হাঁসের রোগ সমূহ;
১।ডাক ভাইরাল হেপাটাইটিস
#এটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ যা picorna virus দিয়ে হয়।
# হঠাত(পার একিউট,একিউট) আক্রান্ত হয় এবং দ্রুত বিস্তার লাভ করে ও সবুজ পায়খানা করে।
১ম সপ্তাহে বেশি হয় তবে ৫ সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে
ফ্লকের সব গুলো বাচ্চা দ্রুত আক্তান্ত হয়।
ইনকুবেশন পিরিয়ড ১ দিন এবং মর্বিডিটি প্রায় ১০০%।
মর্টালিটি ১ম সপাথে ৯৫%,১-৩ সপাথে ৫০%,৪ সপ্তাহের বেশি হলে তেমন মারা যায় না।
পায়ে সমস্যা থাকার কারনে এক দিকে কাত হয়ে পড়ে থাকে।
এটি সব দেশে পাওয়া যায় না তবে বাংলাদেশে এক সময় ছিল না এখন পাওয়া যায় কিনা বলা যাচ্ছে না।
#বাচ্চা গুলি চোখ বন্ধ করে রাখে এবং বসে থাকে ও এক পাশে কাত হয়ে শুয়ে থাকে।
লেশনঃ
লিভার বড় হয়,কিডনি স্প্লিন বড় হয়।
চিকিৎসা: চিকিৎসায় ভাল রিজাল্ট পাওয়া যায়না
টিকা: হেপাটোভেক্স ০.৩ সি সি করে;৩-১১ সপ্তাহে ১ম টিকা চামড়ার নিচে এবং ৪ সপ্তাহ পর আবার দিতে হবে.তবে ভ্যাক্সিন টা পাওয়া যায় না।
ব্রিডারে টিকা দিতে হবে যাতে বাচ্চাতে না আসে।
২।ডাক প্লেগ।
এটি ডাক প্লেগ ভাইরাস দিয়ে হয়।
প্রতি বছর অনেক হাস এই রোগে মারা যায়।মৃত্যহার ১০০ পর্যন্ত হতে পারে।
বসন্ত কালে বেশি হয়।এটি নেদারল্যান্ডে ১৯২৩ সালে আর মিশরে ১৯৮৬ সালে ১ম দেখা যায়।
হোয়াইট পেকিং ,খাকি ক্যাম্বেল, মাস্কোভি হাঁস বেশি আক্তান্ত হয় আর ইন্ডিয়ান রানার,দেশি এবং হাইব্রিড কম আক্রান্ত হয়।যে কোন বয়সে হয় তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে রিক্স বেড়ে যায়।
ডিম দিয়েও ভার্টিকেলী ছড়ায়।
সুস্থ হলেও ভাইরাস ছড়ায়।
সব গুলো মাধ্যম দিয়েই ছড়ায়।
লক্ষণ
#হঠাত আক্রান্ত হয়(একিউট) এবং অনেক মারা যায় যেতে থাকে(persistent mortality 25-40% )ও ডিম কমে যায়।বয়স্ক হাস বেশি মারা যায়।
বয়স্ক হাঁস কোন লক্ষন ছাড়াই মারা যায়।আলো থেকে দূরে সরে যায়।
Tremor of head ,neck,body.
#পানি বেশি খায় এবং পুরুষ হাসের পুংলিংগ অবশ হয়ে বের হয়ে আসে।
চোখের পাতা ফুলে যায়,পানি পড়ে ও ময়লা জমে,ঘাড় পাশে বা পিছনের দিকে বেকে যায় ও মারা যায়।
লেশন ঃসব গুলো অর্গান আক্রান্ত হয়।
ইসোফেগাসে ডিপ্তহেরিটিক মেমব্রেন দেখা যায়।
জি আই ট্রাকঃহেমোরজিক স্পট, crusty yellowish white plagues.
চিকিৎসাঃ
চিকিৎসা দিলে ভাল রিজাল্ট পাওয়া যায় না।তবে স্যালিডিন/ডায়াডিন বড় হাসে ০.5ml মাংসে ৩দিন ইঞ্জেকশন দি্যে চেস্টা করা যায়।।
টিকা;
১ম বার ২১-২৮দিনে,২য় বার ১৫ দিন পর মানে ৩৬-৪৩ দিনে বুকের মাংসে।পরবর্তিতে ৪-৫ মাস পর পর।
সরকারী টিকা ১০০ডোজ,১০০ মিলি ডিস্টিল পানির সাথে মিশিয়ে বুকের মাংসে ১এম এল করে ইনজেকশন দিতে হবে।
৩।ডাক কলেরা
এটি পাস্টোরেলা মাল্টোসিডা নামক ব্যাক্টেরিয়া দিয়ে হয়।মৃত্যহার ৫০%।৪ সপ্তাহের অধিক বয়সের হাস আক্রান্ত হয়।
#খাবার কমে যায় এবং জ্বর আসে।মর্বিডিটি ১০-৮০%।
ইনকিউবেশন পিরিয়ড ৪-৯দিন।
একিউট হলে ১২-২৪ ঘন্টায় ৫০% মারা যায়।
সাব একিউট হলে ১-২দিনে ৫০% মারা যায়।
#পা প্যারালাইসিস হয় এবং সবুজ পায়খানা হয় ও পানি বেশি খায়।
লেশন ঃএকিউটঃpetechia and echymosis on serosis and micous membrane.
সাব একিউটঃpetechia and echymosi in intestine ,heart,lungs.
swollen liver,coagulative necrosis(corn meal liver).
চিকিৎসাঃ
জেন্টামাইসিন এবং পটেনশিয়াল সালফোনেমাইড( মাইকোনিড, কসুমিক্স ভাল কাজ করে।
টিকা;
১ম বার ৪৫-৬০ দিনে ,২য় বার বুস্টার ডোজ ১৫ দিন পর ৬০-৭৫ দিন পর,ডানার তলদেশে পালক এবং শিরা বিহীন স্থানে চামড়ার নিচে।পরবর্তিতে ৪-৫ মাস পর পর।
১০০ ডোজ
৪।মাইকোটক্সিকোসিস
হাস বাহিরে খায় বলে অনেক ছত্রাক আক্রান্ত খাবার এবং দূষিত পানি খেয়ে ফেলে ফলে সহজেই এরা আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
#খাবার কম খায়,ডিম কমে যায়, খোসা পাতলা হয় ও ডিমে রক্ত দেখা যায়
#হঠাত মারা যায়
চিকিৎসাঃ
পুরান খাবার বাদ দিয়ে নতুন ভাল খাবার দিতে হবে এবং টক্সিনিল প্লাস পানিতে দিতে হবে ৫-৭ দিন।
৫।আমাশয়
হাসে বাচ্চা আক্রান্ত হয়,টাইজেরিয়া পারনিসিয়া নামক প্রোটোজোয়া দিয়ে এ রোগ হয়।
লক্ষণঃ
#ওজন কমে যায়,খাবার কম খায়,দূর্বল হয়ে পড়ে এবং দাড়াতে পাড়েনা।
#প্রথমে সাদা ,পড়ে রক্ত মিশ্রিত পায়খানা করে ও মারা যায়।
চিকিৎসা ঃ
ই এস বি৩ ২-২.৫ গ্রাম প্রতিলিটার পানিতে সব সময় ৫ দিন ।
৬।বটুলিজম
ক্লোস্টিডিয়াম বটুলিয়াম দিয়ে হয়।
পচা খাবার ওপোকা খেয়ে হয়।
পার একিউটে হঠাত মারা যায়।
একিউটে নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং পরে ঘাড়, পা ও পাখা প্যারালাইসিস হয়।
