আজকের ওয়াপসা এবং পিপিবি যৌথ সভায়- “পোলট্রি শিল্পের বর্তমান সংকট এবং সমাধানের পথ” ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন ( ওয়াপসা-বিবি) এবং পোলট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ(পিপিবি)র যৌথ মত বিনিময় সভায় পিপিবি’র-
বাংলাদেশের পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণে কতিপয় প্রস্তাব-(খসড়া আকারে)
প্রস্তাব- ১
ভোক্তা এবং পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রির কল্যানে নিরাপদ পোলট্রি পন্য উৎপাদনে,পোল্ট্রি প্রাকটিসে এবং পোল্ট্রি কিপিং এ (উৎপাদন,বিপনন,চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনায়) আলাদা ভাবে ন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড মানদন্ড (নীতিমালা আকারে) নির্ধারণ এবং অনুসরণ করার প্রস্তাব করছি ।
প্রস্তাব- ২
বর্তমান চাহিদার সাথে সমন্বয় করে বাচ্চা উৎপাদন কোম্পানিগুলোর যে পরিমান বাচ্চা উৎপাদন হয়, তার আনুপাতিক হারে (শতকরা হিসাবে) বাচ্চা উৎপাদন কমিয়ে দেওয়া এবং তা মেনে চলতে প্রানী সম্পদ অধিদপ্তর এবং রেজিস্টার্ড পোল্ট্রি সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর যৌথ ভিজিলেন্স কমিটির মাধ্যমে নিয়মিত তদারকি করা।
প্রস্তাব- ৩
বাচ্চার দামের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন দাম স্থির করে দেওয়া ( সমন্বয় করতে হবে, পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি সংশ্লিষ্ট সংগঠন, মৎস ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রণালয়,বানিজ্য মন্ত্রনালয়,শিল্প মন্ত্রণালয়,কৃষি মন্ত্রনালয়,বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের সমন্বয়ে)
★** পোল্ট্রি ব্যবসা পরিচালনায় উল্লেখিত মন্ত্রনালয়গুলো সরাসরি যুক্ত।
প্রস্তাব- ৪
বর্তমানের চাহিদার অতিরিক্ত বাচ্চা যাঁরা উৎপাদন করতে চান,তাদের অতিরিক্ত উৎপাদন করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল মানদণ্ড অনুসরণ করতে হবে এবং এই অতিরিক্ত বাচ্চা শুধুমাত্র রপ্তানিমুখী (প্রসেস ব্রয়লার,ডিম ইত্যাদি) কারনে উৎপাদন করা যাবে-
যে কোন উদ্যোগতার রপ্তানীমুখী উৎপাদনের জন্যঃ
ক) সুনির্দিষ্টভাবে আলাদা ফার্ম, ফিড মিল,হ্যাচারি,ব্রয়লার বা লেয়ার ফার্ম এবং প্রসেসিং প্ল্যান্ট সহ সকল অবকাঠামো এবং রপ্তানির জন্য প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট (ফুড সেফটি সহ অন্যান্ন লাইসেন্স) থাকতে হবে।
খ) রপ্তানিমুখী ফার্মের কোন বাচ্চা বা ডিম অথবা জীবন্ত ব্রয়লার লোকাল বা দেশী বাজারে বিক্রি করা যাবে না (গার্মেন্টস সেক্টরে রপ্তানিমুখী উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে ভাবে অনুসরন করা হয়)
গ) কোন উদ্যোগতা রপ্তানিমুখী ফার্মিং আইন অমান্য করলে জেল জরিমানার ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং এ বিষয়ে আলাদা নীতিমালা থাকতে হবে (রপ্তানিমুখী পোল্ট্রি উৎপাদন নীতিমালা)
ঘ) বাংলাদেশের পোলট্রি পন্যের রপ্তানি উৎসাহিত করার জন্য অন্যান্ন আনকনভেনশনাল পন্য রপ্তানিতে সরকার যেভাবে নগদ প্রনোদনা দের একই ভাবে ডিম মাংস রপ্তানিতে প্রাথমিক ভাবে ৩/৪ বছরের জন্য সর্বোচ্চ প্রনোদনার ব্যবস্থা রাখার প্রস্তাব করছি।
প্রস্তাব- ৫
প্রতি এক বা দুই বছর পর পর বাচ্চার দামের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন বিক্রয় মূল্য পূন নির্ধারণ করতে হবে, একই সাথে প্রতি বৎসর কে দুই অর্ধে ভাগ করে পোলট্রি পন্যের দামের সর্বনিন্ম এবং সর্বোচ্চ মুল্য স্থির করে দেওয়ার প্রস্তাব করছি। (ভোক্তা অধিকার এবং প্রান্তিক খামারী কল্যান উদ্যোগের আওতায়)
প্রস্তাব- ৬
প্রান্তিক পর্যায়ে স্থায়ী উদ্যোগতা তৈরি ও উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে, অগ্রবর্তী প্রান্তিক খামারিদের সরকারের তরফ থেকে খামার পরিচালনার অভিজ্ঞতা,দক্ষতা এবং ক্যাপাসিটি বিবেচনায় নগদ টাকায় ভর্তুকির (প্রনোদনা) ব্যবস্থা থাকতে হবে, এই উদ্যোগ কে ইন্ডাস্ট্রি ওয়েলফেয়ার হিসাবে বিবেচনা করতে হবে, প্রনোদনা হবে- বছরে এক কালীন।প্রনোদনার তহবিল গঠনে বাংলাদেশের বড় পোলট্রি শিল্প উদ্যোগতা, বিদেশী উন্নয়ন সংস্থা এবং সরকারের যৌথ ভূমিকা নেওয়া জরুরী।
এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য মূলত ক্যাপাসিটি বিল্ডিং এর আওতায় স্থায়ী এবং দক্ষ খামারী সৃষ্টি করা- যা স্থিতিশীল একটি পোল্ট্রি শিল্প কাঠামো ও দক্ষ পোল্ট্রি সাপ্লাই চেইন তৈরিতে এবং নিরাপদ পোলট্রি পন্য উৎপাদনে দীর্ঘ মেয়াদে ভূমিকা রাখবে।
প্রস্তাবঃ ৭
বাজারের মানহীন সকল খাদ্য বাচ্চা মেডিসিন ভিটামিন উৎপাদন এবং বিপনন বন্ধে কঠোর নজরদারি করতে হবে- মানহীন খাদ্য বাচ্চা মেডিসিন ইত্যাদি ব্যবহার করে যেন প্রান্তিক খামারিদের বারে বারে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে না হয় তার জন্য যথাযথ মান নিয়ন্ত্রন সংস্থার ভূমিকা বাড়ানোর প্রস্তাব করছি।
প্রস্তাব- ৮***
বাংলাদেশের পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রির জন্য পূর্নাঙ্গ ক্লাউড বেজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত অনলাইন ভিত্তিক ডাটাবেজ গঠনের উদ্যোগ নিতে হবে।
বাংলাদেশের চলমান পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতি মুহুর্তে শত রকমের ডাটা জেনারেট হচ্ছে-প্রশ্ন হল আমরা প্রায়োরিটি বেসিস কোন কোন ডাটাগুলো অরগানাইজড পন্থায় সংগ্রহ, কোডিং, এন্ট্রি এবং প্রসেস করব? যদি সম্পুর্ণ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি বিবেচনা করি তাহলে ডাটাবেজ অপরিহার্য এবং সেখানে প্যারামিটার এবং ফাংশনালিটিসগুলো সকল স্টেক হোল্ডারদের নিয়েই স্থির করতে হবে,কারন প্যারামিটার যত বেশি হবে,ডাটাবেজ তৈরি করতে খরচ আনুপাতিক হারে তত বাড়বে।
কেন পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রির জন্য সম্পুর্ন ডাটাবেজ দরকার?
এ কারনে দরকার যে আমরা এই ডাটাবেজ এর মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রির অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা ধারনা করতে পারব-যার মাধ্যমে উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে পারব এবং বাংলাদেশে পোল্ট্রি শিল্পে একটা স্থিতিশীল অবস্থা নিয়ে আসতে পারব।
স্থিতিশীল অবস্থা কেন দরকার?
১. বিনিয়োগ কে সিকিউর করা।
২. উন্নত প্রযুক্তি স্থাপনের কারনে পার ইউনিট খরচ প্রতি বছরই বাড়ছে।
৩. পোল্ট্রি খামারের ডেনসিটি বাড়ার কারনে নতুন রোগবালাই এবং এর জন্য ব্যয় বাড়ছে(নিয়ন্ত্রণ এবং চিকিৎসা)
৪. প্রতিযোগিতার কারনে সাপ্লাই এবং বিপনন চেইনে কমিশন এবং ব্যবস্থাপনা খরচ বাড়ছে।
৫. আন্তর্জাতিক বাজারে পোল্ট্রি ফিডের কাঁচামাল এবং অন্যান্ন লজিস্টিকস এর জন্যও ব্যয় বাড়ছে।
৬. বেতন ভাতা ইনক্রিমেন্টসহ রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট খরচ বাড়ছে।
বিগডাটা ম্যানেজমেন্ট ভিত্তিক বাংলাদেশের পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রির পূর্নাঙ্গ ডাটাবেজ তৈরি করতে গেলে নিন্মের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে হবেঃ-
#Early warning
# Prediction
# Future production planning
# Budget & Control
# Goal setting
# Achievement
# Monitoring, Evaluation
★★★ এগুলো বিবেচনায় নিতে হবে প্রকৃত চাহিদা এবং সুপ্ত চাহিদা সম্পর্কে বাস্তব ধারনা নেওয়ার জন্য।
ডাটাবেজ গঠনের উদ্যোগ-
পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রির সকল স্টেক হোল্ডারগন মিলিতভাবে করতে পারেন অথবা স্বতন্ত্র ভাবে যে কোন এন্টারপ্রাইজ বা সংগঠন নিজেদের উদ্যোগেও করতে পারেন।
ইস্যু যেহেতু পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রির কল্যান করা- এখানে অন্যান্য ডাটার সাথে Bio Statistics খুবই গুরুত্বপূর্ণ,সে কারনে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তি নির্ভর বিগডাটা ম্যানেজমেন্ট এর বিকল্প নেই।
প্রস্তাব- ৯
রপ্তানিমুখী এবং স্থানীয় বাজারের জন্য সেফ চিকেন পন্য উৎপাদনের উদ্দেশ্যে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং বা দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রতিটি বিভাগে পোল্ট্রি এবং লাইভস্টক ইন্সটিটিউট চালু করতে হবে-
প্রস্তাবিত পোলট্রি এন্ড লাইভস্টক ইন্সটিটিউটে যে সকল কোর্স থাকতে পারে-
#এক বছর মেয়াদি কোর্স
#সুনির্দিষ্ট বিষয়ে ৩-৭ মেয়াদি ইস্কুলিং
#যাঁরা ইতিমধ্যে খামারে কাজে যুক্ত আছেন তাদের জন্য ১ মাসের বিশেষ ট্রেনিং কোর্স।
প্রস্তাবিত এই কোর্সগুলোর একাডেমিক ক্যারিকুলাম এমন হবে যেন পোলট্রি উৎপাদনের প্রাথমিক ওয়ার্কফোর্সের সদস্যগন ( দক্ষ শ্রমিক, সহকারী সুপারভাইজার এবং সুপারভাইজার) নিরাপদ পোলট্রি পন্য উৎপাদন সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারনা লাভ করতে পারেন-
#উদ্দেশ্য আগামীদিনে সেফ চিকেন পন্য উৎপাদন কতটা অপরিহার্য্য পোলট্রি শিল্পের কল্যান ও পাশাপাশি ভোক্তার চাহিদার বিবেচয়নায়।
প্রস্তাব- ১০
পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রির পরিপূর্ণ ডাটাবেজ তৈরি করার জন্য পোল্ট্রি খামারীদের নিয়ে জেলা উপজেলা ইউনিয়ন ভিত্তিক ভলান্টিয়ার টিম গঠন করা।
যে ধরনের উদ্যোগ*** ইতিমধ্যে পোলট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ (পিপিবি) ও বাংলাদেশ পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ যৌথভাবে সারাদেশের বিশেষ পোলট্রি জোনের প্রতিদিনের পোলট্রি পন্যের পাইকারী মূল্য সংগ্রহের জন্য গ্রহন করেছে।
প্রস্তাব- ১১
দেশে পোল্ট্রি পন্য নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানান মিডিয়াতে নেতিবাচক খবর এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অপ্প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এবং পোল্ট্রি পন্যের ভোক্তার আস্থা ফিরিয়ে আনতে-প্রচার, প্রমোশন,এক্টিভেশন এবং ব্র্যান্ডিং এর জন্য একটি সেল গঠন করার প্রস্তাব করছি।
প্রস্তাব- ১২
আগামীদিনে চাহিদার অতিরিক্ত,একদিন বয়সী বাচ্চার অতিরিক্ত উৎপাদন ঝুঁকি এড়ানোর জন্য বাচ্চা উৎপাদন এবং চাহিদার গ্রোথের (Demand Growth) সাথে সমন্বয় করতে হবে- তার জন্য জেলা ভিত্তিক চাহিদা নিরূপণ করে সুনির্দিষ্ট জেলায় নতুন ব্রিডার ফার্ম এবং হ্যাচারি স্থাপনের জন্য যথাযথ অথোরিটির অনুমোদনের বাধ্যবাদকতা থাকতে হবে।
প্রস্তাব-১৩
আগামী ২০২০ সালে স্থিতিশীল পোল্ট্রি শিল্প এবং স্থায়ী বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পোল্ট্রি শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠন, প্রান্তিক খামারি, সরকারি বেসরকারি এবং দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে ঢাকায় জাতীয় “পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রি কনভেনশন-২০২০” আয়োজন করা সময়ের দাবি-
উদ্দেশ্য-
ক) তৃনমুল থেকে পোল্ট্রির সংকট এবং সংকট থেকে উত্তরণের প্রস্তাব উঠে আসবে।
খ) সরকারের নীতি নির্ধারনী যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পোল্ট্রি শিল্পের অবদান এবং সংকট ও সম্ভাব্যতার কথা তুলে ধরা।
গ) সকলের সম্মিলিত চিন্তায় কিছু প্রস্তাব গৃহীত হবে যা স্বল্প দীর্ঘ এবং দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়ন যোগ্য।
ঘ) কর কাঠামোয় পোল্ট্রি শিল্পের কাঁচামাল আমদানি নীতিতে নানান শুল্ক এবং অশুল্ক বাঁধা উত্তরনের জোরালো দাবি তোলা।
প্রস্তাব- ১৪
বাংলাদেশের পোলট্রি শিল্পের জন্য দরকারী কাঁচামালের সিংহভাগই আমদানী নির্ভর- ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্য পোলট্রি ফিডের কাঁচামালের দামের উঠানামা এবং আমদানী পর্যায়ে নানাবিধ শুক এবং অশুল্ক বাঁধা প্রতিযোগিতামূলক বাজারে পোলট্রি পন্য উৎপাদনে উৎপাদনকারীদের বহুবিধ ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পোলট্রি শিল্পের অনুকূলে সরকারের সাথে দেন-দরবারে ইন্ডাস্ট্রির সক্ষমতা বাড়ানোর বাস্তবমুখী উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।
প্রস্তাব-১৫
প্রান্তিক খামারীদের কল্যানে পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রির সাপ্লাই চেইনের উপরে থাকা বৃহদ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে- এটা একারনেই জরুরী দেশে স্থায়ী প্রান্তিক খামারী সৃষ্টি হচ্ছে না- তারজন্য ফার্মার ওয়েলফেয়ারের নানান কার্য্যকরী দিকগুলো বিবেচনা করতে হবে।
পোল্ট্রি শিল্পের বর্তমানের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আন্তর্জাতিক মানের নিরাপদ পোল্ট্রি পন্য উৎপাদন করে স্থানীয় ভোক্তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে এবং পাশাপাশি বিশ্ব বাজার খুঁজতে হবে-অন্যথায় বাংলাদেশের পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি এক সময় দেশীয় উদ্যোক্তাদের হাত ছাড়া হয়ে যাবে।
আগামীদিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আগে আগে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে, গুনগত নিরাপদ পোলট্রি পন্য উৎপাদনের বহুমুখী উদ্যোগের মাধ্যমে -মহাজনি এবং মনোপলি পোলট্রি ব্যবসার চিন্তার ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কর্ম সৃজনের এই বিশাল খাত যেন আরো এগিয়ে যায়,জিডিপিতে আরো বেশি অবদান রাখতে পারে তার জন্য নির্মোহ দৃষ্টিকোন থেকে সকলের সমন্বিত এবং সময় উপযোগী উদ্যোগ গ্রহন করা দরকার এবং তা করার এখনই সঠিক সময়।
ধন্যবাদান্তে
পক্ষে, সমন্বয়ক
পোলট্রি প্রফেশনাল’স বাংলাদেশ (পিপিবি)
২৪ অক্টোবর ২০১৯ ইং