বিড়াল যারা পোষেন তারা অনেক সময় “নরমাল খাবার” এবং “ক্যাট ফুড” এই দুটো বিষয় নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন।এজন্য কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা দরকারঃ
১.প্রথমেই আপনাকে বুঝতে হবে আপনি যে প্রাণীটি পুষছেন সেটি একটি কার্নিভোরাস প্রাণি।সুতরাং, শুধু দুধ বা ভাত তাকে খাওয়ালে তার স্বাস্থ্যের উন্নতি কখনোই হবে না।সুতরাং,বিড়ালকে পরিমাণ মত ভাত,দুধ এবং তার সাথে অবশ্যই মাংস বা মাছ দিতে হবে,যেন তার খাদ্যে প্রোটিনের ঘাটতি না পরে।
২.অনেক সময় দুধ বা ভাত খাবার কারণে বিড়ালের ডায়রিয়া হয়।সুতরাং,যদি আপনার বিড়ালের দুধ খাবার অভ্যাস থাকে তবে সমপরিমাণ দুধ এবং পানি মিশিয়ে খাওয়াবেন।গাঢ় দুধ বিড়ালকে কখনোই দেয়া যাবে না।
৩.বিড়ালের জন্য যদি “Canned food” বা “Commercial Cat Food” বেছে নেন তবে অবশ্যই সেটা বিড়ালের ব্রিড অনু্যায়ী পছন্দ করতে হবে।কারণ,এক এক ব্রিডের পুষ্টিচাহিদা একেক রকম।
৪.সব ক্যানড ফুড এক না।মনে রাখতে হবে বিড়াল একটি মাংসাশী প্রাণি।তার সুস্বাস্থ্যের জন্য প্লান্ট প্রোটিনের থেকে অ্যানিমেল প্রোটিন বেশি জরুরি যা তার দৈহিক গঠনে ভূমিকা রাখবে।সুতরাং আপনার বিড়ালের রুচি এবং খাদ্যাভ্যাস অনু্যায়ী কমার্শিয়াল ফুড চয়েজ করুন।
৫.সাধারণত, ক্যানড ফুডে অ্যানিমেল প্রোটিন বেশি থাকে।
৬.যখন ক্যানড/কমার্শিয়াল ফুড কিনবেন তখন লক্ষ্য রাখবেন যেন সেই খাদ্যে কমপক্ষে ১০% কার্বোহাইড্রেট সোর্সের ক্যালোরি,৪০% প্রোটিন সোর্সের ক্যালরি,এবং ৫০% ফ্যাট সোর্সের ক্যালরি থাকে।এসব তথ্য ফুডের ইনগ্রিডিয়েন্ট থেকেই আপনি পেয়ে যাবেন।
৭.কমার্শিয়াল ফুডগুলোতে ওয়াটার কন্টেন্ট বেশি থাকে যা বিড়ালের ইউরিনারি ট্র্যাক্ট হেলথের জন্য ভালো।কারণ অনেক সময় দেখা যায় বিড়াল হয়ত ঠিকমত পানি খায় না বা পায় না।সেক্ষেত্রে এসব খাদ্যের উপযোগিতা বেশি।
৮.যদি আপনি আপনার বিড়ালের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে চান সেক্ষেত্রে সময় নিয়ে বাসার খাবার এবং কমার্শিয়াল ফুড অল্প অল্প করে এক্সচেঞ্জ করবেন।হুট করে খাবার বদলাবেন না।তাতে করে বিড়ালের ডাইজেস্টিভ ট্র্যাক্টের প্রবলেম যেমনঃডায়রিয়া,আমাশয়,কোষ্ঠকাঠিন্য,বদহজম ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
মনে রাখবেন,একটি প্রাণির সুস্বাস্থ্যের জন্য সঠিক পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট দরকার।সুতরাং, আপনার পোষ্যটির স্বাস্থ্যগত দিক ভালো রাখতে চাইলে এসব খাদ্য উপাদান পরিমাণমত দিন।
ভেটো নামক গ্রুপ থেকে নেয়া