Breaking News

প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য কখনোই গাভীকে দেয়া ঠিক নয়!!!

প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য কখনোই গাভীকে দেয়া ঠিক নয়!!!
—————————————————
প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্য দুধাঁলো গাভীকে সরবরাহ করা উচিৎ নয়! অনেক খামারী ভাইয়েরা মনে করেন তার খামারের দুধেঁল গাভীটিকে বেশি খাবার দিলে দুধও মনে হয় বেশী দিবে। এটা একদম ভুল ধারণা!পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম, পুষ্টিকর খাবার গাভীর শারীরবৃত্তীয় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এবং দুধ উত্পাদনের জন্য অপরিহার্য কিন্তু অতিরিক্ত খাবার কখনোই নয়। বরং এতে উল্টোটাই হয়। খাবার হজমের জন্য পাকস্থলীর রাসায়নিক পরিবেশ হচ্ছে ক্ষারীয়। গাভী যত বেশি জাবরকাটবে খাবারের সাথে বেশি লালা মিশ্রিত হবে এতে খাবার বেশি হজম হবে। গাভী জাবর কাটার সময় না পেলে খাবার হজম হবে না। আর একারণে পুষ্টিও কম পাবে। আর পুষ্টি কম পেলে দুধ উত্পাদনও কমে যাবে। তাই খাবার হজমের জন্য গাভীকে কমপক্ষে আট ঘণ্টা জাবর কাটার সময় দিতে হবে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর আর কোনো খাবার দেয়া ঠিক হবে না। কারণ ওই সময়টা হচ্ছে জাবরকাটা এবং বিশ্রামের।
১ম ৩লিটার দুধের জন্য ৩কেজি দানাদার খাবার,পরের ৩কেজি দুধের জন্য ১কেজি।খাবার ২ভাবে ভাগ করে ২ বেলা দেয়া ভাল।কাচা ঘাস ১৫-২০কেজি,পানি ৫০-১০০ লিটার গাভীর ওজন অনযায়ী।
লেখকঃ মুক্তি মাহমুদ (পি ডি এফ)
কাচা ঘাস

গরুর খাবারের সহজ সরল হিসাব :

দানাদার খাবার : গরুর সহায়ক খাবার হিসাবে আন্তর্জাতিক মানদন্ডে বডি ওয়েটের ২% দানাদার স্টান্ডার্ড ধরা হয়। দুধের গরুকে প্রথম ৩ কেজি দুধের জন্য ৩ কেজি দানাদার খাবার, পরের প্রতি ৩ কেজি দুধের জন্য ১ কেজি দানাদার খাবার। দানাদারের মধ্যে ৫৫-৬০% শর্করা (চালের কুড়া, ভুট্টা, গমের ভুষি), ২৫-৩০% প্রোটিন ( ডালবীজ যেমন : এংকর, মশুরী, মুগ, খেসারী, মাষকলাই বা ডালবীজের খোসা), ১০-১২% ফ্যাট ( তেলজাতীয় বীজের খৈল, যেমন: সরিষা, তিল, নারিকেল, সয়াবিন, কালোজিরার খৈল), ভিটামিন ও মিনারেল ২-৩% (যেমন : লবন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, জিংক, বিট লবন, লালী)। তবে প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশী দিলে অন্য খাবার কমিয়ে দেয়া যায় এবং দানাদার খাবারের পরিমান পুস্টিমানের উপরেও নির্ভর করে।

ঘাস : ঘাস খড় গরুর প্রধান খাবার এবং গরু সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে। কমপক্ষে বডি ওয়েটের ৫%। ঘাস খড় মিলে বডি ওয়েটের কমপক্ষে ১০% দিতে হবে।

 

বাছুরের জন্য দুধ : বাছুরের ওজনের ১০%।

দ্রস্টব্য : গরুকে ৮ কেজির বেশী দানাদার দেয়া ঠিক নয়। কারন দানাদার খাবার গরুর হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়, এসিডিটি সৃস্টি করে এবং প্রজনন ক্ষমতা নস্ট করে। গরুর জাত ভেদে এবং দুধের পরিমান ভেদে দানাদার খাবারের শতকরা হিসাবে সামান্য হেরফের হতে পারে।

jahidul islam

Please follow and like us:

About admin

Check Also

নবজাতক বাছুরের যত্ন ও করণীয় :

নবজাতক বাছুরের যত্ন ও করণীয় : স্তন্যপায়ী প্রায় সকল প্রাণীর জন্মপ্রক্রিয়া প্রায় একই হলেও কিছু …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »