#ডেইরি_ব্রীড_টেস্টিং_রিসার্চ_প্রজেক্ট
দেশে ডেইরি শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে ডেইরি ব্রীড টেস্টিং রিসার্চ প্রজেক্টের মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রজেক্ট এ অংশ গ্রহন করছে বিভিন্ন জেলার ১২৫ জন খামারি।
এর নেতৃত্বে আছেন টিম লিডার হিসেবে দেশে বিদেশে সুখ্যাত ব্রীডিং বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডঃ এ,কে,ফজলুল হক ভুইয়া, টিমে আছেন প্রফেসর ডঃ রুহুল আমিন, প্রফেসর ডঃ সামসুল আলম ভুইয়া- ব্রীডিং এন্ড জেনেটিক্স বিভাগ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ময়মনসিংহ এবং প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, মেডিসিন বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ময়মনসিংহ।
উনারা ৫ বছর এদেশের বিভিন্ন খামারে বিভিন্ন ট্রপিক্যাল আবাহাওয়া উপোযোগী জাত যেমন,ব্রাজিলিয়ান গির, গিরোল্যান্ডো, শাহিওয়াল, শাহিওয়াল ফ্রিসিয়ান, এবং হাই ফাংশনাল হেলথ ট্রেইট যুক্ত হলিস্টিন, জার্সি, ড্যানিশ রেড, মন্টবিলিয়ার্ড এর আমাদের দেশের উপোযোগী ক্রস নিয়ে গবেষণা করবেন।
এই টিমে খামারিদের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করছেন মালিক ওমর- আহাবায়ক, নাজিম উদ্দিন হায়দার-সদস্য সচিব, মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, কাউসার শাহ,খালিদ এইচ সরকার রবিন, আল আমিন তালুকদার, আব্দুর রাজ্জাক রাজন – সদস্য।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ভুইয়া স্যারের এই গবেষণার উদ্দেশ্য হলো এদেশের উপযোগী একটি ডিজিজ রেজিস্টেন্ট, হাই ইল্ডিং জাত তৈরি যার মাধ্যমে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার নুন্যতম পর্যায়ে নিয়ে এদেশের জন্য ফিড এফিসিয়েন্ট দীর্ঘজীবী একটি ট্রপিক্যাল ডুয়েল পারপাস জাত তৈরি করা যাতে অল্প খাদ্য খেয়ে অধিক দুধ ও মাংস উতপাদন করা যায়।
কারন আমাদের দেশে ঘাসের জায়গা কম এবং দানাদার খাদ্যের প্রাপ্যতা ও মুল্য অন্নান্য দেশের চেয়ে বেশি। এবং গাভী গুলো হবে জেনেটিক্যালি অধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন যাতে অসুখ বিসুখ কম হবে। ফলে এন্টিবায়োটিক বা অন্যান্য ঔষুধের ব্যবহার অন্তত ৮০% কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। এতে খামারির উৎপাদন খরচ কমবে এবং ভোক্তাগন নিরাপদ এন্টিবায়োটিক ফ্রি দুধ ও মাংস পাবে।
আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরুর ঘোষণা এলো ডেইরি ব্রীড টেস্টিং রিসার্চ প্রজেক্ট এর। এর মাধ্যমে শুরু হতে যাচ্ছে দেশকে ডেইরি শিল্পে সয়ংসম্পূর্ণ করার দিকে। গত ১০/০১/২০২০ ইং তারিখে শ্রদ্ধেয় প্রফেসর এ,কে,ফজলুল হক ভুইয়া স্যার এর ঘোষণার মাধ্যমে এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হলো।
প্রফেসর ভুইয়া স্যার এর ঘোষণা নিম্নরূপঃ –
###
“ডেইরি ব্রীড টেস্টিং রিসার্চ প্রজেক্ট- এর মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম শুরুর আনুষ্ঠানিক নোটিশঃ
