পোল্ট্রি কাকে বলেঃ
যে সমস্ত পাখি অর্থ উপার্জনের জন্য পালা হয় তাদেরকে পোল্ট্রি বলে।মুরগি,হাস,কবুতর,কোয়েল,টার্কি সবই পোল্ট্রি।অনেকে ব্রয়লারকে পোল্ট্রি বলে থাকে আসলে তা ঠিক না।
শ্রেণীঃআঞ্চলিক সূত্র হিসাবে যেসব মুরগি তৈরি করা হয়েছে তাদেরকে শ্রেণী বলে যেমন এশিয়া,ইংরেজ,ভূমধ্যসাগরীয়,ফরাসী,পোলিশ
জাত/ব্রিডঃ
কোন একটি অঞ্চলের নির্দিস্ট আকার এবং আকৃতি ও চারিত্রিক গুণাবলীর অধিকারী বৈশিস্ট্যযুক্ত মুরগিকে জাত বা ব্রিড বলে।
প্রকার(Variety)
প্রকার হল জাতের উপ বিভাগ যেমন লেগহর্ণ জাত কিন্তু এদের মধ্যে সাদা ও বাদামী,হলুদ হয়।ঝুটি ও বিভিন্ন হয়।
কয়েক টি জাত হল
হোয়াইট লেগ হর্ণ ইটালি
রোড আই ল্যান্ড আমেরিকা
প্লাই মাউথ রক আমেরিকা
নিউ হ্যাম্পশায়ার
আসিল বাংলাদেশ
ব্ল্যাক মিনর্কা ভূমধ্য সাগরের দ্বীপ
অস্টালর্প অস্টেলিয়া
কর্নিশ ইংল্যান্ড
সাকেক্স ইংল্যান্ড
কোচিন চীন
ফাউমি মিশর
স্ট্রেইনঃ
একই জাতের বিভিন্ন স্থানের মুরগির মিলন ও নির্বাচনের মাধ্যমে গুন গত বৈশিস্ট্য বৃদ্ধি করার ফলে যে উতপাদিত মুরগির বংশ ধারা সৃস্টি হয় তাকে স্ট্রেইন বলে।
যে কোন একটা জাত বা প্রকার থেকে অর্থনৈতিক চিন্তা করে ডিম বা মাংসের বা সৌন্দয্য বৃদ্ধি করে যে মুরগি তৈরি করা হয়েছে তাদেরকে স্টেইন বলে।
যেমন আরবার,লোহম্যান
হাইব্রিডঃ
একই বা বিভিন্ন জাতের নির্বাচিত স্ট্রেইনের মধ্যে মিলন ঘটিয়ে উতপাদিত বাচ্চাদের গুণ গত মান বাড়িয়ে হাইব্রিড মুরগি তৈরি করা হয়।হাইব্রিড মুরগি তার বাবা মার থেকে বেশি উতপাদনশীল হয়।
লেয়ার হাই ব্রিড
ব্রয়লার হাইব্রিড।
লেয়ার কাকে বলেঃ
যেসব মুরগি ডিমের জন্য পালন করা হয় এবং যাদের মাংস,হাড় চামড়া শক্ত তাদেরকে লেয়ার বলা হয়।এগুলো নরমালি ৯০-১০০ সপ্তাহ পালন করা হয়।
লেয়ার হাইব্রিড গুলো হল
লোহম্যান
হাইসেক্স
শেভার ৫৭৯
ইসা ব্রাউন
নভোজেন
হাইলাইন
ডিক্লাব
ব্রয়লার কাকে বলেঃ
ব্রয়লার বলতে যা বুঝায় তা হল ৪-৭ সপ্তাহের কম বয়সের নরম মাংস উতপাদক,মসৃণ ও নরম চামড়া,বক্ষ ও অস্থি সমন্বিত কচি মোরগ মুরগি যার ওজন ১.৫-৪কেজি হয়।এফ সি আর 1.7-1.4
ব্রয়লার হাই ব্রিড হল
লোহম্যান মিট
কব
রস
স্লো ফেদার
ইফেসিয়েন্সি প্লাস
আই আর
ভারী জাতের মুরগি থেকে ব্রয়লার বানানো হয়েছে যেমন
কর্নিশ
প্লাই মাউথ রক
রোড আইল্যান্ড রেড
নিউ হ্যাম্পশায়ার
অস্টালর্প
সোনালীঃ
এটি দেশীয় হাইব্রিড চিকেন যা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক
ফাউমি(মিশরের একটি জাত ফিমেল) ও রোগ আইল্যান্ড রেড(আমেরিকান জাত মেল) কে ক্রস করে বাংলাদেশে যে ক্রস ব্রিড বানানো হয়েছে তাকে সোনালি বলা হয়।
সোনালি ৭০দিনে ৮০০গ্রাম হয়
সোনালি ক্লাসিকঃ
৬০-৬২দিনে ৮০০গ্রাম হয়
হাইব্রিড সোনালীঃএটা মূলত আমাদের দেশের খামারীরা বিশেষ করে যাদের হ্যাচারী আছে তারা টাইগার বা সি পি এফ ৩ বা স্যাসুর সাথে ক্রস করে এক্টা ক্রস ব্রিড বানিয়েছে যাকে তারা সোনালী হাব্রিড নাম দিয়েছে।
এদের ওজন সোনালী থেকে ২০০-২৫০গ্রাম বেশি আসে।
এদের পা খাট ও মোটা।
৫৫-৬০দিনে ৯০০গ্রামের বেশি হয়।
সুপার হাইব্রিডঃ
৫০-৫২দিনে ১কেজি হয়
টাইগারঃ
এটা ও আমাদের দেশের খামারিদের বানানো একটি ক্রস ব্রিড মুরগি যাদের পালকে ডোরাকাটা দাগের মত থাকে।
এটার ওজন হাই ব্রিড সোনালী থেকে ১০০-১৫০ গ্রাম বেশি হয় ২ মাসে ১০০০-১২০০ হয়।
কালার বার্ডঃ
এগুলো সোনালির মতই তবে বিদেশ থেকে আমাদানী করা হয়েছে ৫৫-৬০দিনে ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজ আসে।
সোনালির বিকল্প হিসাবে চালানোর জন্য কারণ সোনালীতে ইনব্রিডিং এর সমস্যার কারণে ওজন কম আসতেছে তাছাড়া রোগ ব্যাধি বেশি হচ্ছে।
মাল্টি কালার টেবিল চিকেনঃ
এটি বি এল আর আই এর একটি দেশী ক্রস ব্রিড যা দেশি মুরগির সাথে ক্রস করে বানানো হয়েছে।এটা ৮ সপ্তাহে পায় ১কেজি হয়।দেখতে ও স্বাদে দেশী মুরগির মত ৭ সপ্তাহ থেকে বিক্রি শুরু করা যায়।
সি পি এফ ৩ঃএটিও আমাদের দেশে সরকারীভাবে বানানো একটি ক্রস ব্রিড
স্যাসুঃএটি কাজী কোম্পাণির ছিল এখন তেমন নাই,দেখতে লেয়ারের মত কিন্তু ওজন ব্রয়লারের মত।এখন নাই কিন্তু খামারীরা এটার সাথে সোনালী ক্রস করে হাইব্রিড সোনালী বানিয়েছে।
দেশি মুরগিঃ যে গুলো আমাদের গ্রামে পালন করা হয় সেগুলোই দেশি মুরগি।তবে সোনালি ও অন্য মুরগির সাথে ক্রস করে দিন দিন দেশী মুরগি কমে যাচ্ছে