কনসালট্যান্ট/দক্ষ হতে ভেটদের কি জানতে হবে এবং কিভাবে প্যাক্টিস করা উচিত।
পোল্ট্রির উপর ভিত্তি করে লেখা ।ডেইরী এবং পেট এনিম্যালের ক্ষেত্রেও প্রায় কাছাকাছি সিস্টেম।
পাঠ ১।
১।নরমাল অর্গান
নরমাল ফিজিওলজি ,নরমাল অর্গানের কালার ও সাইজ জানা দরকার।
কোন প্রজাতির কি রোগ হয় এবং সে রোগের মর্টালিটি /মর্বিডিটি কত তা জানতে হবে।
ব্রয়লার,লেয়ার ,সোনালি,কোয়েল,টার্কি,হাস ,কবুতর ও দেশি মুরগির কিছু কমন রোগ হয় আবার কিছু আলাদা রোগ হয় ।
মর্টালিটির ক্ষেত্রেও কম বেশি হয়।
যেমন রানিক্ষেত যদি ব্রয়লারের হয় তাতে মর্টালিটি হবে ৫০-১০০%।সোনালীর হলে ১০-৬০%।লেয়ারের হলে ৫-৫০।
তবে কিছু কম বেশি হতে পারে।
মেরেক্স সোনালীতে বেশি হয়।ব্রয়লারে হবার সুযোগ তেমন নাই।
টার্কির গাম্বোরু তেমন হয় না আবার কোয়েলের রানিক্ষেত তেমন হয় না হলেও মর্টালিটি কম হয়।
আবার কোন বয়সে কি রোগ হয় তাও জানতে হবে,
যেমন মেরেক্স লেয়ারে প্রধানত ১০ সপ্তাহের পরে হয়,১৬-২০ সপ্তাহে বেশি হয়।
সোনালীতে মেরেক্স অল্প বয়সেই হয়।
হাসের ক্ষেত্রে কলেরা ৪ সপ্তাহের পর থেকেই হয় কিন্তু লেয়ারে ১২ সপ্তাহের পর হয়।
আবার কিছু রোগ আছে যা সব বয়সে হয় ।যেমন সালমোনেলোসিস
লিভার ,হার্ট ,কিডনি,ট্রাকিয়া,ঝুটি,ক্ষুদ্রান্ত,প্রভেন্টিকোলাস,গিজার্ড,ফুসফুস ,চোখ এবং পায়খানার নরলামটা জানলে রোগের ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হবে তা বুঝা যাবে ।আবার বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে একই অর্গানের বিভিন্ন পরিবর্তন হয় তাও আলাদা করে জানা লাগে।
যেমন রানিক্ষেত,এ আই ,আই বির জন্য ট্রাকিয়ায় একই লক্ষণ ও লেশন দেখা যায়।
তাছাড়া শুধু অর্গান দিয়েই রোগ নির্ণয় করা যায় না কারণ বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে একই লেশন এবং লক্ষণ দেয়া যায়।
যেমন কলেরা,এ আই এবং হিট স্টোক এর ক্ষেত্রে একই লেশন দেখা যায়।তখন হিস্ট্রি নিতে হয় এবং আরো লেশন দেখে ডায়াগ্নোসিস করতে হবে।
২।পোস্ট মর্টেম
পোস্ট মর্টেম করতে হবে ঠিক ভাবে শুধু মুরগি কাটলেই হয় না।
মুরগিটাআগে পানিতে ভিজিয়ে নিলে কাটতে সহজ হয়।
মুখ বা পেঠের দিক দিয়ে শুরু করতে হবে।
আস্তে আস্তে ভিতরে যেতে হবে,রক্ত যাতে সব কিছুতে লেগে না যায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
রক্ত সব কিছুতে মিশে গেলে ভাল বুঝা যাবে না।
প্রয়োজনে পানি দিয়ে হার্ট,কিডনি,ফুসফুস,লিভার সহ সব অর্গান দেখতে হবে।
প্রতিটা অর্গান আলাদা করে আলাদাভাবে দেখতে হবে এবং মনে রাখতে হবে।
৩।বাসায় আনা মুরগির পোস্ট মর্টেম
বাড়িতে খাবারের জন্য যত মুরগি আসবে সব নিজে কাটতে হবে এবং ভাল করে দেখতে হবে।বাড়িতে পালন করা মুরগি বা মুরগিতে কিনে আনা অধিকাংশই সুস্থ থাকে তাই নরমাল অর্গান চেনা সহজ।
কোরবানীর সময় লার্জ এনিম্যাল/স্মল রুমিনেন্ট এর অর্গান গুলিও ভাল ভাবে দেখে শিখতে হবে ,কোথায় থাকে ,কালার ও সাইজ কেমন হয়।
তাছাড়া বাসায় আনা ডিম ,দুধ ও মাংস খেয়াল রাখতে হবে খেতে কেমন ।একেক সময় একেক স্বাদ ,গন্ধ ও কালার হয় কিনা।
৪।নিজের বাসায় লেয়ার/ব্রয়লার,সোনালী,কোয়েল,টার্কি/হাস/কবুতর/গরু/ছাগল/ভেড়ার ফার্ম বা কিছু সংখ্যক প্রানী/পোল্ট্রি থাকা উচিত।শুধু থাকলেই হবে না।সেগুলোকে দেখে শিখতে হবে।
যেমন রোগ,মর্টালিটি,মর্বিডটি,চিকিৎসার ফলাফল,পালন পদ্ধতি।সেডের খরচ ,পালন খরচ,বানানোর নিয়ম।.
৫।এই সেক্টরের সাথে জড়িত লোকজনের মন মানসিকতা,অর্থনীতি,শিক্ষা,ব্যবসার ধরণ।ডিলার,মধ্যস্বত্তভোগী সবাইকে জানতে হবে।
খামারীদের হালচাল নামে একটা ক্যাটাগরিতে অনেক গুলো পোস্ট আছে সেখান থেকে ধারণা পাওয়া যাবে।
৬।পোল্ট্রি ও ডেইরীর ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসার জন্য সব গুলো প্রডাক্ট এর নাম জানতে হবে।
চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় মেডিসিনের নাম,ডোজ ,মুরগির স্ট্যান্ডার্ড বডিওয়েট ও পানি কত তা জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী মেডিসিন দিতে হবে।
ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ও জানতে হবে।
লাইটিং,লিটার,পর্দা,খাবার ব্যবস্থাপনা,ফিড ফর্মুলা,সেডের গঠন,বায়োসিলিউরিটি এবং বিভিন্ন ধরণের ধকলের কারণে বিভিন্ন সমস্যা হয়।সেগুলো সম্পর্কে জানতে হবে।শুধু রোগ নিয়েই ফার্মের সমস্যা হয় না বা রোগের বাহিরেও অনেক কারণ থাকে যা জেনে অনেক কিছু সমাধান করা যায়।
গলায় প্যাচ লেগে মুরগি মারা যায় তাই মুরগি কাটার সময় গলা দেখতে হবে।
ভয় পেয়েও মুরগির বিভিন্ন সমস্যা এগ পেরিটোনাইটিস হতে পারে,ডিম কমে যেতে পারে।
ডিম পাড়া মুরগি ট্রান্সফার করলে ডিম সাদা এবং ডিম কমে যায় ,কিছুদিন পর ঠিক হয়ে যায়।তাই এই ক্ষেত্রে রোগ খোজা বোকামী হবে।
উপরে উল্লিখিত বিষয়ের উপর অনেক পোস্ট আছে এবং সহজে বের করার সূত্রও আছে Poultry Doctors BD তে।
অন্তত পক্ষে কয়েকটা এন্টিবায়টিক,টক্সিন বাইন্ডার,ইমোনোস্টিমুলেটর,কফে নিঃসারক,জ্বর ও ব্যথানাশকের নাম ,ডোজ জানলেও যারা নতুন তারা কাজ চালিয়ে যেতে পারবে।
৭। চিকিৎসা খরচ কত হবে তাও জানতে হবে।
১০০০ মুরগির চিকিৎসার খরচ যাতে ১০০০০ টাকার বেশি না হয়।
দরকার হলে খরচ বেশি হতে পারে তবে ভুল করে যাতে না হয়।
৮।ডিলার এবং খামারীর কাছে সাহস নিয়ে কথা বলতে হবে।ডিলার এবং খামারী অনেক সময় উলটা পালটা করবে,পরীক্ষা নেয়ার চেস্টা করবে।নিজের দক্ষতা দিয়ে সব মোকাবেলা করতে হবে।যা সঠিক সবই করতে হবে।কারো কথা অনুযায়ী কিছু করার দরকার নাই।
তবে বাংলাদেশে জেনে শুনে বুঝে চিকিৎসা করা কঠিন ।আন্দাজে করলেই অনেক সময় খামারী খুশি হয়।বিজ্ঞান সম্মত পরিবেশ এখনো হয় নি।তবে এক সময় হবে।
যেমন আমি সারা দেশে ফি নিয়ে এপ্সের মাধ্যমে চিকিৎসা দিচ্ছি।সবার মাঝেই অনেক পরিবর্তন এসেছে এবং আরো আসবে.১০ বছর আগের ডাক্তার,খামারী ও ডিলার যেমন ছিল এখন কিন্তু আগের মত নাই।অনেক পরিবর্তন হয়েছে।অনলাইনের মাধ্যমে পরবর্তন টা দ্রুত হচ্ছে।
খামারীর স্বার্থ অনুযায়ী ভাল প্রডাক্টস দিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে।এতে উভয় পক্ষের লাভ।শট কাট লাভের কথা ভাবা যাবে না।
খামারী কাছ থেকে ভিজিট বেশি নেব ,এতে খামারীর লস হবে না লাভই হবে।এটা খামারীদকে বুঝতে হবে।সস্তার তিন অবস্থা।
৯।রোগ নির্ণয় ।
রোগ নির্ণয় ৩ভাবে করা যায় যেমন হিস্ট্রি ,পোস্ট মর্টেম এবং টেস্ট
রোগ নির্ণয়ের জন্য হিস্ট্রি হল সব চেয়ে দ্রুত, ভাল ও সঠিক কারণ
টেস্টের সুবিধা আমাদের দেশে খুব কম,তাছাড়া টেস্ট করতে গেলেও সব টেস্টত করা সম্বব না, হিস্ট্রি এবং পোস্ট মর্টেম করে প্রয়োজনীয় টেস্ট করতে হবে।
যেমন মুরগির গড় গড় শব্দ এবং মারা যাচ্ছে ।পোস্ট মর্টেম করে দেখা গেল ট্রাকিয়ায় এবং প্রভেন্টিকোলাসে রক্ত।এতে বুঝা গেল রানিক্ষেত এবং এ আই চেস্ট করলেই হবে,
আবার পোস্ট মর্টেম করলেও সঠিক বুঝা যায় না কারণ অনেক সময় পার একিউটে মুরগি মারা যায় বা কয়েকটি রোগের একই লেশন/লক্ষণ।যেমন কলেরা,এ আই ,হিট স্টোক।এক্ষেত্রে হিস্ট্রি দিয়েই বুঝা যাবে ।
যদি আবহাওয়া গরম থাকে,বুকের মাংস সাদা থাকে এবং পেঠের চর্বীতে ছাড়া অন্য কোথাও লেশন না থাকে তাহলে হিট স্টোক ধরে নিবো।
বাকি রইল এ আই আর কলেরা ।যদি গড় গড় শব্দ থাকে,ক্লোয়েকায় পিছনের দিকে রক্ত থাকে,ক্ষুদ্রান্তে ফোলা না থাকে তাহলে ধরে নিবো এ আই।
অনেক সময় ১ বা ২ মুরগি মারা যায় তখন কোন লক্ষণ ও লেশন পাওয়া যায় না তখন হিস্ট্রিই ভরসা।
কেউ যদি রোগের মর্টালিটি,মর্বিডিটি,ইনকিউবেশন পিরিয়ড,প্যাথোজেনেসিস, এপিডিওমোলজি জানে তাহলে সে রোগের হিস্ট্রি দিয়েই বলতে পারবে।
www.poultrydoctorsbd.com এ প্রায় সব গুলোএর বিস্তারিত আছে।সেগুলো প্যাক্টিক্যাল ওরিয়েন্ট করে লেখা যাতে সহজে বুঝা যায়।
১০।প্রোগ্নোসিস
রোগের সব বিষয়ে যদি ধারণা থাকে তাহলে রোগের ভবিষ্যত বলা সম্বব।
বাবা মা প্রায় সময়ই সন্তানের মুখ দেখেই মনে কথা বলতে পারে।এক বন্ধু আরেক বন্ধুর ব্যাপারেও অনেক সময় অনেক কিছু বলতে পারে।এর কারণ তাদের অনেক দিনের সম্পর্ক ।তেমনি রোগের ক্ষেত্রেও তাই।
প্রগ্নোসিস বলা/জানার সুবিধা ঃ
ফার্মের খরচ কমানো যায় ।যেমন মেরেক্সের ক্ষেত্রে চিকিৎসা করে লাভ নাই।যদি জানা যায় মেরেক্স হয়েছে তাতে খামারীকে বলতে হবে।এত গুলো মারা যাবে,এত দিন পরে ভাল হবে।
দক্ষতার পরিচয় দেয়া যায়।)খামারীকে যদি বলা যায় ৭ দিন পর মুরগি ভাল হয়ে যাবে আর যদি সত্যি সত্যি ভাল হয়ে যায়।এতে খামারী ডাক্তারের ভক্ত হয়ে যায়।)
দুঃচিন্তা থেকে মুক্ত থাকা আয়(যদি বলা যায় ৫/৭/১০ দিন পর মুরগি সুস্থ হয়ে যাবে তখন খামারী চিন্তা থেকে মুক্ত থাকে)
সিদ্ধান্ত নেয়া যায় (যদি জানা রোগ টি ভাল হবে না তখন খামারী সঠিক ডিসিশন নিতে পারে)
১১।ফার্মে যাবার আগেই রোগ নির্ণয়/ধারণা করে নিতে হবে।বাকি টুকু পোস্ট মর্টেম/টেস্ট করে।