চিকিৎসা ঃসোডিয়াম সেলেনাইট এবং এ ডি এ দেয়া যায়।
৭।ডিম আটকে যাওয়া
৮।পায়ে সমস্যা মানে ভিটামিন নিয়াসিনের ঘাটতি হয় বাচ্চা অবস্থায়।
৯।কৃমিঃ
ডায়রিয়া হয়,ওজন কম হয়।
১০।এ আই।
হাঁচি দেয়,শ্বাস কস্ট হয়।মারা যায়।
১১।মাইকোপ্লাজমোসিস
৩ সপ্তাহের দিকে বেশি দেখা যায়,পায়ে সমস্যা হয়,শ্বাস কস্ট হয়।
ডায়রিয়া ,টর্টিকোলিস হয়(মাথা ঘোরায়)।
১২।সালমোনেলোসিস(প্যারাটাইফয়েড)
প্যারাটাইয়েড মেইনলি হাঁসের হয়।
ইদুরের মাধ্যমে ছড়ায়।
লক্ষণঃ
প্রধানত ৭ সপ্তাহের নিচে লক্ষণ দেখা আয়।
প্রচুর ডায়রিয়া হয়ে নিস্তেজ হয়ে শেষে ডিডাইড্রেশন হয়।
পাছায় প্যাস্টিং হয় এবং ভেজা থাকে।পাখা ঝুলে যায়।কাপ্টে থাকে এবং তাপের কাছে চলে যায়।
সালমোনেলা এনাটাম দিয়ে যদি আক্রান্ত হয় তাহলে বুকের মাংস শুকিয়ে হাড় বের হয়ে যায় আকে কিল ডিজিজ বলে।
সালমোনেলা moscow দিয়ে আক্রান্ত হলে বাচ্চাতে অনেক কর্টালিটি হয়।
সালমোনেলা টাইফিমোরিয়াম এন্ড এন্টাইটিডিস দিয়ে হলে৩০% মর্টালিটি হতে পারে।
লেশনঃ
সেপ্টিসেমিকের কারণে মারা গেলে লেশন তেমন পাওয়া যায় না।
এন্টারাইটিস এবং ডিহাইড্রেশন হয়।
সালমোনেলা moscow দিয়ে আক্রান্ত হলে লিভার ব্রোঞ্জ কালার হয়।
সালমোনেলা টাইফিমোরিয়াম এন্ড এন্টাইটিডিস দিয়ে হলে হেপাটোমেগালি হয়।
কিছু হাঁস অন্ধ হয় এবং ক্ষুদ্রান্তে প্লাগ ও সিকাল সিজি হয়।
চিকিৎসা ঃ
সালফার ড্রাগ ভাল কাজ করে।
প্রতিরোধঃ
ভাল ব্রিডার থেকে বাচ্চা নিতে হবে যেখানে সালমোনেলা মুক্ত থাকে।
ইদুর থেকে মুক্ত থাকতে হবে।
ডিমের মাধ্যমে বাচ্চাতে আসে তাই হ্যাচারীতে বায়োসিকিউরিটি ভাল করতে হবে।
১৩।কলিব্যাসিলোসিস(সেপ্টিসেমিয়া)
লক্ষণ।শ্বাস কস্ট
লেশনঃপেরিকার্ডাইটিস,পেরিহেপাটাইটিস এবং এইয়ার স্যাকোলাইটিস।
১৪।এনাটিপেস্টিফার( ডাক সেপ্টিসেমিয়া,নিউ ডাক ডিজিজ)
১-৮ সপ্তাহ হয়।
সাধারণত বিভিইন ক্ষত বিশেষ করে পায়ের ক্ষত দিয়ে আক্রান্ত হয়।
হাঁস শুকিয়ে যায়।
মর্টালিটি ২-৭০% যা বয়স এবং ধকল এর উপ্অর নির্ভর করে।
লেশনঃ ফাইব্রিনাস এয়ার স্যাকোলাইটিস।
টিকার সিডিউল
ডাক প্লেগ
২১-২৮দিন ১ম টিকা ২য় টিকা ১৫দিন পরে ৩৬-৪৩দিনে বুকে বা ঘাড়ে ১মিলি করে।
কলেরা ১ম টিকা ৪৫-৬০দিনে ২য় টিকা ১৫দিন পর ৬০-৭৫দিনে ঘাড়ে চামড়ার নিচে ১মিলি করে