পক্সভিরিডির অন্তর্ভুক্ত Myxoma virus এ রোগের মূল কারণ।খরগোশের একটি প্রাণনাশক রোগ Myxomatosis।অ্যাঙ্গোরা,ফ্লেমিস র্যাবিট, জ্যাক র্যাবিট ইত্যাদি প্রজাতির খরগোশের এই রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অন্যান্য জাতের খরগোশের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে বেশি।
#Clinical_Symptoms:
১.প্রাথমিক অবস্থায় খরগোশের নাক,মুখ এবং এক্সটার্নাল জেনিটালিয়ায় পানি জমে,সোয়েলিং হয়।কনজাংটিভাইটিস হয়।
২.রোগগ্রস্ত অবস্থায় যদি খরগোশের প্রজনন ঘটে তবে সেক্ষেত্রে মুখ, নাক, ঠোঁট, কান, চোখের পাতা ইত্যাদি অঙ্গে ইডিমা হয়৷ কান দেহ থেকে ঝুলে পড়ে এবং কখনও কখনও শ্বাসকষ্ট হয় ৷
৩.কিছু কিছু ক্ষেত্রে মুখের ওপরের অংশ,পেট,ঘাড় এবং কাঁধে Wart দেখা যায়।
#Prevention:
এই রোগের কোন চিকিৎসা নেই।অসুস্থ খরগোশকে মেরে ফেলে মাটিতে পুঁতে দিতে হবে ৷ ফর্মালিন বা ৩ শতাংশ সোডিয়াম হাইড্রক্সাইড দিয়ে খরগোশের খামার জীবাণুমুক্ত করতে হবে ৷ প্রতিষেধক টীকা পাওয়া গেলে খরগোশকে টীকা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
#Treatment:
এই রোগের জন্য নির্দিষ্ট কোন ঔষধ নেই ৷ রোগের লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হয়৷ সেফালেক্সিন বা এনরোফ্লক্সাসিন জলের সাথে মিশিয়ে খরগোশকে খাওয়ানো যেতে পারে৷তাতে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হবে না।অ্যাসকরবিক অ্যাসিড দেয়া যেতে পারে ধকল প্রতিরোধের জন্য।
Rabbit Haemorrhagic Disease
কারণঃ
Rabbit Haemorrhagic Disease Virus এই রোগের মূল কারণ।RHDV ভাইরাস (RHDV1, RHDVa, RHDV2 এবং RHDV1 K5) এর মোটামুটি এই চারটি স্ট্রেইন রয়েছে। মশা, মাছির মাধ্যমে এটি খরগোশে সংক্রমিত হয়।
#লক্ষণঃ
প্রাপ্তবয়স্ক খরগোশগুলিতে সংক্রমণের ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জ্বর এবং অস্থিরতা দেখা দেয় এবং হঠাৎ মৃত্যুর দিকে খরগোশ ধাবিত হয় দ্রুতই। ক্যালিসিভাইরাস এর ইনকিউবেশন পিরিয়ড মোটামুটি ২৪-৭২ ঘন্টা।RHDV এ আক্রান্ত অধিকাংশ খরগোশই বাহ্যিক কোন লক্ষণ প্রকাশ করে না। এই রোগের ফলে রক্তের ক্লটিং ক্ষমতা অস্বাভাবিক রকম কমে যায়,যার ফলে লিভার নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে অভ্যন্তরীণ অংগে রক্তক্ষরণ হয়ে খরগোশ মারা যায়।
#চিকিৎসাঃ
এ রোগের কোন চিকিৎসা নেই। তবে খরগোশের খামারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখলে রোগটি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
#প্রতিরোধঃ
১.একমাত্র প্রতিরোধ RHDV1 টিকা। প্রাপ্তবয়স্ক খরগোশের জন্য প্রতি ছয় মাস অন্তর টিকাদান করা হয়।শুধুমাত্র প্রাপ্ত বয়স্ক খরগোশকেই এ টিকা হয়। বাচ্চাদের দেওয়া হয় না। Rabbit Kittens গুলিকে ৪ সপ্তাহ বয়স হলে প্রথম টিকা দিতে হয়। এরপর ছয় মাস পর বুস্টার ডোজ দিতে হয়।
২. খরগোশকে ধরা বা অন্য কোন কারণে হ্যান্ডলিং করার দরকার হলে অবশ্যই সময় উষ্ণ সাবান পানি দিয়ে হাত জীবানুমুক্ত করে নিতে হবে।
৩. পরিবেশ দূষণ দূরীকরণে যত্ন সহকারে খরগোশকে আলাদা রাখা উচিত।
৪.এক্সটার্নাল প্যারাসাইট(মাইট,ফ্লি,লাইস,ফ্লাই) অবশ্যই নিয়মমাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।খরগোশ যেন কোনভাবেই মশা মাছির সংস্পর্শে আসতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।