পোল্ট্রির প্রলাপ্স কেন হয়,সমাধানের উপায় কি
কারণ
ওজন কম বা বেশি হলে
গ্রোয়িং পিরিয়ডে খাবার সুষম না হলে মুরগি ফ্যাটি হয়ে যায় কিন্তু মাসল ডেবেলপ হয় না,
গ্রোয়িং পিরিয়ডে আলোর তীব্রতা( ২০ লাক্স) বেশি দিলে আগে ম্যাচুরিটি চলে আসে ফলে প্রলাপ্স হয়।
মুরগি ঘন বেশি হলে
ঠোটকাটা ভাল না হলে কিছু মুরগি কম খায় আবার কিছু বেশি খায় এতে ছোট বড় হয়।ওজ কম হলেও প্রলাপ্স হয় আবার বেশি হিলেও প্রলাপ্স হয়।
ঠোকরাঠুকরি করল নাড়ি ভুড়ি ব্র হয়ে যায়।(তাপমাত্রা বেশি,খাবার যদি সুষম না হয়,বিভিন্ন বয়সের মুরগি এক সাথে রাখলে,হঠাত খাবার পরিবর্তন করলে বা আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে,ইনজুর বা অসুস্থ মুরগি ফার্মে রাখলে,পালক কম থাকলে)
লবন,লাইসিন ডি এম মেথিওনিন এর অভাব হলে
মুরগি স্থানান্তরিত করলে।
.এনার্জি ডেফিসিয়েন্সি(লিভার ড্যামেজ থাকলে এনার্জি প্রোডাকশন কমে যায়,ফ্যাটি লিভার হেমোরেজিক সিনড্রোমে এমন হয়)
ক্যালসিয়াম ডেফিসিয়েন্সি/ক্যালসিয়াম এর এবসর্পশন কম হলে।
ইউটেরাস এর ওয়াল এ ইনফেকশন থাকলে(বিশেষ করে ইকোলাই, সালমোনেলার জন্য হয়)
ডিমের সাইজ বেড়ে গেলে(বয়স,ফিড ইনটেক,ফিড ফর্মুলেশন রিলেটেড)
ভিটামিন ডি তার মেটাবলিক ফর্মে রুপান্তর হতে না পারলে শরীরে ক্যালসিয়াম এবসর্পশন হয়না,প্রোলাপস বেড়ে যায়,(লিভার ড্যামেজ থাকলে,ফ্যাটি লিভার থাকলে
মিনারেল এর ঘাটতি হলে(ডিমের খোসা খসখসে হয়ে যায়, ফলে ডিম পাস করার সময় ইউটেরাস/ভেন্ট সহ বের হয়ে আসে)
নতুন ডিমের মুরগিতেও ভেন্ট প্রোলাপ্স হয়(ক্যালসিয়াম এর অভাবে স্মুথ মাসেলে কন্ট্রাকশন কম হয়,ফিড ইনটেক কম থাকলে, লাইট বেশি দিয়ে দিলে)
ডিমে আসার সময় মাত্রাতিরিক্ত সয়াবিন তেল ফিডে এড করে দিলে শরীরে বিশেষ করে পেলভিক রিজিয়নে বেশি চর্বি জমে যায়,ডিম পাড়তে কষ্ট হয়,কখনও প্রোলাপস ও হয়।
ফ্যাটি লিভার হেমোরেজিক সিনড্রোম এর ক্ষেত্রেও প্রোলাপস হবার সম্ভাবনা থাকে (লিভারে ফ্যাট ডিপোসিট হলে,হেপাটোসাইটের এনজাইমেটিক একটিভিটির এরিয়া কমে যায়,তাই ড্যামেজড হেপাটোসাইটের পক্ষে লাইপোট্রপিক ফাংশন করা,এনজাইমেটিক ফাংশন করা,ভিটামিন ডি এর মেটাবোলিক ফর্মে রুপান্তর করা, টক্সিন নিউট্রালাইজেশন করা,এনার্জি প্রোডাকশন কমে যায়,তাই ফ্যাটি লিভার হেমোরেজিক সিনড্রোমও একটা প্রধান কারন প্রোলাপস।
পাইকা
মুরগি অনেক সময় ফেদার,লিটার,সুতা ইত্যাদি খেয়ে ফেলে যা তাদের জন্য ক্ষতিকর।
ভাইস
মুরগির খারাপ অভ্যাস
ক্যানাবলিজম(পালক,ভেন্ট)
ডিম খাওয়া
পাইকা
সমাধানঃ
বাচ্চার ১ম সপ্তাহ থেকে ওজন নিতে হবে এবং যে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।ওজন কম বা বেশি হ ওয়া যাবে না।লাইটিং প্রতি সপ্তাহে ১ ঘন্টা করে কমাতে হবে যাতে রাতে বেশি খাবার খেয়ে ওজন বেশি না আসে।তাছাড়া গাম্বোরু,আমাশয়,নিউমোনিয়া,ই-কলাই ,মাইকোটক্সিন,পক্স,এন্টারাটিসের কারণে যাতে মুরগি ছোট বড় না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।খাবারে কোয়ালিটি দেখে খাবার দিতে হবে।
লিভার এ ফ্যাট ডিপোসিট হওয়া রিলেটেড প্রবলেম এর জন্য আমাদের সাজেশন থাকে কোলিন,ইনোসিটল, ডিএল মিথিওনিন সমৃদ্ধ লিভারটনিক দেয়া Toxol-1ml/1ল ৫-৭দিন।
কোলিন,ইনোসিটল,ডিএলমিথিওনিন লিভারের হেপাটোসাইটের জমানো ফ্যাট কে কনভার্ট করে এনার্জি প্রোডাকশন করে।
হেপাটোসাইটের এরিয়া অফ এনজাইম একটিভিটি বাড়িয়ে দেয় ফলে লাইপোট্রপিক ফাংশন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। সাথে আমরা হিট স্ট্রেস কমাতে বিটেইন হাইড্রোক্লোরাইড ব্যাবহার করতে পারি,খাদ্যে লং টাইম কোলিন ক্লোরাইড/বায়োসার্ফ পাওডার-১০০-১৫০গ্রাম/১০০কেজি খাদ্যে দেয়া হয়।