Breaking News

পোল্ট্রির খাবারের দাম বৃদ্ধিঃ৮দফা দাবি

May be an image of 5 people, people sitting and people standing

ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগী খাদ্য মূল্য ও বাচ্চার দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদপ্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিদের ৮ দফা দাবিপ্রান্তিক চাষীরা আপনাকে বাঁচাবে প্রধানমন্ত্রীকে ডা. জাফরুল্লাহপদ্মা সেতুর জাঁকজমক উৎযাপন না করে প্রান্তিক মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেপ্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রেরপ্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘বাংলাদেশপ্রান্তিক পোল্ট্রি খামারীদের দুর্দশা এবং তা থেকে মুক্তির উপায়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করেন বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারী ঐক্য পরিষদ। পরিষদের সভাপতি মিজান বাশারের সভাপতিত্বে ও শাহিন হাওলাদারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কল্যান পার্টিরচেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতিক, পরিবেশবিদ দৈনিক নিউ নেশন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন সংগঠনের মহাসচিব কাজী মোস্তফা কামাল, বক্তব্য রাখেন লেখক ও পরিবেশ সাংবাদিক ইরানি বিশ্বাস,খুলনা পোল্ট্রি ফিড ফিসের এস এম সোহরাব, সভাপতি কিশোরগঞ্জ পোল্ট্রি ডিলার শরীফ উদ্দিন, পোল্ট্রিমার্কেট দাউদকান্দি ফিরোজ খান,নরসিংদী পোল্ট্রি সংগঠনের সাধারন সম্পাদকআবু নাসের সবুজ প্রমূখ।প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশের ২২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে আর আপনি ৬ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করে। ১০ লাখ মানুষের জনসমাবেশ করছেন এমন একটা সময়ে যখন দেশের দুই কোটি পরিবার ঈদ করতে পারবে না। এরসাথে যোগ হয়েছে বন্যায় আরো ৫০ লাখ মানুষ।দেশি পোল্ট্রি চাষিদের বাঁচাতে নীতিমালা প্রয়োজন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, নীতিমালা না হলে সিন্ডিকেটের পাল্লায় পড়ে শিক্ষিত যুব সমাজকে ধ্বংস হতে দেয়া যাবে না।তিনি বলেন,মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৬ বছর। বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৭৩ বছর । আজকে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধির অন্যতম কারণ পুষ্টি । যেটি জোগাড় করেছেন প্রান্তিক চাষিরা, খামারিরা। এখানে বড়দের কোন অবদান নেই।প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনি এতো বড় কাজ করতে যায়েন না। এখন একটু দেশের দিকে নজর দেন। চাষী, খামারি ও প্রান্তিক জনগণের প্রতি নজর দেন। এরা আপনাকে বাঁচাবে। তা না হলে তাদের মতো আপনাকেও ধুঁকে ধুঁকে কষ্ট ভোগ করতে হবে।বিশেষ অতিথি বক্তব্যে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল(অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, প্রান্তিক এসব খামারিদের বাঁচাতেআমাদের একটি মৌলিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা এই দেশটাকে বড় পুঁজিবাদীদেরহাতে তুলে দিব নাকি দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর হাতে দিব।তিনি বলেন, দেশের বড় পুঁজিবাদীরা ছোটদের খেয়ে ফেলতে চাচ্ছে কিন্তু তারাজানেনা আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে বড় ও ছোট একসাথে বসবাস উপযোগী করেরেখেছেন। এর বাইরে গেলে ধ্বংস নেমে আসে।সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি সবকিছুসিন্ডিকেট দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। সম্প্রতি এক খবরে বলা হয়েছে, সুইস ব্যাংকে হাজার হাজার কোটি টাকা জমা পড়েছে। এই টাকা এসব প্রান্তিকমানুষের ঘামে ভেজা কষ্টের টাকা। অথচ আমাদের সরকার বলেছে এই টাকার ৭ শতাংশসরকারকে দিলে বৈধ হয়ে যাবে।অনুষ্ঠানের ৮ দফা দাবি জানান,বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারি ঐক্যপরিষদের মহাসচিব কাজী মোস্তাফা কামাল।১. কোন হ্যাচারীর মালিক বাণিজ্যিকভাবে রেডি ব্রয়লার মুরগী ও লেয়ার মুরগী পালন করতে পারবে না। তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।২. খাদ্যের দাম কমাতে হবে। খাদ্য ও বাচ্চার মান প্রানীসম্পদ অধিদপ্তর কতৃক সার্বক্ষনিক মনিটরিং করতে হবে।৩. খামারিদের বিদু ্যত বিল, শিল্প হারে নিতে হবে। ৪. বিগত ০৭/০৩/২০১০ তারিখে সরকার কতৃক নিধারিত ১ দিনের ব্রয়লার ওলেয়ার বাচ্চার দাম ৩০ ও ৩২ টাকা হারে দিতে হবে।৫. রানীক্ষেত, গাম্বরো ও বার্ডফ্লু জাতীয় জটিল রোগের টিকা ও ঔষধ বিনামূল্যে খামারিদের দিতে হবে।৬. সকল খামারিদের একটি সমিতির আওতায় এনে জামানত ছাড়া ঋণ প্রদানেরব্যবস্থা করতে হবে।৭. প্রাকৃতিক দুর্ভোগে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের ভূর্তকি দিতে হবে। অথবা ইন্সুরেন্সের আওতাভুক্ত করে ক্ষতি পূরণ দিতে হবে।৮. প্রত্যেক উপজেলার প্রধান বা বড় বাজারগুলিতে খামারিদেরকে সমিতি’রঅনুকূলে ২/৩ শতক জায়গা উপর মুরগী ও ডিম বিক্রির দোকান নির্মাণ কর দিতেহবে।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

করোনার প্রভাবে পোল্ট্রি শিল্পে নিন্মমুখী ধারা অব্যাহত- জরুরি প্রয়োজন বহুপক্ষীয় উদ্যোগ।

করোনার প্রভাবে পোল্ট্রি শিল্পে নিন্মমুখী ধারা অব্যাহত- জরুরি প্রয়োজন বহুপক্ষীয় উদ্যোগ। করোনার দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »