পোল্ট্রি ফার্মে রোগ বিস্তার ও নিয়ন্ত্রণ ঃ
এক সেড থেকে অন্য সেডে,এক ফার্মে থেকে অন্য ফার্মে,এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় এমনকি এক দেশ থেকে অন্য দেশে ও অন্য মহাদেশে রোগের বিস্তার ঘটে।
১।ডিমের মাধ্যমে (ভার্টিকেল)
যা ডিমের ভ্রুনের মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে।
1.মাইকোপ্লাজমোসিস
2) সালমো্নেলোসিস
3.এভিয়ান এনসেফালোমাইয়েলাইটিসছ)
4.এভিয়ান রিও ভাইরাস
5.এভিয়ান লিউকোসিস
6. আই বি
7.এভিয়ান এডিনোভাইরাস (IBH,EDS-76)
মেরেক্স ডিমের মাধ্যমে সরাসরি ছড়ায় না তবে ফার্মে যদি মেরেক্স থাকে তাহলে ইনডাইরেক্টলি ফার্ম এবং হ্যাচারী থেকে বাচ্চাতে আসতে পারে।
প্রতিরোধঃব্রিডার্স ফার্ম ও হ্যাচারি মালিকদের সচেতন হতে হবে।
২।পোল্ট্রি ফার্ম স্থায়ীভাবে আক্রান্ত হওয়া
পুরাতন পোল্ট্রি খামার এবং দুর্বল ব্যবস্থাপনাযুক্ত খামারে রোগ জীবাণু স্থায়ীভাবে থেকে যায়।
1)সালমোনেলোসিস
2)গামবোরো
3)মারেক’স
4)ই -কোলাই
5)স্ট্যাফাইলোকক্কোসিস
6)কক্সিডিওসিস
প্রতিরোধঃ বায়ুসিকিউরিটি ভাল রাখতে হবে,৩মাস গ্যাপ দিয়ে মুরগি তুলতে হবে।
৩।বায়ু বাহিত রোগ
এ সমস্ত জীবাণু আক্রান্ত মুরগির শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে খামারের অন্য মুরগিতেও ছড়িয়ে পড়ে।
1)ল্যারিংগোট্রাকিয়াটিস
2)মাইকোপ্লাজমোসিস
3) এন ডি
4)এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা
5) ব্রংকাইটিস
৪।হ্যাচারি বাহিত ঃ
ডিম পাড়ার সময় ডিমের খোসা জীবাণু দ্বারা সংক্রামিত হয় তাছাড়া ডিম লিটারের সংস্পর্শে এসে নোংড়া ডিম হ্যাচারির যন্ত্রপাতি সমূহকে দূষিত করে।
1) স্ট্রেপটোকক্কোসিস
2) ই -কলাই
3)স্ট্যাফাইলোকক্কোসিস
4)প্রোটিওসিস
5)সালমোনেলোসিস
6)ক্যানডিডিয়াসিস
7)এসপারজিলোসিস
8)কলস্ট্রিডিয়াল ইনফেকশন
প্রতিরোধঃহ্যাচারির সঠিক পরিকল্পনা,ফ্লকের ও হ্যাচারীর ভাল ব্যাবস্থাপনা,হ্যাচিং এর জন্য ডিম বাছাই,ডিম সংরক্ষণ ইত্যাদি ভালভাবে করতে হবে।
৫।হ্যাচারি থেকে ফার্মে
1)স্ট্যাফাইলোকক্কোসিস
2) নিউমোনিয়া
3)অমফ্লাইটিস
প্রতিরোধঃ হ্যাচারি মালিকদের ভাল ব্যবস্থাপনা ভাল হতে হবে।
৬।বয়স্ক মোরগ মুরগি রোগের বাহক
1) মাইকোপ্লাজমোসিস
2)ফাউল টাইফয়েড
3)ইনফেকশাস করাইজা
4)সালমোনেলোসিস
5) আই বি
6) আই এল টি
7)রাণীক্ষেত রোগ
8)মাইট, উকুন,আটালি
প্রতিরোধঃ অল্প বয়স্ক মুরগিকে পূর্ণবয়স্ক মুরগির থেকে আলাদা রাখতে হবে।
৭।মেকানিক্যাল ক্যারিয়ার (Vectors) :
অনেক জীবাণু আছে যা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে রোগ ছড়ায় বিশেষ করে শ্বাসতন্ত্রের রোগ,বহিঃপরজীবি এবং কিছু ছোঁয়াচে রোগ। যেমন
1)গাম্বোরু রোগ
2) রাণীক্ষেত রোগ
3)ফাউল পক্স ইত্যাদি।
অন্যান্য যে সব কারণে জীবানূ ছড়ায় ঃ
#দূষিত খাদ্য(মাইকোটক্সিন,ক্লোস্টিডীয়াম,সালমোনেলা।ই কলাই)
#ডিম,ট্রে ও খাদ্য পরিবহনের গাড়ি,ভ্যান,খাঁচা ইত্যাদি।
#টিকটিকি,মশা,মাছি,শকুন, বন্য পাখি কুকুর,বিড়াল,ইঁদুর,শেয়াল
#কর্মচারী,ম্যানেজার,পরিদর্শক,কনসালট্যান্ট.
#ফিসমিল সালমোনেলার জীবাণু বহন করে.
#পানির মাধ্যমে বিশেষ করে ই.কোলিই,হিমোফিলাস প্যারাগেলিনেরাম,পাসচুরেলা ইত্যাদি রোগ ছড়ায়।
মুরগির ফার্মে কিভাবে রোগ আসে:
১.জীব জন্তু,পাখির (কবুতর,কাক,বিদেশি পাখি)মাধ্যমে : A I,ND,Coccidiosis, Fowl cholera,Ticks& mites.
চড়ুই পাখি মাইকোপ্লাজমা
দেশী মুরগি সাল্মোনেলা,কলেরা,পক্স,রানিক্ষেত,এ আই
২.বাতাসের মাধমে : ND,ILT,mycoplasma,A I.
৩.টিকার মাধমে :Adenovirus,Reo &Reticuloendo.
৪.Feed :Salmonella,Mycotoxin. ND
৫. By egg :Mycoplasma,Salmonella( S pullorum,enteritis,Typhoid,paratyphoid),E coli,Adeno, Reo & Avian Leucosis.
৬.গোবরে পোকা :Fowl cholera,Mareks,Coccidiosis,IBD,Salmonellosis.
৭.মশা : Pox & Parvo virus,
৮.মাছি: Campylobactoriosis,Salmonella & ND, Tapeworm ,Coccidiosis.
৯.ছুছু,ইদুর :Salmonella,Cholera,Lice,Mite.
১০.পানি :E coli,Cholera,Coccidiosis.ND
১১.লিটার(Litter) Coccidiosis.Mycotoxin ।পুরাতন লিটার যদি জমা থাকে তাহলে.ND,IBD,LPAI
১২ যানবাহন এবং যন্তপাতি: A I,E D S, ND.
১৩. যে কোন রোগ.
মুরগির ফার্মে জীবাণূ কতদিন বেঁচে থাকে?
মুরগি বিক্রির পর ফার্মে জীবাণূ কতদিন বেঁচে থাকে তা নিন্মে দেয়া হল
১.গাম্বোরু কয়েক মাস
২।কক্সিডিওসিস। কয়েক মাস
৩।মেরেক্সস কয়েক মাস থেকে বছর
৪।এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ৩ মাস
৫।কলেরা কয়েক সপ্তাহ
৬।সালমোনেলা কয়েক সপ্তাহ
৭।রানিক্ষেত। কয়েকদিন থেকে কয়েক সপ্তাহ
৮।ডাক প্লেগ। কয়েকদিন
৯।করাইজা কয়েক ঘন্টা থেকে দিন
১০.মাইকোপ্লাজমা -কয়েক ঘন্টা থেকে দিন
এই জন্য ডাউন টাইম মেনে চলতে হয়,
ডাউন টাইম হল ফার্মে পরিস্কার করার পর ফার্মে মুরগি তোলার মধ্যবর্তী সময়.
পুলেটের ক্ষেত্রে ৪ সপ্তাহ
লেয়ারের ক্ষেত্রে ৬ সপ্তাহ
ব্রয়লারের ক্ষেত্রে ২ সপ্তাহ
তাই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে ডাউন টাইম দিয়ে ফার্মে মুরগি তুলতে হয়.