#গবাদী পশুর ইঞ্জেকশন দেবেন যেভাবেঃ
সাধারণত পশুকে তিনভাবে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়।
১.ইন্টার-মাসকুলার অর্থাৎ সরাসরি মাংসের ভিতর।
২.সাব কিউটেনিয়াস অর্থাৎচামড়ার নিচে।
৩.ইন্টার ভেনাস অর্থাৎসরাসরি শিরার মধ্যে।
এছাড়াও চামড়ার মধ্যে;যাকে বলে ইন্ট্রাডারমাল,
চোখের কোণে; যাকে বলে ইন্ট্রাওকুলার,
সরাসরি হার্টের মধ্যে; যাকে বলে ইন্ট্রাকার্ডিয়াক,
গবাদীপশুর রুমেনের মধ্যে যাকে বলে ইন্ট্রা-রুমিনাল,ইঞ্জেকশনও দেওয়া হয়ে থাকে কিন্তু এদের ব্যবহার খুবই কম।
#সাধারণতঃ পশুকে ইঞ্জেকশন কিভাবে দেবেনঃ
ইন্ট্রামাসক্যুলার(মাংসের মধ্যে ইঞ্জেকশন):
গবাদি পশুকে সাধারণত ইন্ট্রামাসক্যুলার ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় পিছনের দিকে মাংসল জায়গায়। তবে পিছনের দিক ছাড়াও কাঁধের কাছে ইন্ট্রামাসকুলার দেওয়া যেতে পারে।তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সাবধনতা অবলম্বন করতে হবে যাতে চামড়ার নিচে না হয়ে যায় বা সুচটি গিয়ে কোন হাড়ে আঘাত করে। ইন্ট্রামাসক্যুলার ইঞ্জেকশনের সুচটি অবশ্যই বড় হতে হবে। সিরিঞ্জে করে ওষুধ তুলে সমস্ত হাওয়া বের করার পর সুচটাকে আগে প্রাণীটার শরীরে ফুটিয়ে দিতে হবে। ফুটিয়ে দেবার পর সিরিঞ্জের মুখটা সুচ লাগিয়ে আস্তে করে পিস্টটটি দেখতে হবে রক্ত আসছে কিনা। রক্ত না আসলে সিরিঞ্জের পিষ্টনে চাপ প্রয়োগ করে আস্তে আস্তে ঠেলে দিয়ে ওষুধটা প্রাণির শরীরের ভিতরে দিয়ে দিতে হবে।সুচটা শরীর থেকে বার করে নেবার পর যেখানে সুচটা ঢুকানো হয়েছিল, সেখানটা আঙুল দিয়ে কিছুক্ষণ চেপে রাখতে হবে। যেন রক্ত বের হতে না পারে।এটা ৯০ডিগ্রি এংগেলে দিতে হবে।
#সাবকউটেনিয়াস(চামড়ার নিচে ইঞ্জেকশন)ঃ
পশুকে সাবকউটেনিয়াস ইঞ্জেকশন দেবার সব থেকে ভাল জায়গা গলার কাছে বা সামনের পায়ের একটু পিছনে। এমন জায়গায় দিতে হয় যেখানে চামড়া টানলে সহজে অনেকটা টেনে তোলা যায় এখানেও সুচটাকে আগে প্রাণীটার চামড়ার নিচে ফুটিয়ে দিতে হবে।তারপর সুচটা সামান্য বাইরের দিকে তুলে দেখতে হবে চামড়ার সুচটা ওপরের দিকে উঠছে কিনা। যদি ওঠে তখন বুঝতে হবে সুচটা ঠিক চামড়ার নিচেই আছে। তখন সিরিঞ্জের ওষুধটা ঢুকিয়ে দিতে হবে।এটা ৪৫ডিগ্রি এংগেলে দিতে হবে।
#ইন্টারভেনাস(শিরায় ইঞ্জেকশন)ঃ
ঘোড়া,মোষ,গরু,ছাগল,ভেড়াকে গলার কাছে জুগুলার শিরায় ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। বড় বাছুর ও গরুকে পিছনের হাঁটুর তলায় বাইরের দিকে রেকারেন টারসাল শিরাতে ইঞ্জেকশন দেওয়া যেতে পারে।শিরায় ইঞ্জেকশন দেবার সময়‘স্ক্যাল্পভেইন’সেট ব্যবহার করা ভাল।১৮ নং সেট ব্যবহারে ভাল ইঞ্জেকশন দেওয়া যায়। এই ইঞ্জেকশন দেবার সময় মনে রাখতে হবে যেন কোনমতেই হাওয়া রক্তের মধ্যে না যায়।তাই স্ক্যাল্পভেইন সেটের সুচ শিরায় ঢুকিয়ে যখন রক্ত নলের পিছন পর্যন্ত আসবে তখনই ওষুধ প্রয়োগ করাতে হবে।