বিড়ালের পানিশূন্যতা ঃ
বিড়ালের পানিশূন্যতা তৈরি হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে,
তারমধ্যে বমি,ডায়রিয়া অন্যতম প্রধান কারণ।
তবে আরেকটি কারণ হচ্ছে বিড়ালের পানি কম খাওয়া,এবং অত্যধিক গরম আবহাওয়া এবং এর মধ্যে বিড়ালের অতিরিক্ত এক্সারসাইজ।।
****বিড়ালের ডিহাইড্রেশন কিভাবে বুঝা যাবেঃ***
এর জন্য মূলত অনেকগুলো টেস্ট করা যায়, তারমধ্যে একদম সহজ ২টি টেস্ট যা যে কেউ করতে পারবেন উল্লেখ করে দিলাম
১/আপনার বিড়ালের Gum(মাড়ি) যদি স্টিকি থাকে তবে ধরে নেওয়া যায় আপনার বিড়ালের অল্প হলেও ডিহাইড্রেশন আছে।।
★★★™ মূলত এটি সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য এবং সহজ পরিক্ষা।এটি হচ্ছে স্কিন ফোল্ড টেস্ট।
এক্ষেত্রে বিড়ালের লুজ চামড়া (ঘাড়ের পিছনের) উপরের দিকে টান দিয়ে ছেড়ে দিতে হবে।
এবং খেয়াল রাখতে হবে বিড়ালের চামড়া কতক্ষণ পরে নরমাল জায়গায় যায়।।মূলত যে বিড়ালগুলোর পানিশূন্যতার সমস্যা নাই তাদের ক্ষেত্রে চামড়া ছেড়ে দেওয়ার প্রায় সাথে সাথেই নরমাল অবস্থায় চলে যাবে।
কিন্তু যে বিড়ালের যত বেশি ডিহাইড্রেশন আছে তার তত বেশি সময় লাগে।।
এই টেস্ট করার মাধ্যমে ধারণা পাবেন আপনার বিড়ালের ডিহাইড্রেশন আছে কিনা।।
★★ডিহাইড্রেশনের লক্ষণঃ
ক্ষুধামন্দা
মুখ হা করে শ্বাস নেওয়া,
শুষ্ক মুখ,
হার্ট রেট বেড়ে যাওয়া
এইসব হচ্ছে একদম প্রাথমিক লক্ষণ পানিশূন্যতার।।
অতিরিক্ত পানিশূন্যতা বিড়ালের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।আর বিড়াল খুব সহজেই ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে।
★★★পানিশূন্যতায় করণীয়ঃ
বমি+ডায়রিয়া মূলত বিভিন্ন রোগের জন্য হয়ে থাকে, তাই এই সমস্যা থাকলে অবশ্যই ভেটের কাছে নিয়ে যান,
তবে অনেক ক্ষত্রে পচা বাসি খাবারের জন্যও হতে পারে।(ভেট ছাড়া অন্য কারো কাছে গিয়ে পরে হাহুতাশ করে লাভ হবেনা,)
গরমের কারণে এবং পানি কম খেলে আপনার বিড়ালকে যেভাবে টেক কেয়ার করবেনঃ
১/বিড়ালকে ঠান্ডা জায়গায়,নিরিবিলি রাখতে হবে।
২/ওর এক্টিভিটি যত সম্ভব কমিয়ে দিতে হবে।
৩/পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে বাসার কয়েক জায়গাতে,কারণ বিড়ালরা হচ্ছে নবাবের জাত,
তারা এক রুম থেকে আরেক রুমে গিয়ে পানি খেলে অনেক সময় তাদের জাত থাকে না।
৪/প্রচুর পানি খাওয়াতে হবে,
মুখে নিজে না খেলে সিরিঞ্জ দিয়ে খাওয়াতে হবে,
এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে বিড়াল কি জিহবা দিয়ে পানি টেনে নিচ্ছে কিনা।
যদি না নেয় তবে পানি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে(এক্ষেত্রে নিউমোনিয়া হওয়ার চান্স থাকে।)
৫/ফ্লেভারড পানি (আমাদের দেশে আছে কিনা জানা নাই) দেওয়া যায় কারণ বিড়াল পানি খেতে নাও চাইতে পারে।।এইক্ষেত্রে সমাধান হতে পারে চিকেন স্যুপ।
৫ /পানি শূন্যতা মানে শুধুমাত্র পানি বের হয়ে যাওয়া নয়,এর সাথে ইলেক্ট্রোলাইটস ও বের হয়ে যায় শরীর থেকে,এজন্য অনেক সময় নরমাল স্যালাইন খাওয়াতে বলা হয়,,
এক্ষেত্রে অনেকে একটা খুব সাধারণ ভুল করে থাকেন, স্যালাইন যেটি ৫০০ এমএল পানিতে দেওয়ার কথা বিড়াল কম খাবে চিন্তা করে কম পানি দিয়ে বেশি স্যালাইন তৈরি করেন।এক্ষেত্রে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হওয়ার অনেক চান্স থাকে।।
তাই স্যালাইন খাওয়াতে বললে স্যালাইন অবশ্যই নির্দেশনা অনুযায়ী তৈরি করতে হবে।
৬ /অনেকসময় বিড়ালের যদি খুব বেশি পানিশূন্যতা হয় তখন বিড়াল নিজে থেকে মুভ করতে পারে না,
সেক্ষেত্রে অবশ্যই বিড়ালকে ভেইনে স্যালাইন দিতে হবে(প্রথম চয়েস)
কিন্তু অভিজ্ঞ লোক ছাড়া তা সম্ভব না বিধায় এক্ষেত্রে শরীরের লুজ চামড়ার নিচে স্যালাইন দিতে হবে।।
★গরমে আপনার বিড়ালের খেয়াল রাখুন,এসময় গোসলের পরিমান একটু বাড়াতে পারেন।
°°°××মাঝে মাঝে তাদের পায়ের নিচ পানি দিয়ে মুছে দিতে পারেন।××
===বড় লোমের ব্রিডগুলোকে এই সময় গ্রুমিং করে নিলে সবচেয়ে ভালো।।===
Pet Advisor – Online Veterinary Support