মুরগি কেটে ডায়াগ্নোসিস করব এমন ভাবলে কঠিন হবে।তবে এটা দক্ষতার ব্যাপার।
১২।আমাদের প্যাক্টিস শুরু করার আগে ঠিক করতে হবে।আমি কোনটা ভাল করতে পারব।যেটা করতে ভাল লাগে সেটাই করতে হবে।
কেউ পেট এনিম্যাল।কেউ লার্জ/স্মল রুমিনেন্ট।কেউ পোল্ট্রিতে ভাল করে।
যারা প্রাইভেট প্যাক্টিস করবে তাদেরকে অবশ্যই বেশি করে শিখতে হবে কারণ তাদেরকে যোগাতার পরিচয় দিয়ে টিকে থাকতে হবে কারণ তাদের কোন সাইনবোর্ড নাই।
অনেকে সেক্ট্রেরের বাহিরে চলা যাচ্ছে ,যদি সম্বব না হয় বাহিরে যেতেই পারে ।তবে যে বিষয়ে পড়াশুনা করে সে বিষয়ে প্যাক্টিস করলে ভাল হয়।
সব কিছু করতে গেলে ভাল করা যায় না।তবে সর্বোচ্চ ২টির প্যাক্টিস করা যেতে পারে,এর বেশি না।একটি হলে বেশি ভাল।.
১৩।ক্যাম্পাসে সব শিখানো উচিত ।ক্যাম্পাসে না শিখালেও ইন্টার্নিতে শিখানো উচিত।
১৪।সময় এবং ধৈর্য্য নিয়ে প্যাক্টিস করে যেতে হবে।
সময় একটা গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়।
১৫।একেক টা রোগের যখন চিকিৎসা করা হবে বা কোথাও আলোচনা হবে তখন এর এ টু যেট শিখে ফেলতে হবে।
১৬।চিকিৎসা করার পর এর ফিডব্যাক নিতে হবে।এতে চিকিৎসার রিজাল্ট এবং ডায়াগ্নোসিস ঠিক ছিল কিনা বা রোগের তীব্রতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
এভাবে প্রতিটি রোগের ফিডব্যাক নিলে এক সময় সব রোগের ব্যাপারেই জানা হয়ে যাবে।
১৭।চিকিৎসা ২ ভাবে করা যায়
রোগ ডায়াগ্নোসিস করে এবং না করে
ডায়াগ্নোসিস না করে শুধু কয়েক টা মেডিসিনের নাম ও ডোজ জানলেই প্রেসক্রিপশন করা যায়।ডিলার, কোয়াক,খামারীরা তাই করে।
নতুন ভেট হিসাবে আপনিও করতে পারেন।অনেকে মনে করে কি রোগ হল বুঝলাম না ।চিকিৎসা কিভাবে করব।কোয়াকদের চেয়ে ভাল হবে।সাহস তাক্তে হবে।
রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দেয়া উচত।
১৮।এখান থেকে বুঝা গেল অনেক কিছু জানতে হবে,যারা ক্যাম্পাসে শিখেছে তারা ভাগ্যবান,যদি না শিখে থাকে তাহলে ইন্টার্নীতে শিখতে হবে,যদি সেখানে ও শিখা না হয় তাহলে Poultry Doctors BD তে এক সাথে সব আছে।।টোটাল ডি ভি এম টাকে প্যাক্টিকেলি সংক্ষিপ্তভাবে সাজানোর চেস্টা করেছি,করছি এবং করব।
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনেক সময় অনেক জায়গায় লিখেছি ,তবে এখানে সব কিছু একটা যায়গায় আনার চেস্টা করেছি।
আল্লাহ আমাকে যে জ্ঞান নিয়েছে তা ব্লগে সাজিয়েছি কারণ এর চেয়ে উপযুক্ত কোন মাধ্যম পৃথিবীতে নাই যা দিয়ে সুন্দর করে গোছানো যায় এবং যখন ইচ্ছা তা সহজে যে কেউ খুজে বের করতে পারে।
পাঠ ২।
প্রেসক্রিপশন করতে যে বিষয় গুলো ্লাগতে পারে।
১।এন্টিবায়োটিকঃ ( Antibiotics)
#কোইনোলনঃসিপ্রো,এনরো,নর,লেভো.
#পেনিসিলিনঃএমোক্সিসিলিন,এম্পিসিলিন
#টেট্রাসাইক্লিনঃডক্সি,অক্সি,সিটিসি
#এমাইনোগ্লাইকোসাইডঃজেন্টা,এমিকাসিন ,নিওমাইসিন ,স্পেক্টিনোমাইসিন ,স্পাইরামাইসিন
#ম্যাক্রোলয়েডঃটাইলোসিন,টিয়ামোলিন,টিল্মাইসিন,টিল্ভেলেসিন,এজিথ্রোমাইসিন,ইরাইথ্রোমাইসিন
#সালফারঃসালফাডায়াজিন ও ট্রাইমিথোপ্রিম কম্বিনেশন বা সালফাডায়াজিন,ট্রাইমিথোপ্রিম ও ইরাইথ্রোমাইসিন কম্বিনেশন
#ফ্লরফেনিকল
#কলিস্টিন
২।টক্সিন বাইন্ডার
৩।ইমোনিটি বিল্ডার
৪।ভিটামিন মিনারেলস
৫।কফ নিঃসারক
৬।এন্টি ডায়রিয়াল
৭।টিকা
৮।ব্যবস্থাপনা(এই বিষয়ে খামারী তেমন কিছু জানে না কারণ তাদের জানানো হয় নি বা বাধ্য করা হয় নি বরং খামারী এবং ডিলারকে খুশী করার জন্য সব করা হয় বা হয়েছে)
৯।ইনজেকশন(সিপ্রো,জেন্টা,স্টেপ্টোপেন,(ট্রাইজন)সেফালোস্পোরিন,রেনামাইসিন এল এ,জি এস টি, কে সি এন ডি,জেন্টা ও সালফারের কম্বিনেশন)
জেন্টা (১০০ এম এল ) (ডোজ .২-.২৫ ml i/M) প্রায় ২কেজি ওজনের লেয়ারের জন্য। (৩৯০)
স্টেপ্টোপেন ২.৫গ্রাম সাথে ১০ এম এল পানি (৬৭) (ডোজ গ্রোয়িং পিরিয়ডে .২-.৩এম এল করে) ওজন অনুযায়ী কম বেশি হতে পারে।
সেফটিরেন ১ গ্রাম (৪৮০) ৪০০ কেজির জন্য প্রডাকশনের ২০০ মুরগির জন্য ১গ্রাম ৫০ মিলি পানির সাথে মিশিয়ে ০.২৫ এম এল করে মাংসে
সেফট্রন ২গ্রাম ভায়াল(২৭০টাকা) ২০ এম এল ডিস্টিল ওয়াটারের সাথে মিলিয়ে মাংসে .২৫ এম এল।
কে সি এন ডি, জি ৫০ টি এস ,রেনামাইসিন এল এ ,জি এস টি .৫ এম এল করে মাংসে প্রায় ২কেজি ওজন মুরগির জন্য
(রেনামাইসিন এল এ বা লং লাস্টিং প্রডাক্টস গুলো ১-২দিন পর পর)
( ইঞ্জেকশনের পর সাথে প্যারাসিটামল পানিতে দেয়া উচিত।
১০।কৃমিনাশক
১১।এন্টিভাইরাল
১২।স্প্রে
১৩।স্যালাইন
১৪।লিভারটনিক
১৫।কিডনিটনিক
১৬।এঞ্জাইম
১৭।প্রবায়োটিক
১৮।হিট স্টকের জন্য বিটেইন,ক্রোমিয়াম,মেন্থল,সি।
১৯।প্যারাসিটামল,স্যালিসাইটিক এসিড,এস্পিরিন
২০ । অন্যান্য ( সি এন ডি প্লাস,এন ডি ভেট ,রেভোলিউশন ,ওরিগো প্লাস)
পাঠ ৩।
একজন ডাক্তারকে যে যে বিষয়ের উপর দক্ষতা থাকা ভাল
১।।ফার্মে চিকিৎসা করার পর ফলো আপ করা মানে চিকিৎসার ফলাফল কি তা জানার চেষ্টা করা।
২। যত জায়গায় কাজ করবে অভিজ্ঞতা তত বাড়বে(ব্রিডার ফার্ম,ল্যাব,মেডিসিন,টেকনিকেল ফিড বা মেডিসিন,মার্কেটিং ,হ্যাচারী)
৩।নিজের ফার্মের অভিজ্ঞতা।
৪।জানার আগ্রহ এবং পড়াশুনা
৫।যত বেশি সময় ধরে প্যাক্টিস করবে তত দক্ষতা বাড়বে যদি সাথে পড়াশুনা এবং ফলো আপ করা হয়।
৬।রোগ,এন্টিবায়োটিক,টিকা,ব্রিডার ফার্ম,ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকা ।
৭।পোল্ট্রি সম্পর্কে সব বিষয়ে নলেজকে হাল নাগাত করতে হবে।
৮।নীতিবোধ।
৯।লিটারেচার,বই,ফেইবুক,ইন্টারনেট এ খোজ খবর রাখা,পোল্ট্রি সেমিনার,মেলা,ট্রেইনিং এ অংশ গ্রহণ করা।
