Breaking News
পোল্ট্রি মার্কেটের সমস্যা ও সমাধান

পোল্ট্রির মার্কেট স্থিতিশীল রাখার জন্য আমার প্রস্তাবনা।

পোল্ট্রির মার্কেট স্তিতিশীল রাখার জন্য আমার প্রস্তাবনা।

বিষয়ঃ

পোল্ট্রি মার্কেটের সমস্যা ও সমাধানঃ

সমস্যাঃ ব্রয়লার এবং ডিমের দাম কম মেইন কারণ বাচ্চার সাপ্লাই বেশি।খাবারের দাম কমানো কঠিন কিন্তু সাপ্লাই কমানো সম্ভব কারণ এটা আমাদের হাতে।কোম্পানী ৫-১৫টাকা বাচ্চা বিক্রি করতে বাধ্য হয় সেটাও সমস্যা।এমন যাতে না হয় সেটাও দেখতে হবে।সবাইকে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।কাউকে পিছনে ফেলে কোন ভাল কাজ হয় না।

সমাধানঃ

১. বাচ্চার সাপ্লাই কমাতে হবে।এটা মেইন এবং প্রধান বিষয়।

কিভাবে কমাবোঃ

ব্রিডার কোম্পানী (জি পি এবং পি এস)

জি পি কোম্পানীর পি এস বাচ্চার উতপাদন এবং বিপণন নির্ধারিত করতে হবে।যাতে জি পি থেকে টার্গেট সংখ্যক পি এস বাচ্চা আসে।

জি পি কোম্পানী হাতে গোনা কয়েকটি (৬-৮টা) প্রায়

৮০% পি এস দেশী কোম্পানী থেকে আসে বাকি ২০% বিদেশ থেকে আসে।এসব কোম্পানীর সংখ্যা ও বেশি না।৩০টির কম হবে।তবে মেইনলি জি পি ফার্ম গুলোই পি এস পালন করে সেখান থেকে কমার্শিয়াল বাচ্চা উতপাদন করে বিক্রি করে।তাহলে এসব কোম্পানী যদি দেশের সিজন ও চাহিদা অনুযায়ী বাচ্চা উতপাদন করে তাহলে তাহলে ব্রয়লার এবং ডিমের দাম ঠিক থাকবে।

বর্তমানে একেক কোম্পানী নিজের মত করে বাচ্চা উতপাদন করে। কেউ কারো খবর রাখেনা।ফলে কোন কারণে অতিরিক্ত বাচ্চা প্রোডাকশন হলে দাম কমে যায় যেমন গত ৩ মাসের অবস্থা দেখেই বুঝা যায়।বাচ্চার দাম ৫-১৫টাকা তবু খামারীর লস হচ্ছে কারণ বাচ্চা বেশি মানে বাজারে রেডি মুরগি বেশি।আর বেশি হলে ত দাম মুরগির দাম কমবেই।১০৮-১২০টা কেজিতে ৩ মাস ধরে ব্রয়লারে বিক্রি হচ্ছে।অথচ খরচ প্রতি কেজিতে ১৪০-১৫০টা।আবার কোন কোন সময় বাচ্চার উতপাদন কমে যায় ফলে ডিমান্ড পূরণ করতে পারেনা।ফলে মুক্ত বাজার অনুযায়ী ব্রয়লারের দাম বেড়ে যায়।যা গত বছরে শীতের সময় ব্রয়লারের কেজি ১৫০-১৬৫টাকা হয়েছি।এক হাজার ব্রয়লারে ৫০-১লাখ টাকা লাভ হত।

সেই সময় বাচ্চার প্রোডাকশন কম ছিল।

কাজেই বাচ্চাই সব নিয়ন্ত্রণ করে।

অল্প কয়েকটা কোম্পানী যদি নিজেরা সমন্বয় করতে পারে ভাল।না পারলে সরকার(ডি এল এস,ডি জি) পদক্ষেপ নিতে পারে বা মিডিয়া হিসাবে কাজ করতে পারে।সরকাররের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে যেমন সরকারের কোন প্রতিষ্ঠান এই দায়িত্বে কাজ করবে সেটা ক্লিয়ার না।এটা ক্লিয়ার করার দরকার।সবাই কালক্ষেপণ করে যায়।দায়িত্ব নিয়ে কিছু করতে চায় না,চাইলে পোল্ট্রি বোর্ড করতে এত বছর লাগত না।বর্তমানে যারা দায়িত্বে আছে তারা অনেক এক্টিভ আশা করি ভাল কিছু হবে।

২.খাবারঃ(বিবেচ্য বিষয়)

খাবারের দাম কমিয়েও ব্রয়লার এবং ডিমে লাভ করা যায়।যেমন ৫বছর আগে লস হত না কারণ তখন খাবারের দাম অর্ধেক ছিল।মুরগির দাম একই ছিল।শুধু খাবারের দামের কারণেই লাভ হত।

খাবারের দাম কমাতে হবে।

কিভাবেঃ

ভুট্রা ও সয়াবিনের উতপাদন বাড়াতে হবে।

কিন্তু জায়গা স্বল্পতার জন্য তা ১০০% পূরণ করা হয়ত সম্ভব না তবে ভুট্রা ৭০% পূরণ করা সম্ভব।এখন ৪০-৫০% পূরণ হয়।

সয়াবিনে ১০% বাড়ানো যেতে পারে।

দেশের পোল্ট্রি থেকে পোল্ট্রি মিল আর ক্যাটল থেকে মিট এন্ড বোন মিল করতে পারলে বস্তায় ৫০০-১০০০টাকা কমানো যেতে পারে মানে সব মিলিয়ে লাভজনকের কাছাকাছি যেতে পারে।খাদ্য উপাদানের দাম কমলে কোম্পানী খাবারের দাম কমাতে চায়না।কমালেও অল্প কমায়।কোম্পানী আগের সব লস পুষিয়ে নিতে পারে/সুযোগ থাকে।খামারীর সেটা থাকে না।

৩।বাচ্চা ,রেডি ব্রয়লার এবং ডিমের দাম নির্ধারণ

বাচ্চার প্রোডাকশন কমানোর পর বাচ্চা,ডিম এবং রেডি ব্রয়লারের দাম বাজারের অবস্থা অনুযায়ী ঠিক করে দেয়া যেতে পারে।বছরে ১-২বার দাম নির্ধারণ করলেই হবে কারণ বাচ্চার হিসাব ঠিক থাকলে তেমন হবেনা।খাবারের দামের কারণে একটু কম বেশি হতে পারে।খাদ্য উপাদানের দস্মের আপডাউন না হলে দামের তেরমন পরিবর্তন হপয় না।।এতে ভোক্তা,খামারী এবং কোম্পানীর লাভ হবে।কারো লস হবে না।রিস্ক থাকবে না।বাজার আপ ডাউন করবে না।কোন মাসে কত বাচ্চা লাগবে তার একটা আনূমানিক হিসাব ধরে আগালেই হবে।কিছু কম বেশি হলে সমস্যা নাই তবে যাতে দ্বিগুন কম বা বেশি না হয়।

৪।ব্যবস্থাপনা এবং ট্রেনিং।(ইচ্ছে করলেই সম্ভব)

খামারীদের ট্রেনিং দিয়ে ভাল ব্যবস্থপনা করতে পারলে ২০-৩০% মেডিসিন খরচ কমানো সম্ভব যা আমি নিজে করে দেখিয়েছি।

এখন হাজারে গড়ে ১০হাজার টাকা্র মেডিসিন ব্যবহার করে।।

বাকিতে ব্যবসার কারণে হাজারে ১০-১৫হাজার টাকা বেশি খরচ হয়।ট্রেনিং ছাড়া কাউকে ফার্ম করতে দেয়া যাবে না।ডাক্তার/নির্দিস্ট লোকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক জায়গায় সঠিক ভাবে সেড বানাতে হবে।আর ট্রেনিং হবে বাস্তব ভিত্তিক প্রচলিত ট্রেনিং হলে হবেনা। যিনি ফার্মে কাজ করেছেন এবং ফার্ম সম্পর্কে বিস্তর অভিজ্ঞতা আছে এমন লোক দিয়ে ট্রেনিং দেয়া উচিত।সহযোগিতার দরকার হলে আমি করবো।

৫.ব্রিডার কোম্পানী(বাধ্য করতে হবে এবং সম্ভব)

ব্রিডার কোম্পানীদের কমার্শিয়াল ব্রয়লার এবং লেয়ার পালন বন্ধ করতে হবে। ৩-৪টা কোম্পানী মিলে প্রায় মাসে ৪০-৫০লাখ কমার্শিয়াল ব্রয়লার উতপাদন করে ফলে কোম্পানী যখন ব্রয়লার মার্কেটে ছাড়ে তখন দাম কমে যায়।একটা নীতিমালার ভিতরে আনতে হবে।তবে কোম্পানী কমার্শিয়াল ফার্ম করলে সেগুলো রপ্তানী করতে হবে।দেশে বিক্রি করা যাবে না।

৬.ফার্ম/খামারী রেজিষ্ট্রেশন।

সবার একটা কমন অভিযোগ পোল্ট্রির কোন সঠিক তথ্য নাই।ফিড কোম্পানীর কাছে তথ্য আছে যা তাদের অফিসারের মাধ্যমে ডিলার পয়েন্ট থেকে পায়।

সব কোম্পানীর মিলে এই তথ্য সাজালে ১ মাসের মধ্যে খামারীদের সংখ্যা বের করে সম্ভব।খামারীর সংখ্যা না জানলেও সমস্যা নাই।কারণ বাচ্চার সংখ্যা দিয়েই অনেক কাজ চালানো যাবে।তবে আপডেট তথ্য জানা উচিত।

উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিস ইচ্ছে করলে ডাটা কালেকশন করতে পারে।রেজিষ্ট্রেশন ফি কমালে খামারীরা রেজিষ্ট্রেশন করতে আগ্রহী হবে।রেজিষ্ট্রেশন ফি ছোট খামারীদের ৫০০টাকা ও বড়দের ১০০০টাকা করা উচিত।বর্তমানে ২৫০০ টাকা ও ৫০০০টাকা করা আছে।সব কিছু সহজ করতে হবে।উদ্দেশ্য হওয়া উচিত রেজিষ্ট্রেশন।টাকা না।

রেজিষ্ট্রেশন করলে সেই অনুযায়ী আগাম প্লান করা যাবে।

৭.রপ্তানিঃ(কাজ শুরু করতে হবে)

রপ্তানি করলে দাম বাড়বে কিন্তু সেই পরিবেশ এখনো হয়নি।এর জন্য দরকার ট্রেনিং,মনিটরিং এবং ল্যাব ফ্যাসিলিটিজ।সাভারে ইতিমধ্যে ল্যাব হয়েছে।

৮.মিডিয়া

মিডিয়ার অপ্প্রচারের জন্য ব্রয়লার এবং ডিমের দাম কমে যায় কারণ এতে অনেকেই ব্রয়লার খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে।আমি অনেকের সাথে কথা বলেছি। তারা বলছে আগে খাইতাম এখন খাইনা।খেলে নাকি বিভিন্ন রোগ হয়,ক্যান্সার হয়।

মিডিয়াকে দামের মারপ্যাচ বুঝিয়ে দিতে হবে।মাঝে মাঝে ডাক্তার/সেক্টরের লোকদের সাথে মিডিয়ার প্রোগ্রাম হতে পারে।

টি ভি তে মাঝে মাঝে প্রোগ্রাম করা উচিত।হিউম্যান ডাক্তাররা প্রতিটি টি ভি চ্যানেলে পরামর্শ দিয়ে থাকে কিন্তু ভেটদের এমন কোন প্রোগ্রাম হয় না।এটা দুঃখজনক।একেক কোম্পানী একেক মিডিয়াতে কাজ করতে পারে।

দাম ২প্রকার

স্থায়ী খরচ সহ(ডিম১০-১১টা)

ব্রয়লার ১৪৫-১৫০টাকা

স্থায়ী খরচ বাদ দিয়ে (ডিম ৯টা,ব্রয়লার ১৪০-১৪৫টাকা)

একটু কম বেশি হতে পারে ফিক্সড না।আমরা যেন দাম ফিক্সড না করি রেঞ্জ এর।ভিতর বলতে হবে।

ডিম ০.৫-১টা কম বেশি হতে পারে আবার ব্রয়লার ৫টাকা বেশি হতে পারে বিভিন্ন ফার্মের বিভিন্ন ফ্যাক্টরের কারণে।

৯. ইউনিয়ন/গ্রাম ভিত্তিক কমার্শিয়াল ফার্ম।ব্রিডার এবং রপ্তানীযোগ্য ফার্ম জেলা ভিত্তিক।

একটা জেলায় এক সাথে সব ফার্মে মুরগি তুলা যাবে না।এতে বর্তমানে একই গ্রামে বিভিন্ন বয়সের মুরগি পালন করা হচ্ছে,বিভিন্ন ভ্যাক্সিন শিডিউল করা হচ্ছে,বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা।বিভিন্ন রোগ হচ্ছে।ফলে বড় মুরগি থেকে মাঝারী মুরগিতে রোগ চলে আসে।মাঝারী থেকে ছোটদের আসে।ছোট মুরগি থেকে আবার বড় মুরগি বিক্রির পর যে বাচ্চা উঠাইছে সেই বাচ্চাতে যায়।এভাবে দুস্ট চক্র চলতে থাকে।রোগের সাইকেল চলে।ফলে ফার্ম লাভজনক কঠিন হয়।খরচ অনেক বেশি হয়।একবারে এক গ্রাম/ইউনিয়নে সবাই মুরগি তুললে একই সিস্টেমে পালন করে এক সাথে বিক্রি করলে এই সমস্যা থাকবে না।রোগ কম হবে,খরচ ৩০% কমে যাবে,ওজন ১০০-২০০গ্রাম বেশি হবে।লাভ হবে।এক গ্রাম/ইউনিয়নে মুরগি বিক্রির পর ২ সপ্তাহ বন্ধ থাকবে।এখন পাশের গ্রামে/ইউনিয়নে বাচ্চা তুলবে।এভাবে করলে সমস্যার ৫০% কমে যাবে।কন্টোল করা সহজ হবে।

কোম্পানী,ডিলার এবং সরকার মিলে এই ব্যবস্থা করতে পারে।এভাবে সারা দেশে এটা চালু করতে পারে। প্রয়োজনে মডেল প্রজেক্ট হিসাবে কয়েকটা জেলায় বা গ্রামে করতে পারে।এর মাধ্যমে অতিরিক্ত প্রোডাক্টশনের মাধ্যমে দামের উঠানামাও কমে যাবে।সবাই লাভের মুখ দেখবে।রিক্স কমে যাবে।

সবার ভালর জন্য একটু কাজ ত করতে হবে।এখন ত অনেক ছোট ও মাঝারী এমন বড় কোম্পানীও লসে আছে।তাই বড় লস থেকে বাচতে এসব করলে সবারই লাভ।ডিলাররা নিজেরা বসে এটা করতে পারে সাথে মিডিয়া হিসাবে কাউকে নেয়া যাবে।লাভ দেখলে সবাই আগ্রহী হবে।

১০।ব্রয়লার এবং ডিম খাওয়া বাড়াতে হবে।

৫০-৬০% ফ্যামিলি মাসে একবার ব্রয়লার খায় না।

বছরে যে পরিমাণ ব্রয়লার এবং ডিম খাওয়া উচিত তার অর্ধেক ও খাওয়া হয় না।মানে চাহিদা আরো দ্বিগূন আছে।এই চাহদা পূরণ করার জন্য ভোক্তাদের আগ্রহ বাড়াতে পারলে দাম বাড়বে।

১১.সবার এসোসিয়েশন আছে খামারীদের নিয়ে খামারীর জন্য পোল্ট্রিতে এখন পর্যন্ত কোন এক্টিভ এসোসিয়েশন গড়ে উঠতে পারে নাই।একেক জন একেকভাবে এসোসিয়েশন নামে আছে কার্যকারিতা তেমন নাই।সবাইকে এক জায়গায় এক লাইনে এসে কাজ করলে অনেক সহজ হত।।তবে বাংলাদেশে পোল্টি এসোসিয়েশন চেস্টা করে যাচ্ছে।খামারীদের আগ্রহ খুব কম।

১১.পোল্ট্রি বোর্ড দরকার।সেখানে খামারী,ডিলার, সরকার,কোম্পানী থাকবে।সবাই মিলে প্রতি বছর বা প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোন সময় আলোচনার প্রোগ্রাম করতে হবে।সেই প্রোগ্রাম থেকে সমাধান বের হয়ে আসবে।সব লেভেলের লোক না থাকলে সমাধান আসবে না।

১২.প্রসেস প্রোডাক্ট তৈরি এবং মিডলম্যান কমাতে হবে।

এর মাধ্যমে ডিম ও ব্রয়লার থেকে অনেক প্রোডাক্ট বানানো যাবে যার ফলে দাম বেশি পাওয়া যাবে এবং সাথে সাথে বিক্রির দরকার হবেনা।জেলা ভিত্তিক খামারীদের মধ্যে সমিতি করে এটা করা যেতে পারে।তাছাড়া জেলা এবং বিভাগীয় শহরে সুপারশপ,ফাস্টফুড এবং বাজার গুলোতে কন্টাক্ট করে ব্রয়লার সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

মিডলম্যান কমাতে হবে এতে লাভ বেড়ে যাবে।

১৩.স্টোরেজঃ

এটা খুব বেশি ইফেক্টিভ না।অনেকে বলে এটা হলে সমাধান হবে।আসলে তা হবে না কারণ ডিম প্রতিদিন এবং সারা বছর উতপাদন হয়।যেসব প্রোডাক্ট বছরে একবার হয়( যেমন আলু)সেসব প্রোডাক্ট স্টোর করতে হয়।কাজেই ডিম ও ব্রয়লারের ক্ষেত্রে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না।

১৫। কন্ট্রাক্ট ফার্মিং এবং বাচ্চার কোয়ালিটি

কন্ট্রাক্ট ফার্মিং এর সুবিধাঃএই সিস্টেমে বাচ্চা এবং খাবারের দাম ফিক্সড তাকে এবং এবং কম থাকে কিন্তু রেডি ব্রয়লারের দাম ১৩০টাকার আশেপাশে থাকে।তাই লস হবার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে।এই সিস্টেমে একটা কোম্পানী অগ্রিম টাকা নিয়ে থাকে হাজারে ১৫০০০০টাকা।কেউ কেউ টাকা নেয় না কিন্তু চেক নিয়ে থাকে।

অসুবিধাঃস্বাধীনতা থাকেনা,লাভ ও ফিক্সড মানে খুব বেশি হবেনা আবার লস ও হবেনা।যারা কন্ট্রাক্ট ফার্ম করবেনা তারা ভাল বাচ্চা পাবার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে কারণ কোম্পানী ভাল বাচ্চা কন্ট্রাক্ট খামারীদের দিয়ে থাকে।ভাল বাচ্চা বলতে ওজন ও ইউনিফর্মিটি ভাল,মেল বাচ্চা এবং এ গ্রেডের বাচ্চা নিজেদের ফার্মে দিয়ে থাকে।বাসি,আন্ডার ওয়েট, গ্রেডিং ছাড়া বাচ্চ এবং ফিমেল বাচ্চা অন্য খামারীদের দিবে।মেল বাচ্চার ওজন গ্রাম ১৫০গ্রাম বেশি আসে।

বাচ্চা এবং খাবার নেয়ার আগে টাকা দিতে হয় তাই বাচ্চা খারাপ দিলেও ক্ষতিপুরণ পাবার সম্ভাবনা তেমন থাকেনা।খামারীও অনেক সময় সেই বিষয়গুলি বুঝে না।

কন্ট্রাক্ট ফার্মিং এর একটা বড় বাধা হল অনেক খামারী আছে যারা কোম্পানীর মাল মনে করে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে চায় না।খাবার ও মুরগি বিক্রি করে দেয়।

১৬।ভোক্তার চাহিদা/অধিকার

উপরে যে বিষয়গুলী আলোচনা করেছি তার মাধ্যমে ভোক্তা নির্দিস্ট এবং স্ট্যান্ডার্ড দামে রেডি ব্রয়লার এবং ডিম পাবে।দাম হঠাত করে বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকবে না।তাছাড়া ভাল কোয়ালিটির প্রোডাক্ট পাবে।

