অর্গানিক ডিম/মাংস কি,অর্গানিক ডিম/মাংস উতপাদনের জন্য কি কি করতে হয়।
অর্গানিক ডিম/মাংস কাকে বলেঃ
অর্গানিক পদ্ধতির সিস্টেম মেনে উৎপাদিত ডিম/মাংস কে অর্গানিক ডিম/মাংস বলা হয়।এই পদ্ধতিতে যে মুরগি থেকে ডিম উৎপাদন করা হবে সেই মুরগিকে অবশ্যই অর্গানিক খাদ্য দিতে হবে। ইউনাইটেড স্টেট ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচারাল এর নিয়ম অনুযায়ী অর্গানিক মুরগি পালন করতে হলে মুরগিগুলোকে খাঁচায় পালন করা যাবে না, শেডের বাইরে স্বাধীনভাবে চরে বেড়ানোর সুযোগ দিতে হবে।মোল্টিং করা যাবে না,এবং প্রাণীপালনে তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে। ইউ এস ডি এ মোতাবেক অর্গানিক ডিম পেতে হলে মুরগির অর্গানিক ব্যবস্থাপনা বাচ্চার জন্মের পরেরদিন থেকেই শুরু করতে হবে।
অর্গানিক ডিম/মাংস উৎপাদন করতে যে বিষয়গুলো মেনে চলতে হবেঃ
১।কোন এন্টিবায়োটিক দেয়া যাবেনা।
২।কোন গ্রোথ হরমোন দেয়া যাবে না।
৩।কোন প্রাণীজ উপজাত( এনিমেল প্রোটিন) খাবার দেয়া যাবে না।
৪।ডিমে/মাংসে লেবেল প্রদানের আগে অবশ্যই মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা কর্তৃক উৎপাদনকারী, প্রক্রিয়াজাতকারী ও বিতরণকারী সংস্থা পরিদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫।খাবারে কোন জেনেটিক্যালি মডিফায়েড অর্গানিজম ব্যবহার করা যাবে না। ফসল উৎপাদনের জন্য কোন সার( সিন্থেটিক),বালাই নাশক,কীটনাশক,আগাছা নাশক ব্যবহার করা যাবে না।
৬।অর্গানিক খামারে প্রতি মুরগির জন্য ১৬৬৭ বর্গ সেমি জায়গা দিতে হয়।
সাধারণ ডিম ও অর্গানিক ডিমের পুষ্টিগত পার্থক্য:
সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী ওর্গানিক ডিমে ফার্মের সাধারণ ডিম বা খাঁচায় পালন করা মুরগির ডিম অপেক্ষা বেশি মাইক্রোনিউট্রিয়েনট থাকে। পেনসিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি প্রকাশিত এক গবেষণা পত্র মোতাবেক অর্গানিক ডিমে সাধারণ মুরগির ডিম থেকে তিন গুণ বেশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড,৪০% বেশি ভিটামিন “এ” এবং দ্বিগুণ ভিটামিন “ই” থাকে।
খামারে অর্গানিক ডিম উৎপাদনের অনুমোদন ও মনিটরিং:
অর্গানিক ডিম/মাংস একমাত্র অনুমোদন প্রাপ্ত/প্রত্যয়ন পত্র প্রাপ্ত খামার উৎপাদন করতে পারবে।ঐ খামারের সকল কার্যক্রম অনুমোদন প্রদানের তিন বছর পূর্ব থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনিটর করতে হবে।
প্রত্যয়নঃ
অর্গানিক ডিম অবশ্যই প্রত্যয়িত হতে হবে।যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ক্ষেত্রে আইন রয়েছে,অর্গানিক ডিমে বিশেষ কোড মুদ্রিত করার জন্য।এসব দেশের অর্গানিক ডিমে ইংরেজি অক্ষর “ও”(O) মুদ্রিত থাকে।