১০।পোল্ট্রি বিষয়ে লেখালেখির সাথে জড়িত থাকা ।
১১।মুরগির পাশাপাশি টার্কি,কোয়েল ,হাস ,কবুতরের ব্যাপারে দক্ষতা (পোল্ট্রি স্পেশালিষ্টদের জন্য)
১২। পরিশ্রম
১৩।দক্ষ ভেটের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ/ইন্টার্নি করা।
পাঠ ৪।
কোন রোগের ক্ষেত্রে কত% ডিম কমে
রোগ প্রডাকশম কমে
1.A I. 10- 80%
2.S H S. 70
3.Coryza 10-40
4.I L T. 10-50
5.Mycoplasma. 20 -30
6.N D. 30-50
7.A E. 40
8. Pox. 5
9.Cholera. 5-20
10.Salmonella. 10-20
11.Marek’s. 10-20
12.E D S. 20-30
13.IB. 30-40
কোন রোগের মর্বিডিটি এবং মর্টালিটি কত%
রোগে মর্বিডিটি মর্টালিটি %
রোগ মর্বিডিটি মর্টালিটি
Nd 0-100 0-100
IBD 80-100 5-70
IB 10-50 00
ILT 100 5-70
Marek’s 5-50 50
Leucosis 1 5+
Pox 20-25 1-2(40)
EDS 00 Negligible
AI 50-90 5-100
Choleara 60-70 40-50
Salmonella 50 10-90
E.Coli Variable variable
Mycoplasma 90-100 1-10
Coryza 50-100 Negligible
N.E 6- 30
Coccidiosis 40-80 50
Pneumonia 5-50 5-50
Fatty liver S 5
Encephalomylitis 75
CAV Below 30
Malabsorption S 4
IBH 50 25
Omphalitis. 15%
asities. 1-5 1-25
SDS. 00 5%
পাঠ ৫।
রোগ নির্ণয় করতে কতগুলো প্রশ্নের উত্তর জানতে হয়।
১।টাইপ(লেয়ার,ব্রয়লার,সোনালী,টার্কি,কোয়েল,হাস)
২।সংখ্যা
৩।বয়স
৪।কতগুলি অসুস্থ
৫।কতগুলো মারা গেছে
৬।কতদিন ধরে অসুস্থ
৭।রানিক্ষেতের টিকা ও কৃমিনাশক কবে দেয়া হয়েছে
৮।পায়খানা(সাদা,লাল।কালো,সবুজ,নীল,ফেনা,পাতলা)
৯।শাসকষ্ট (হাচি,কফ,গড়্গড়)দিনে,রাতে ,নাকি দিনে ও রাতে
১০।প্যারালাইসিস আছে নাকি নাই
১১।ডিম কত কমছে বা ডিমের কালার,সাইজ,আকাবাক কিনা,খোসা পাতলা বা ছোট কিনা
১২।খাবার কত কমছে,কোন কোম্পানীর খাবার, পানি কত কমছে নাকি বেশি খাচ্ছে।
১৩।চোখে সমস্যা(ফোলা নিচে ,নাকি চারদিকে,অল্প না বেশি।
১৪।ওজন কেমন কম না ভাল,,বিভিন্ন সাইজের নাকি সমান
১৫।মুরগি খাচা্,মাচায়,না ফ্লোরে
১৬।একই ফার্মে বিভিন্ন বয়সের মুরগি নাকি একই বয়সের
১৭।ফার্ম নতুন না পুরাতন
১৮। খাবার প্রজাতি অনুযায়ী দিচ্ছে নাকি লেয়ার কে ব্রয়লার খাবার নাকি সোনালীকে ব্রয়লার খাবার দিচ্ছে।
১৯।ব্রয়লার ও সোনালী কতদিন গ্যাপ দিয়ে তুলা হয়।
২০ কি কি চিকিৎসা দেয়া হয়েছে
২১।আশে পাশে বা এই থানায় কোন সমস্যা আছে কিনা
২২।অনেক দিন ধরে মুরগি শুকিয়ে যাচ্ছে কিনা
২৩।মুরগি কি হঠাত মারা যায় নাকি অসুস্থ হয়ে মারা যায়।
২৪।বাচ্চা কোন কোম্পানীর,বাচ্চা বাসি কিনা।
২৫।ভয় পাইছে কিনা বা ভয় পায় কিনা
২৬।আগে বড় কোন রোগ হয়েছিল কিনা(কলেরা,এ আই ,রানিক্ষেত,আই বি)
২৭.১৫দিনের মধ্যে কি কি ভ্যাক্সিন করা হয়েছে।
২৮।হঠাত খাবার পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা.