১. প্রকল্পভুক্ত খামারী প্রতিনিধি ও BAU এর বিশেষজ্ঞ প্রফেসরগণের সমন্বয়ে গঠিত কার্যকরী কমিটির বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ০৪-০১-২০২০ ইং তারিখের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জনাব নাজিম উদ্দিন হায়দার কে সর্বসম্মতিক্রমে সদস্য সচিব নির্বাচিত করা হলো।
২. আগামি ৩১শে মার্চ ২০২০ ইং তারিখে গবেষণা কাজের জন্য প্রাণী নির্বাচন ও এয়ার ট্যাগিং শুরু হবে এবং তা ২০ এপ্রিল ২০২০ এর মধ্যে শেষ করতে হবে।
৩. এই লক্ষ্যে ২০ জানুয়ারি ২০২০ এর ভিতরে সকল অংশগ্রহণ কারীর চূড়ান্ত প্রজননক্ষম প্রাণী সংখ্যা নির্ধারণ করে (যদি কারো পূর্বে পাঠানো সংখ্যা থেকে দুএকটি কম বা বেশি হয়), প্রতিটি আইকার এপ্রুভড প্রিন্টেড ইয়ার ট্যাগের জন্য ৫০ টাকা হারে(যতগুলো গরু x ৫০/ = টাকা) একাউন্টে জমা দিয়ে ইয়ার ট্যাগ এর অর্ডার কনফার্ম করতে হবে। ইয়ার ট্যাগিং ছাড়া কোন প্রানী এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবে না।
★ এই প্রজেক্ট এ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করেছেন এবং ফর্ম পুরন করে পাঠিয়েছেন কিন্তু ভুল ক্রমে বা কুরিয়ার এর সমস্যার কারনে চুড়ান্তপাব্লিশড শিট এ নাম আসে নাই এমন কোন অংশগ্রহণকারী থাকলে তারা আত্র নোটিশ জারির পরবর্তী -৭ দিনের মধ্যে তা সংশোধন করে নিবেন। এর পর আর কোন ওজর আপত্তি গ্রহনযোগ্য হবে না।
৪. প্রকল্পের ১ম বছরের বিশেষজ্ঞগনের যাতায়াত ও বিবিধ খরচ বাবদ ৩৬০০/ টাকা আগামী ২০শে জানুয়ারির ভিতর প্রকল্পের ব্যাংক একাউন্টে জমা দিয়ে, জমা স্লিপ এর কপি জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হল।
প্রকল্পের ব্যাংক একাউন্ট এর বিস্তারিতঃ-
একাউন্টের নামঃ -ডেইরি ব্রীড টেস্টিং রিসার্চ প্রজেক্ট
কারেন্ট একাউন্ট নং- ২১৭১ ১১৫০১ ১১২৩
ব্যাংকের নামঃ -প্রাইম ব্যাংক লিঃ
৫. ইয়ার ট্যাগিং ও বিশেষজ্ঞ গনের পরিদর্শনের সময় প্রত্যেক খামারির ৩০০/- টাকার ননজুডিশিয়াল স্টাম্পে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ গবেষক গনের প্রতি চুড়ান্ত সম্মতিপত্র প্রদান ও চুক্তি সাক্ষর করতে হবে।
৬. প্রকল্পের ইয়ার ট্যাগিং ও বিশেষজ্ঞগনের পরিদর্শন ও পরবর্তী কার্যক্রম দ্রূত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকলের ইতিবাচক মনোভাব ও সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
প্রফেসর এ, কে, ফজলুল হক ভুইয়া
এনিম্যাল ব্রিডিং ও জেনেটিক্স বিভাগ,
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।
ও টিম লিডার
ডেইরি ব্রীড টেস্টিং রিসার্চ প্রজেক্ট।
১০/০১/২০২০ ইং”
###
এবার এগিয়ে যাওয়ার পালা। এদেশেই তৈরি হবে স্বপ্নের গাভী যা হবে অন্তত প্রতি ল্যাক্টেশনে ৬০০০-৭০০০ লিঃ উৎপাদনক্ষম এবং অধিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন। আমাদের লক্ষ্য কম জায়গায় কম গরু পেলে উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে দেশকে দুধ ও মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। একই সাথে জেনেটিক্যালি রোগ প্রতিরোধী জাত তৈরির মাধ্যমে এন্টিবায়োটিকের ব্যাবহার অন্তত ৯০% কমিয়ে ভোক্তাদের মাঝে নিরাপদ দুধ ও মাংস সরবরাহ।
পল্লী ডেইরী ফার্মারাস এসোসিয়েশন