#ঔষধি_গুনে_ভরা_দারুচিনি_প্রাকৃতিক_বিষক্রিয়ালোপকারক
দারুচিনি বা দারচিনি ,Lauraceae পরিবারের দারুচিনির ইংরেজি নাম Cinnamon, আর বৈজ্ঞানিক নাম Cinnamomum zeylanicum. দারুচিনির আদি নিবাস শ্রীলংকা।ভারত উপমহাদেশে অনেক আগে থেকে দারুচিনি খুবি জনপ্রিয়। রান্নায় খাবারের স্বাদ ও সুগন্ধে মাত্রা যোগ করতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে দারুচিনি।
মসলা হিসেবে দারুচিনির ব্যবহার সুপ্রাচীন। মসলা হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি দারুচিনির রয়েছে ভেষজ ও ঔষধি গুণ। দারুচিনির বাকলে থাকে ‘সিনামালডিহাইড’ যা এর সুঘ্রাণ সৃষ্টি করে। আর পাতায় থাকে ‘ইউজিনল’। তাছাড়া এতে রয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মিনারেল ও ভিটামিন। দারুচিনি গাছের প্রায় প্রতিটি অঙ্গ যেমন- বাকল, পাতা, কুঁড়ি, ফুল, ফল ও শেকড় কোন না কোন কাজে লাগে। এছাড়া ভেষজ ওষুধ তৈরির উপাদান হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এই মসলা।
শারীরিক সমস্যার প্রতিষেধক হিসাবে উল্লেখ রয়েছে দারুচিনির। বর্তমানে দারচিনির প্রভাব সম্পর্কে আরও জানতে গবেষণা হয়ে চলেছে। দারচিনি গোটা আকারে তো বটেই, গুঁড়ো হিসাবেও বহুল পরিচিত। এছাড়াও দারচিনির গুণনিঃসৃত তেলও নানা কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, এখনও অবধি সারা পৃথিবী জুড়ে প্রায় ২৫০ রকমের দারুচিনি চাষ করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে সবথেকে বেশি পরিচিত মাত্র দু’রকমের দারুচিনি। যাদের নাম হল, সেইলন সিনামন এবং কাসিয়া সিনামন।
দারুচিনি গুঁড়োতে ক্যালরি, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, আইরন, ভিটামিন কে রয়েছে।
পোল্ট্রি খামার ব্যবস্থাপনায় দারুচিনি ভেষজে ব্যবহার উপকারিতা রয়েছে,, চলুন জেনে নিই দারুচিনির ঔষধি গুনাগুণ—-
🍂 গবেষকদের মতে পৃথিবীতে যত রকমের উপকারি ভেষজ আছে, তার মধ্যে সবথেকে উপকারি হল দারুচিনি। কারণ এর মধ্যে মজুত রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেই সঙ্গে দারুচিনি গাছের ছালের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন উপকারি উপাদান, যেমন- সিনামাডিহাইড, সিনামিক অ্যাসিড এবং সিনামেট। এগুলো নানাভাবে পোল্ট্রির শরীরের উপকার করে থাকে।
🍂 দারুচিনি পোল্ট্রিকে খাওয়ালে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী ওঠে।
🍂 পোল্ট্রির ঠাণ্ডা জনিত রোগ, পেশী সংকোচনের কারণে ব্যথা এবং শক্তি সঞ্চয়ে সাহায্য করে দারুচিনি। তাছাড়া রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতেও দারুণ কার্যকর।
🍂 পোল্ট্রির রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে দারুচিনি। (দারুচিনির গুঁড়ো ১ চা চামুচ ১ লিটার পানি)।
🍂 দারুচিনিতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। যা পোল্ট্রির পেটে ব্যাক্টেরিয়ার কারণে যে সব অসুখ হতে পারে তা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
🍂 দারুচিনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, যা পোল্ট্রির হাড় গঠন, রক্ত ও শরীরের অন্যান্য কোষ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
🍂 পোল্ট্রির শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষত সারিয়ে তুলতে এই ভেষজ মসলা বেশ কার্যকরী।
🍂 দারুচিনির অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান পোল্ট্রির শরীরে ছত্রাকের সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে।
🍂 দারুচিনির অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মধ্যে রয়েছে পলিফেনল, ফেনলিক অ্যাসিড, ফ্ল্যাভোনয়েডস ইত্যাদি, যা পোল্ট্রির বহু ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রক্ত পরিশুদ্ধ করতে।
🍂 খাদ্য-বিষক্রিয়া থেকে পোল্ট্রি আক্রান্ত হলে দারুচিনি গুঁড়া বা পেস্ট খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়। কারণ এই ভেষজিও মসলা পাকস্থলির ব্যাক্টেরিয়া ও ফাংগাস দমন করতে সাহায্য করে।
বিশেষ উপকারিতা 🍯🍂
দারুচিনি ➕ মধু এসথে ব্যবহারের ফলে উপকারিতা বেশি পাওয়া সম্ভব।সেক্ষেত্রে ১চা চামুচ দারুচিনি গুঁড়ো ➕ ১ চা চামুচ মধু ১লিটার পানি ।সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন।চাইলে দারুচিনি পানিতে ভালো করে ফুটিয়েও পানি পোল্ট্রিকে দেওয়া যায়।ঠান্ডার সময় কুসুম গরম অবস্থায় পানি পোল্ট্রিকে দিতে হবে।
⚠️⚠️সতর্কীকরণ⚠️⚠️
দারুচিনির চূর্ণ বা গুঁড়ো ২মাসের বেশি সংরক্ষণ করে রাখা যাবে না।।এতে গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়।
নিয়মিত দারুচিনির ব্যবহারের ফলে খামারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ব্যাপক উপকার পাওয়া সম্ভব।সবচেয়ে বড় বেপার ওষুধের খরচ কমে যাবে অধিক অংশে। দারুচিনি ব্যবহারে পোলট্রির রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে এবং সুস্থ সবল ভাবে বেড়ে উঠবে।প্রকৃতিতে সব রকম রোগের ওষুধ ই বিদ্যমান।দারুচিনি এই গ্রহের সবচেয়ে বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভেষজ। এর মিষ্টি স্বাদ এবং সুন্দর সুবাসের জন্য শতাব্দীর পর শতাব্দীর ধরে প্রায় প্রত্যেক সংস্কৃতির দ্বারা সমাদৃত হয়ে আসছে।
তাই আমাদের উচিত দারুচিনির ব্যবহার বাড়িয়ে,উপকৃত হওয়া।।
🌱🌱🌱Accept nature’s gift ,, be and keep healthy🕊️🕊️🕊️🕊️🦋🦋🦋
Compiled and originated by
Joya K Ahmed