২৯।মাস খানেকের মধ্যে পালক পড়েছে কিনা
৩০।মুরগি কি সেডের বিভিন্ন জায়গায় মারা যাচ্ছে নাকি সেডের এক যায়গায় মারা যাচ্ছে।
৩১।লোকেশন
৩২।আবহাওয়া(খুব ঠান্ডা বা খুব গরম কিনা)
পাঠ ৬।
কোন বয়সে কি কি রোগ হয়
———
প্রথম সপ্তাহে যে রোগগুলোর কারণে বাচ্চা বেশি মারা যায় হলো-
১।অম্ফেলাইটিস– যেটা সবার কাছে নাভিকাচা রোগ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। এই রোগে-
-নাভি নরম ও পেট বড় হয়ে যাবে।
-পচা গন্ধ ও ভেন্ট পেস্টিং হবে।
-ইয়ক আনএবসরভ থাকবে।
২।পুলুরাম-পুলুরাম হলে –
-বাচ্চার ফেদার উস্কো খুস্কো থাকবে।
-সাদা ডায়রিয়া হবে(চুন বা চকের মত)।
-শ্বাসের সমস্যা হবে ও বাচ্চা কিচির মিচির শব্দ করবে।
৩।সালমোনেলোসিস–
এই রোগ হলে-
-বডি তাপমাত্রা বাড়বে।
-রক্তে টক্সিন পাওয়া যাবে এবং কালো হয়ে যাবে।
-হেপাটাইটিস হবে।
-স্প্লিন বড় হয়ে যাবে।
-জয়েন্টে ব্যথা হবে।
৪।কলিবেসিলসিস–
কলিবেসিলসিস সাধারনত ই -কলাই ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা হয়ে থাকে। এটা বাচ্চা অবস্থায় হলে বডির সকল সিস্টেম এফেক্টেট হয়।
আমাদের দেশে রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হওয়ায় ম্যানেজমেন্ট এবং বায়োসিকিউরিটি বাড়ানো ছাড়া ফার্ম করা নির্বুদ্ধিতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
তবে বেশি ভাগ হ্যাচারী( আর্দ্রতা,তাপমাত্রা,টার্নিং,ব্রিডা্রে ডিমে সমস্যা ) এবং খামারীর ব্যবস্থাপনার জন্য বেশি বাচ্চা মারা যায়।
৫।নিউমোনিয়া
২য় সপ্তাহে বাচ্চা মৃত্যুর কারণ
ব্যবস্থাপনা ভাল না হলে
সালমোনেলোসিস
এভিয়ান এনসেফালোমাইলাটিস
কলিব্যাসিলোসিস
বি১ এর ঘাটতি(স্টার গ্রেজিং)
বি২ এর ঘাটতি কার্ল্ড টো প্যারালাইসিস
ভিটামিন এ এর ঘাটতি এক্সুডেটিভ ডায়াথেসিস ও মাস্কুলার ডিস্টফি
এনসেফালোম্যা্লাসিয়া
রিও ও এন্টারো ভাইরাস
৩-৪ সপ্তাহের রোগ
আই বি ডি
আমাশয়
গাউট
৪র্থ -৫ম সপ্তাহে রোগ
এন ডি,
আই বি ডি
রিও ও এন্টারো ভাইরাস
এসাইটিস
সালমোনেলোসিস
কলিব্যাসিলোসিস
ক্লস্টিডিয়াল ইনফেকশন
মাইকোপ্লাজমা
কক্সিডিওসিস
মাইকোটক্সিকোসিস।
ক্যানাবলিজম
পক্স
আই বি ডি
৬ষ্ঠ সপ্তাহ থেকে পরবর্তী সময়ে রোগ
স্টেফাইলোকক্কাস ৪-১৫ সপ্তাহে বেশি হয়
কলেরা, করাইজা, এ আই,টাইফয়েড ২০-৪৫ সপ্তাহে বেশি হয়
নেক্রোটিক এন্টারাইটিস ৪-১৫ সপ্তাহে বেশি হয়
লিউকোসিস ১৬ সপ্তাহের পর হয়
ই ডি এস প্রডাকশন আসার পর বুঝা যায়।(২০ সপ্তাহের পর)
মেরেক্স ১২-২২ সপ্তাহে বেশি হয় তবে ৮ সপ্তাহের আগে খুব কম হয় কিন্তু সোনালীতে যে কোন সময় হতে পারে।
প্যারাটাইফয়েড
আই এল টি
পক্স
হিট স্টোক
ক্যানাবলিজম
ফাটিলিভার
যে কোন সময় হতে পারে
মাইকোপ্লজ্মোসিস
আই বি
রানিক্ষেত
সালমোনেলোসিস
পক্স
নোটঃ রোগ একটু আগে পরে হতে পারে তবে উল্লেখিত সময়টাতে বেশি হয়।
পাঠ ৭।
যত বেশি জানবে তত দক্ষ হবে তাই নিচের বিষয়ে ও কিছু ধারণা থাকলে ভাল হয়।
1) Preparation of Poultry Shed
( Cleaning, Washing, Disinfectant, Fumigation etc.)
2) Biosecurity & Hygiene
3) Litter Management
4) Brooding
5) Feeding & Drinking
6) Vaccination schedule ( Commercial Broiler, Commercial Layer, Sonali, PS, GP….)
7) Beak Trimming
8) Debeaking
9) Control feeding & Chain Feeding.
10) Flock Uniformity ( Very important)
11) S/C and I/M vaccination ( Killed vaccine)
12) Deworming protocol
13) Feed formulation
14) Lighting Schedule
15) Disease prevention Protocol.
16) Control shed management
17) Hatchery Management
18) Production status
19) Disease Diagnosis by Clinical signs, PM lesions, Lab test & so on ( Very important)
20) Monthly Mycoplasma control courses ( Minimum 2 treatment)
21) Treatment & Management of Coccidiosis
22) Administrative work
23) Leadership
24) Supervision, Monitoring & Controlling of Highly infectious diseases
25) Mitigating of Adverse conditions
26) Have the capability of Minimum Two alternative Treatment of each important disease of Poultry ( Prescription writing).✍✍✍✍✍✍✍✍
???? In addition you should know…..
1) Poultry Anatomy & Physiology
2) Poultry Necropsy Manual
3) Pathognomic Lesions & Differential diagnosis
4) Purification of water ( Water Management)
5) Drugs selection with proper Dose & Duration
6) Synergistic & Antgonostic Effects of Drugs
7) Grading by 100% BW, Sorting & Culling is a continuous process….
?? You have to understand the Behaviour, Attitude, & Language of Poultry????
Dr.Md.Mahfizur Rahman Mahfuz
DVM (RU), MS in Pharmacology (BAU)
Farm Manager
VIP Shahadat Poultry and Hatchery
Tajhat, Rangpur.
Cell: 01723787838
পাঠ ৮।
Poultry Doctors BD.
যেখানে পোল্ট্রি ও ডেইরী প্রায় সব কিছু পাওয়া যায়। তবে পেট এনিম্যালের ক্ষেত্রেও কালেকশন আছে।
একজন ভেটের যা লাগবে তাই আছে।প্রতিদিনই ডাটা ইনপুটের কাজ চলছে।
এটা কন্টিনিউয়াস প্রসেস।নতুন রোগ,প্রযুক্তি,মেডিসিন,ভ্যাক্সিন আসলে যা হালনাগাত করতে হয়।কখনো শেষ হবার নয়।
নোটঃবিদেশী ট্রেনিং এর পাশাপাশি লোকাল দক্ষ স্পেশালিস্টদের কাছ থেকে ট্রেনিং নিতে হবে।সব সময় বিদেশী ট্রেনিং আমাদের দেশে এপ্লাই করা যায় না।আমাদের লোকাল অভিজ্ঞতা/টেকনিক কাজে লাগানো সহজ হয়।
পাঠ ৯।
১০০% এখানে বলা বা শিখানোর সুযোগ নাই।যদি সর্বোচ্চ পরিমাণ কারো কাছ থেকে শিখাতে হয় তাহলে তার কাছে গিয়ে শিখতে হবে।
আমি ডা মো সোহরাব হুসাইন ,ভেটদের জন্য ট্রেইনিং,পরামর্শ ও ইন্টার্নীর সুযোগ রেখেছি।।যদিও প্রাইভেট প্যাক্টিস করে সময় পাওয়া কঠিন।
শিক্ষার সবচেয়ে ভাল মাধ্যম হল ইন্টার্নী ,তারপর ক্যাম্পস,তারপর কারো কাছে গিয়ে শিখা,তারপর মোবাইলে কথা বলা,তারপর গ্রুপ,ব্লগ,পেজ ,এপস।
পাঠ ১০
সব পড়ে ভয় পাবার কিছু নাই।ধীরে ধীরে হয়ে যাবে,এক সাথে সব শিখতে হবে না বা সম্বব না।যখন সেটার দরকার তখন সেটা শিখলেই হবে।
এক সময় নিজের অজান্তেই সব শিখা হয়ে যাবে।