Breaking News

পানকৌড়ি পরিচিতি

পানকৌড়ি কালো কুচকুচে এক পাখি। গলার নিচে একটুখানি সাদাটে। চোখ লাল। লেজ লম্বা। পা খাটো, পায়ের পাতা হাঁসের মতো, ঘাড় লম্বা, শক্ত ঠোঁট মোটামুটি লম্বা।লম্বায় এরা ৩০-৩৩সে.মি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের গলা বেশ বড়। ওপরের ঠোঁটটা নিচের ঠোঁটের চেয়ে কিঞ্চিত বড়, এদের ঠোঁটের সামনের ভাগ বাঁকা। বড়শির মতো ধারালো ।মাথায় ঝুঁটি মতো পালক আছে। উত্তেজিত হলে জেগে যায়। কিন্তু বড় শান্ত পাখি। মাছই পানকৌড়ির প্রধান খাবার। সে খাবার তারা পানিতে ডুবে ডুবে ধরে। পানির নিচে পানকৌড়ি ডলফিনের মতো স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করতে পারে, পরিষ্কার পানির নিচে ২ মিটার পর্যন্ত পরিষ্কার দেখতে পায়, ডুব দিয়ে প্রায় ১ মিনিট পানির নিচে থাকতেও পারে। ডুব দিয়েই যদি মাছ কিংবা খাবার পেয়ে যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠবে ভুস করে। কাকের চেয়ে বড় কালো এই পাখিটি জলে ডুব দিয়ে মাছ ধরে বলে এদের ঠোট পা এবং লেজ হাঁসের মতো।
>বাংলা নাম-পানকৌড়ি
ইংরেজি নাম— Cormorant
সারা পৃথিবীতে ৩০-৪০ প্রজাতির পানকৌড়ি দেখা যায়। আমাদের দেশে রয়েছে ২ ধরনের।
ছোটো পানকৌড়ি
ইংরেজি নাম : Little Cormorant
বৈজ্ঞানিক নাম : Phalacrocorax niger
বড় পানকৌড়ি
ইংরেজি নাম : Indian Cormorant বা Indian Shag
বৈজ্ঞানিক নাম : Phalacrocorax fuscicollis
আকারের বিচারে এই পানকৌড়িকে ছোট বা বড় বলা হয়।
>কয়েক জোড়া পানকৌড়ি, বক সঙ্গে মিলে একই গাছে বাসা বাঁধে, অথবা কেবল একাই একটি গাছ দখল করতে পারে। পরপর কয়েক বছর এরা একই জায়গায় বাসা করে। বাসা বাঁধতে সময় লাগে ৪-৬ দিন।একবারে চার-পাঁচটি নীল-সবুজ বর্ণের ডিম পাড়ে।পানকৌড়ি মেয়ে-পুরুষ দেখতে একই রকম। ওদের ডাক শোনা খুব দুরূহ ব্যাপার। কেবল বাসা বাঁধার সময় ওরা ডাকে। কর্কশ স্বর, জোরালো নয়। অনেকটা চাপা কাশির আওয়াজের মতো হুপ-হুপ ধরনের।
পানকৌড়ি আজ থেকে ৫০ বছর আগেও সারা বাংলাদেশে প্রচুর ছিল
খাদ্যোভাব, জলাশয় ভরাট, হাওরবাওরের হ্রাস, পানকৌড়ির বিচরণ স্থান কমে যাওয়ায়, ক্রমাগত জলাশয় ভরাটের কারনে হারিয়ে যেতে বসেছে পানকৌড়িরা। বাংলাদেশের রূপ বৈভবের অনন্য এক অংশ পাখিও। এইসব পাখির নিরাপদ জীবন গড়ে দিতে আমাদেরকেই ভূমিকা রাখতে হবে।
#Save_Endangered_Bird
#Save_Nature
#Balance_Ecosystem.
Post credit: Atikul Islam, DVM, HSTU

VETO page

Please follow and like us:

About admin

Check Also

বিলুপ্তপ্রায় পাঁচটি প্রাণী- রাজশকুন, ঘড়িয়াল, মিঠাপানির কুমির, নীলগাই এবং শুশুক

বর্তমান সময়ে জীববৈচিত্র্য পড়েছে মহা সংকটে। ইতোমধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে তালিকাভুক্ত অসংখ্য প্রজাতির উদ্ভিদ ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »