টার্কির মাইকোপ্লাজমোসিস
মাইকোপ্লাজমা গ্যালিসেপ্টিকাম।মাইকোপ্লাজমা মেলিয়াগ্রেডিস ( Mycoplasma meleagrides) ।মাইকোপ্লাজমা সাইনোভি
মাইকোপ্লাজমা রোগ টার্কিতে ১৯০৫ সালে সনাক্ত করেন Dodd এবং ১৯৩৮ সালে Dikinson ও Hinshan ।তারা এ রোগের নামকরণ করেন ‘ইনফেকশাস সাইনুসাইটিস ‘
পরে পোল্ট্রি ও টার্কিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মাইকোপ্লাজমা গ্যালিসেপ্টিকাম নামক জীবাণু সনাক্ত ও পৃথক করা হয়।মাইকোপ্লাজমা গ্যালিসেপ্টিকাম মুরগিকে আক্রান্ত করলে ক্রোনিক রেসপিরেটরি ডিজিজ এবং টার্কিকে আক্রান্ত করলে ইনফেকশাস সাইনুসাইটিস নামে ডাকা হয়।
লক্ষণ :
হাঁচি,কাশি,সর্দি ও মাথা ফুলে যায়।
টার্কির নাক দিয়ে মিউকাস নিঃস্বরণ বেড়ে যায়।
চোখে ফেনাযুক্ত মিউকাস ও প্যারান্যাজাল সাইনাস ফুলে যায়।
চোখ আংশিক অথবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে সাইনাস ফুলে যাবে।টার্কি শুকিয়ে যায়।
ট্রাকিয়ায় গড় গড় শব্দ হবে,মাইকোপ্লাজমার সাথে এন ডি, আই বি ও ই কলাই এর মিক্স ইনফেকশন হলে সমস্যা বেশি হয়।
এয়ার স্যাকুলাইটিস ও সাইনুসাইটিস হয়।এয়ার স্যাকুলাইটিস ও ট্রাকিইয়াটিস হলে ব্যথাযুক্ত কাশি হবে।
ব্রিডার টার্কির ক্ষেত্রে ডিমের উৎপাদন কমে যাবে।শীতকা্লে বেশি দেখা দেয়।
ধকলে পড়লে হলে যে কোন সময় এ রোগ হতে পারে।।
বয়স্ক টার্কি থেকে বাচ্চা টার্কি এ রোগের প্রতি বেশি সংবেদনশীল।অধিকাংশ টার্কি এ রোগে আক্রান্ত হয়।
প্রতিরোধঃ
মাইকোপ্লাজমা মুক্ত ব্রিডার ফার্ম থেকে বাচ্চা নিতে হবে।বাণিজ্যক খামারের ব্যবস্থাপনা ভাল করতে হবে।জীবনিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
ব্রিডার টার্কিকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে হবে।
চিকিৎসাঃ
ডা ঠিক করবে কিভাবে চিকিৎসা কিভাবে দিতে হবে,টার্কির ক্ষেত্রে টিয়ামুলিন (Tiamulin) ভালো কাজ করে।