UTERINE PROLAPSE.( গাভীর বাচ্চা দেবার পর জরায়ু বের হয়ে যাওয়া এবং তার চিকিৎসা)
ইউটেরাইন প্রোলাপ্স অর্থাৎ সাধারনত বাচ্চা দেবার পর জরায়ু বা বাচ্চার থাকার জায়গা বের হয়ে আসে।
অসংখ্য কারনে এটা ঘটতে পারে।প্রধানত পুষ্টির অভাব,গর্ভধারনের পর পর্যাপ্ত কাচা ঘাস না দেয়া, মাঠে না চরানো অথবা সকালের রোদ শরীরে না লাগানো।
আমরা জানি সকালের রোদে শরীরে থাকা ভিটামিন- ডি- এর প্রিকার্সর থেকে ভিটামিন ডি সিনথিসিস হয়।
আর এই ভিটামিন ক্যালসিয়াম শোষনে সাহায্য করে।যেমন ইনসুলিন দেহ কোষের পর্দার পারমিএবিলিটি বাড়ায় ফলে সুগার কোষের মধ্যে ঢুকে এবং বিপাকের মাধ্যমে এনার্জি তৈরি করে।
পুরাতন ভ্যাজাইনাল প্রোলাপ্সে আক্রান্ত গাভী।গর্ভ অবস্হায় অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের ব্যাবহার( যার ফলে জরায়ু শক্ত হয়ে যায়) এর ফলে জরায়ু শক্ত হয়ে যায়।ফলে গাভীর কাছে তার নিজের জরায়ুকে ফরেন বডি মনে হয়। তখন সে কোথ দিয়ে জরায়ুকে বের করে দেয়। বাচ্চা ডেলিভারির সময় রাফ হ্যান্ডেলিং করা।সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ মিল্ব ফেভারে আক্রান্ত হওয়া।
আমরা জরায়ুর প্রোলাপ্স হলে তা কারেকশনের জন্য ব্যাস্ত হয়ে যায়।খেয়াল করিনা মিল্ক ফেবার হয়েছে কিনা।
জরায়ু ভিতরে ঢুকাচ্ছি হঠাৎ দেখা গেল গাভী হাতের উপর মারা গেল।এটা চিকিৎসকের জন্য বিপদজনক।
ইউটেরাইন প্রোলাপ্স ম্যানেজমেন্টে কতক গুলো জিনিস খেয়াল করতে হয়। যদি শীতকাল হয় তাহলে জরায়ুর উপর হালকা গরম পানি ঢালতে হবে,যতক্ষন না পর্যন্ত জরায়ুর তাপমাত্রা দেহের তাপমাত্রার সমান হয়। আর গরম কাল হলে ঠান্ডা পানি বা বরফ দিতে হবে।
জরায়ু নরম হবে ও আবার স্বাভাবিক হবে। কখনো কখনো জরায়ু নরম ও ছোট করার জন্য শুকনা চিনি জরায়ুর উপর দিতে হয়,তবে হাত দিয়ে ডলা যাবেনা,তাহলে জরায়ু ক্ষত বিক্ষত হবে। চিনি দিয়ে সামান্য সময় রাখলে দেখা যাবে,জরায়ুর আকৃতি ছোট হয়ে গেছে।
তখন হাত দিয়ে নয়,পানি দিয়ে চিনিটা ধুয়ে ফেলুন।
এরপর এন্টিসেপটিক দিয়ে জরায়ু পরিস্কার করেন।
আর ৫– ১০ সিসি জ্যাসোকেন/ প্লানোকেইন ইনজেকশন হাই ইপিডুরাল ও লো ইপিডুরাল পয়েন্টে ( লাম্বো- স্যাকরাল জয়েন্ট ও স্যাকরো- ককসিজিয়াল জয়েন্টে) ভার্টিব্রাল কলামের মধ্যে ছি এন এস( CNS)এ পুশ করেন ১০ মিনিট পর শান্তভাবে আস্তে আস্তে পাশ থেকে আগে এই ভাবে জরায়ুটা ঢুকায়ে হাত ভিতরে দিয়ে জরায়ুর উল্টানো ভাজ সহজ করুন।
হাত নাড়াচাড়া দিয়ে জরায়ুর হর্নগুলো ঠিক করে দেন যেন স্বাভাবিক হয়ে যায় প্রয়োজনে সামান্য বিলম্বে একটু হাটান।
ইনজেকশনের মোটা নিডিল দিয়ে থ্রেড দিয়ে ৩/৪ টা সেলাই দিন। যে কোন ব্রড স্পেকট্রাম এন্টিবায়োটিক,এন্টি হিস্টামিন,ব্যাথার ইনজেকসন দেন।
ইপিডুরাল না পারলে প্যারাভার্টিব্রাল দিয়েও করতে পারেন স্মরন না থাকলে কারো সাথে আলাপ করে নেন।।
এনাসথেসিয়া না দিলে জরায়ু ক্ষত বিক্ষত হয়।