নোটঃ১

এখানে অনেক গুলো পয়েন্ট আলোচনা হয়েছে।সব গুলো সমন্বয় করলে ব্রয়লার ও ডিমের দাম বাড়বে।

তবে বাচ্চা কোম্পানী যদি নিজেদের মাঝে সমন্বয় করে বাচ্চা উতপাদন করে তাহলে ৮০-৯০% সমস্যা সমাধান হবে।এটাই সবচেয়ে সহজ হবে।

গোড়ায় কাজ করলে সহজ হবে।অন্যথায় অনেক কঠিন হবে কারণ অনেক কে ম্যানেজ করা কঠিন।

নোটঃ২

অনেকে বলে ব্রয়লার এবং ডিমের দাম ঠিক করে দিতে।সাপ্লাই বেশি হলে দাম ফিক্সড করলেও সমাধান করা যাবেনা।

অনেকে বলে ফিডের দাম কমানোর জন্য যা আসলে অনেকটাই কঠিন/অসম্ভব কারণ মেইন খাদ্য উপাদান আমদানি করতে হয়।তবে কিছু কমানোর সুযোগ আছে। সব কিছু সাথে সাথে হবে না,কিছু বিষয় আছে স্বল্প মেয়াদী মানে এখনই ঠিক করা যাবে,আবার কিছু আছে মধ্য মেয়াদী যা কয়েক মাস লাগবে,কিছু আছে দীর্ঘ মেয়াদী যা কয়েক বছর লাগবে।সেইভাবেই কাজ করতে হবে।সব কিছু একবারে পাবার আশা করা যাবে না।তবে সবাই আন্তরিক হলে সব সম্ভব।

কোম্পানী প্রায় সময় ইচ্ছে করে এমনভাবে দাম বাড়ায় যাতে আগের লস উঠে যায়।কোম্পানী তাদের আগের লস দাম বাড়িয়ে উঠিয়ে ফেলে কিন্তু খামারী সেই সুযোগ পায় না।এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।

নোটঃ৩ বাকি সিস্টেম থেকে কোম্পানী এবং খামারীকে বেরিয়ে আসতে হবে।পোল্ট্রি ব্যবসা মানে বাকির ব্যবসা এমন হয়ে গেছে।তবে যেহেতু ১হাজার ব্রয়লার ৫-১০লাখ টা লাগে সেই হিসাবে বাকি কিছু থাকবেই তবে সেটা যাতে লাগাম ছাড়া না হয়। এটা একটা দুস্ট চক্র।এই বাকি আবার অনেক ডিলার এবং কোম্পানীর আশির্বাদ কারণ এর মাধ্যমে খামারীকে আটকানো যায়।খামারী না বুঝে বা বাধ্য হয়ে এই জালে ফেসে যায়।তবে খামারীদের ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করতে হবে।সবাইকে সিস্টেমে আসতে হবে।একের দোষে এত সমস্যা হয় না।সবাই কিছু না কিছু ছাড়া দিতে হবে/কাজ করতে হবে।৫/১০/১৫ বছর ধরে মুরগি পালি বলেই য যে সব জানা হয়ে গেছে ব্যাপারটা এমন না।অভিজ্ঞতার অবশ্যই মূল্য আছে তবে অনেকে এই কথা বলে নতুন প্রযুক্তি/সিস্টেমকে অবহেলা করে থাকে।নিজেও লস খায় অন্যদের ও ক্ষতি করে.

নোটঃ৪ পোল্ট্রি সেক্টরে এত সমস্যা এবং সমাধান করা একটু কঠিন কারণ এখানে ফ্যাক্টর/হাত অনেক।যেমন বাচ্চা,,খাবার,মেডিসিন,ভ্যাক্সিন কোম্পানী,খামারী,ডিলার,ডাক্তার এবং এ এইচ,সরকার এবং প্রাইভেট সেক্টর,সরকারীতে আবার অনেক সংস্থা জড়িত।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

একজন ভেট এর সাথে কি কি থাকা জরুরি।

একজন ভেট এর সাথে কি কি থাকা জরুরি। আগে জানতে হবে ডাক্তার কোন স্পিসিস নিয়ে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »