খাবারের ও বাচ্চার দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে লাখ লাখ তরুণ পোল্ট্রি খামারী সহ ৬০লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।এই সেক্টরের খামারী যাদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এই পোল্ট্রি শিল্প তাদের অবস্থা জানার এবং শুনার জন্য কি কেউ আছে?,উত্তর নাই।৫বছরে খাবারের বস্তার দাম ৮০০টাকার বেশি বেড়েছে ।সেই অনুযায়ী রেডি ব্রয়লার এবং ডিমের দাম বাড়েনি।তিলে তিলে ধবংস হয়ে যাচ্ছে দেশের উদিয়মান সবচেয়ে সম্বাবনাময় এই খাতটি।আত্মকর্মশীল একটি শিল্প হল এই পোল্ট্রি শিল্প।এই সেক্টরের মাধ্যমেই দেশের মানুষ এখন পর্যন্ত সস্তায় আমিষ পাচ্ছে।এভাবে চলতে থাকলে এক সময় ৩০০-৩৫০টাকা কেজি ব্রয়লার মাংস এবং ১৫-২০টাকা পিস ডিম খেতে হবে।বড় বড় কোম্পানী গুলোকে কমার্শিয়াল লেয়ার এবং ব্রয়লার পালনে নিয়ম করে কার্যকর করা দরকার যাতে ইচ্ছে মত প্রডাকশন করে কম দামে বিক্রি করে দিয়ে খামারিদের পথে না বসায়।লাখ লাখ লোক বেকার হলে অপকর্ম বেড়ে যাবে।রাস্তায় বসে আপনাদেরকে আটকিয়ে ছিনতাই করবে।সেটা কি সবার জন্য ভাল হবে?যারা কাজ করে হালাল ভাবে বাচতে চায় তাদেরকে সেই সুযোগ করে দেয়া উচিত।খাদ্য উপাদান কিভাবে দেশে উতপাদন করা যায় ভাবতে হবে।মিট এন্ড বোন মিল তৈরি,সয়াবিন,ভুট্রার চাষ দেশে বাড়ানোর যথেস্ট সুযোগ আছে,এগুলোই খাবারের মেইন উপাদান।কত মানুষই দূর্নীতি করে শত শত হাজার হাজার টাকার মালিক হচ্ছে খামারীরা এসব করেনা।কোন শিল্প যখন থাকবে না তখন কিন্তু এই পোল্ট্রি শিল্পই থাকবে।এই শিল্প মায়ের মত।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানব বন্ধনঃ
আগামী ২৪ঠা ফেব্রুয়ারী ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ঢেকেছে বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি শিল্প সংগঠন কেন্দ্রীয় কমিটি।সারা দেশে খামারীদের ঢাকার প্রোগ্রামে আসার জন্য আহবান জানিয়েছেন কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল ইসলাম মল্লিক।
খামারিদের_ছয়_দফা_দাবি,,
১/প্রথম দাবিঃ ব্রয়লার মুরগির ৫০ কেজি প্রতি বস্তা খাদ্যের দাম ২০০০ থেকে ২১০০ টাকার মধ্যে আনতে হবে এবং খাদ্যের মান বৃদ্ধি করতে হবে লেয়ার সোনালী সহ অন্যান্য মুরগির খাদ্যের দাম ৫০ কেজি প্রতি বস্তা ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকার মধ্যে আনতে হবে।। ২/দ্বিতীয় দাবিঃ ব্রয়লার ও লেয়ার সকল প্রকার মুরগির বাচ্চার দাম বাৎসরিক ভাবে ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে আনতে হবে এবং বাচ্চার মান বৃদ্ধি করতে হবে।।
৩/তৃতীয় দাবিঃ খাদ্য ও বাচ্চা উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো তারা নিজেরা খাদ্য বাচ্চা উৎপাদন করে খামারিদের কাছে বিক্রি করে, এবং নিজেরা ব্রয়লার ও লেয়ার সহ সকল প্রকার রেডি মুরগি উৎপাদন করে, বাজার নিয়ন্ত্রণ করে তাই খামারিরা ধ্বংসের পথে, সেই ক্ষেত্রে, কোম্পানি গুলো রেডি মুরগি উৎপাদন করা বন্ধ করতে হবে।।
৪/চতুর্থ দাবিঃ আমরা প্রণোদনার টাকা চাইনা আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে বিনীতভাবে অনুরোধ থাকবে বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় ৩০০ জন নিবন্ধিত খামারিকে স্বল্পসুদে সহজশর্তে প্রতি ১০০০ মুরগি পালনকারী খামারীকে কমপক্ষে ২ লক্ষ টাকা ঋণ দিতে হবে।।
৫/ পঞ্চম দাবিঃ প্রতি একজন খামারি দশ হাজার মুরগির উপরে কোন প্রকার রেডি মুরগি উৎপাদন করতে পারবে না।। ৬/ ষষ্ঠম দাবিঃ সারা বাংলাদেশ থেকে উঠে আসা প্রান্তিক খামারিদের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আমাদের সংগঠনের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিতে হবে এটা আমাদের জোর দাবি সারা বাংলাদেশে প্রান্তিক খামারিদের। লেখকঃ মোঃ মফিজুল ইসলাম (মল্লিক) চেয়ারম্যান বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রিশিল্প সংগঠন কেন্দ্রীয় কমিটি।।