দ্রতা ১৪% হলে এবং ২০দিনের বেশি স্টোর করলে লিভার নস্ট করে দেয় এবং এনার্জি কম পাওয়া যায়।
আমি একটি পোল্টি খাবার তইরি করতে চাই, আমাকে টুটাল তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন।