Breaking News

জলহস্তী এবং ওয়ারলাস পরিচিতি

বড়ই রেসিস্ট জাতি আমরা। একটু মোটা বন্ধু দেখলেই এই Hippo বলে মজা নেই। Hippo বা জলহস্তী তো কিউট একটা প্রাণী। তাই Hippo বললে রাগ করার কিছু নাই। চলুন এই জলহস্তী সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নেই-

★জলহস্তী পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম স্থলচর প্রাণী। হাতি এবং সাদা গণ্ডারের পরেই এদের স্থান।
★ জলহস্তী এদের জীবনের বেশিরভাগ সময় পানিতে কাটায়। এরা পানির নিচে ঘুমায়, বাচ্চা প্রসব করে এমনকি বাচ্চাকে দুধও পানির নিচে খাওয়ায়।
★পানির নিচে শরীর ডুবিয়ে রাখলেও এরা দেখতে শুনতে ও শ্বাস নিতে পারে। কারণ এদের চোখ কান ও নাক মাথার উপরের অংশে থাকে।
★পানির নিচে কাজ করার জন্য এদের নাক ও কান বিশেষভাবে তৈরী। পানির নিচে থাকার সময় এরা নাক কানের ছিদ্র বন্ধ করতে পারে।
★বেশিরভাগ সময় পানিতে থাকলেও এরা ৭ মিনিটের মত পানির নিচে শ্বাস ধরে রাখতে পারে। প্রতি ২-৩ মিনিট পর এরা পানির উপরাংশে আসে শ্বাস নেওয়ার জন্য। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বতস্ফূর্ত। পানির নিচে ঘুমিয়ে থাকলেও জলহস্তী প্রতি ৩ মিনিট পরপর উপরে উঠে স্বাস নিয়ে আবার ডুব দেয় ঘুম না ভেংগেই।
★জলহস্তী কিন্তু সাতার কাটতে পারেনা। এরা পানির তলদেশে হেটে ও দৌড়ে বেড়ায়।
★মহিলা জলহস্তীকে Cow বলে। এরা প্রতি দুইবছরে একটি করে বাচ্চা দেয়। জন্মের সময় বাচ্চার ওজন প্রায় ৪০ কেজি থাকে।
★জলহস্তী প্রায় ৯০° কোণে এদের চোয়াল খুলতে পারে। এর কারণ এদের দুই জোয়ালের জোড়া এদের স্কালের পিছনের দিকে থাকে। সম্পূর্ণ হা করলে এদের Pharynx পর্যন্ত দেখা যায়।
★জলহস্তী ডাঙ্গায় বেশিক্ষন থাকতে পারেনা। কারণ এদের চামড়া সূর্যের রশ্মি সহ্য করতে পারেনা। এরা রাতে খাবারের সন্ধানে বের হয় এবং প্রতিদিন প্রায় ৬৫-৬৮ কেজি ঘাস ফলমূল খায়।
★জলহস্তীর চামড়া থেকে লাল তেলের মত তরল বের হয়। এজন্য আফ্রিকায় একটি কথা প্রচলিত আছে- Hippos sweat blood. আসলে এটি এক প্রকার তরল যেটি ময়শ্চেরাইজার, এন্টিবায়োটিক ও পরজীবী নাশক হিসেবে কাজ করে।
★জলহস্তী কে খুব শান্তশিষ্ট বলে মনে হলেও এরা মোটেও শান্ত না। এদের মেজাজ খুবই চড়া। মানুষ দেখলে এরা আক্রমণাত্মক আচরণ করে। প্রতিবছর প্রায় ৩০০০ মানুষ জলহস্তীর আক্রমণে মারা যায়।
★কংগোতে সবচেয়ে বেশী জলহস্তী হত্যা হয়। এদের হত্যার মূল কারণ এদের Canine দাত যা আইভরি হিসেবে কালোবাজারে চড়া দামে বিক্রি হয়।

@২২

সামুদ্রিক সীল গোত্রের মধ্যে সবচেয়ে বড় স্তন্যপায়ী হচ্ছে ওয়ারলাস। এরা এদের হাতির ন্যায় দাঁতের জন্য পরিচিত। প্রশান্ত এবং আটলান্টিক মহাসাগরে দেখা মেলে এদের। একেকটির ওজন গড়ে ৮০০-১২০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। দৈর্ঘ্যে ৬-১১ ফিট পর্যন্ত হয়ে থাকে।

মাংসাশী এই প্রাণীটির প্রধান খাদ্য শামুক-ঝিনুক হলেও কাঁকড়া, চিংড়ি, সামুদ্রিক পাখি, সীল এমনকি সুযোগ বুঝে তিমিকেও রাখে এদের খাদ্য তালিকায়।

এদের ১৮ টি করে দাঁত থাকলেও ছেদন দাঁত (canine teeth) দুটি ৩ ফিট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। যা বরফে চলাচল ছাড়াও আত্মরক্ষা এবং হেরেমকে অন্য পুরুষ ওয়ারলাসদের থেকেও রক্ষা করতেও ব্যবহার করে। এরা সাধারণত ২০-৩০ বছর বাঁচে।
কামরুল ইসলাম তারেক

Please follow and like us:

About admin

Check Also

হাতি পরিচিতি

‘হাতি’ সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য:- ১) হাতির স্তন সামনের দু পায়ের মাঝে।(ছবিতে দেখুন) ২) সদ্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »