ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হবে না; মৎস্য-প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০69
ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক, এগ্রিকেয়ার২৪.কম: বিদেশ থেকে ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হবে না; মৎস্য-প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো: আশরাফ আলী খান খসরু জানিয়েছেন।
দেশে চাহিদানুযায়ী ডিমের পর্যাপ্ত উৎপাদন রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে বিদেশ থেকে ডিম আমদানির কোন প্রয়োজন নেই।
আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ই-সেবা কার্যক্রম চালুকরণ’ প্রকল্পের ই-কন্টেন্ট ও ভিডিও কন্টেন্ট নির্বাচন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো: আশরাফ আলী খান খসরু বলেছেন, বিদেশ থেকে ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হবে না। বিদেশ থেকে ডিম আমদানি করলে দেশের পোল্ট্রি শিল্প ধ্বংসের মুখে পড়বে।
এসময়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, চীন, ভারতসহ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দেশসমূহ হতে প্রাণিসম্পদ আমদানির ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১৫ দিন কোয়ারেন্টাইনে রেখে পর্যবেক্ষণ করে ছাড়পত্র দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ডিম আমদানির অনুমতি চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি দেয়।
এ প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাস্তব পরিস্থিতি জানতে চেয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। আর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি যাচাই বাছাই করার জন্যে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে পাঠানো। গত বৃহস্পতিবার প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পক্ষ থেকে ডিম আমদানি না করতে বলা হয়।
আজ অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব সুবোল বোস মনি, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংস্থাপ্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ই-সেবা কার্যক্রম চালুকরণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর আওতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের মোট ৫৫টি (মন্ত্রণালয়ের জন্য ৫টি, মৎস্য বিষয়ক ২০টি এবং প্রাণিসম্পদ বিষয়ে ৩০টি) বিষয়ভিত্তিক উন্নততর ও সহজবোধ্য ই-কনটেন্ট ও ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করা হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সেবা গ্রহীতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, সেবা গ্রহণকারীর সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে; স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেবাসমূহ আরও জনবান্ধব এবং সহজসাধ্য করার লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে একটি করে কল সেন্টার স্থাপন করা হবে।
দেশের ৪৯১টি উপজেলার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সাথে সম্পর্কিত মৎস্যচাষি, মৎস্যজীবী, গবাদিপশু পালনকারী, খামারী, কৃষক, উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ীগণ সরাসরি এই প্রকল্পের সুফলভোগ করবেন।
ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হবে না; মৎস্য-প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী শিরোনামের সংবাদটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের তথ্য অফিসার মো.কামরুল ইসলাম ভূইয়া এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে নিশ্চিত করেছেন।