#মহাঔষুধি_জার্মানি_লতা_এন্টিফাঙ্গাল_ক্ষত_নিরাময়ী_লতিকা
জার্মানি লতা এক ধরণের লতা জাতীয় গ্রীষ্মম-লীয় উদ্ভিদ। লতাজাতীয় উদ্ভিদ বিধায় অন্য গাছের উপর নির্ভর করে বেড়ে ওঠে এটি।কান্ড নরম প্রকৃতির হয়ে থাকে। পাতা গাড় সবুজ রঙের। পাতাগুলো দেখতে অনেকটা পান পাতার মতো; কিন্তু আকোরো ছোট। এর ফুল ও বীজ সাধারণত সাদা রঙের হয়ে থাকে।অঞ্চল ভেদে অনেকের কাছে এটা জার্মান লতা,বিকাশ লতা,জাপানী লতা,ফিরিঙ্গি লতা,আসাম লতা,রিফুজি লতা,বুড়ি পান লতা,পাকিস্তানি লতা,তুন্নে লতা,জিয়ারী লতা ,বুচি লতা,তইননে লতা,পাহাড়ি লতা ,মদু লতা,টুনির লতা ,পায়রা লতা,যশোইরা লতা,বেড়াটি লতা ,রিজলি লতা,তুপাইননে লতা ,গোয়ালা লতা,আগাছা ও পরগাছা হিসেবেও পরিচিত। তবে অধিকাংশের কাছে জার্মানি লতা হিসেবে অধিক পরিচিত।
সাধারন নাম: Climbing Hempweed, American rope, Bittervine, Chinese creeper, Mikania vine
বৈজ্ঞানিক নাম: Mikania micrantha
পরিবার: Asteraceae
ভেষজ চিকিৎসায় এর ব্যবহার রয়েছে।এই লতা কবিরাজি ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত হয়। জার্মানি লতা পারিবারিক ঔষুধের চাহিদা মেটাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
জার্মানি লতা মিকানিয়া গণভুক্ত উদ্ভিদ, যারা কয়েক’শ প্রকার সপুষ্পক লতাজাতীয় উদ্ভিদ রয়েছে। মিকানিয়া গণভুক্ত প্রায় ৪৫০ ধরণের প্রজাতি রয়েছে। বাংলাদেশে Mikania micrantha এবং Mikania Scandens এই দুটি প্রজাতি বেশি দেখা যায়। জার্মানি লতা বলতে মূলত এই দুই প্রজাতিকে বোঝানো হয়।জার্মানি লতার আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা। এটি একটি উজ্জ্বল ক্রমবর্ধমান লতা যা উচ্চ আর্দ্রতা, হালকা এবং মাটি উর্বরতা অঞ্চলে সর্বোত্তমভাবে বৃদ্ধি পায়। যদিও এটি কম উর্বর মাটিগুলোকে অনুকূল করতে পারে।
জার্মানি লতার বীজ বায়ুর মাধ্যমে ছড়িয়ে য়ায়। এভাবে এর বংশবিস্তার ঘটে। এক ঋতুতে একটি গাছ ২০-৪০ হাজার বীজ উৎপাদন করতে পারে।যেখানে সেখানে, ঝোপ-ঝাড়ে, জঙ্গলে, রাস্তার আশেপাশে জার্মানি লতা দেখা যায়। তাই এটা সহজলভ্য।
পোলট্রি ও খামার বস্থাপনায় জার্মানি লতার গুরুত্বও কম নয়,,এর ওষুধি গুন ব্যাপক জায়গা বিস্তার করে আছে,,—
? পোল্ট্রির শরীরের যে কোন গুটি বা বসন্ত ,ক্ষত অংশ জোড়া লাগাতে, বা যে কোন ব্যাকটেরিয়াল ও ফাঙ্গাল ইনফেকশন সারাতে এক জাদুকরী ক্ষমতা রয়েছে জার্মানি লতায়। এছাড়া পোল্ট্রির রক্ত বন্ধে, পেটের সমস্যায়, বিষ কাটাতে, পোল্ট্রির শরীরের ত্বক ভালো রাখতে, জার্মানি লতা ঔষুধের মতো কাজ করে।
?পোল্ট্রি বা পাখি ছাড়াও গরু ,ছাগল ,ভেড়ার জন্য অতি উৎকৃষ্ট উপাদেয় ও রুচি বর্ধক খাবার বলে বিবেচিত।
? পোল্ট্রির কোথাও কেটে গেলে বা আঘাত লাগলে এই পাতার রস বা পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগালে এতে তাৎক্ষণিক রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়। তাড়াতাড়ি কাটা অংশও জোড়া লেগে যায়।
? পোল্ট্রি কে বিষাক্ত পোকামাকর কামড়ালে জার্মানি লতার পাতা রস বা পেস্ট করে আক্রান্ত জায়গায় লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
? পোল্ট্রির পেট ফাঁপা সমস্যায় জার্মানি লতার পাতা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। গ্যাস হলে এই পাতা পিঁষে ২ চা চামুচ পরিমাণ রস ও এক চা-চামচ আখের গুড় মিশিয়ে ১ লিটার পানীতে খাওয়ালে ভালোই উপকার পাওয়া যায়।
? পোল্ট্রি কে সকালের প্রথম পানিতে ২ চা-চামচ জার্মানি লতার রস ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে সাতদিন খাওয়ালে রক্ত দূষণ ভালো হয়।পোল্ট্রি সাস্থউজ্জল থাকে।
? জার্মানি পাতার রস পোল্ট্রির শরীর ঠান্ডা করে। এই লতার পাতা ও কাঁচা হলুদ একসাথে পিঁষে পরিমান মত পানির সাথে পোল্ট্রিকে খাওয়াতে হবে।
? সব মিলিয়ে জার্মানি লতায় রয়েছে নানাবিধ ঔষধী গুণাবলি। এই লতা কবিরাজি ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত হয়। জার্মানি লতা খামারে ঔষুধের চাহিদা মেটাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
☢️☢️ব্যবহার বিধি☢️☢️
↪️ জার্মানি লতার পাতার রস ২ চা চামুচ ১ লিটার পানিতে (১০ মি লি)।
↪️ জার্মানি লতার পাতার গুঁড়া ২চা চামুচ ১ লিটার পানিতে (১০ গ্রাম)।
↪️ জার্মানি লতার পাতা বাটা ২চা চামুচ ১লিটার পানিতে।
⚠️⚠️সতর্কীকরণ⚠️⚠️
↪️ জার্মানি লতার পাতা অবশ্যই রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে।
↪️ গুঁড়ো 2 মাসের বেশি সংরক্ষণ করা যাবে না।কারণ এতে গুনা গুন নষ্ট হয়ে যায়।
↪️ ভেষজ মিশ্রিত পানি ৬ ঘন্টার বেশি রাখা যাবে না।
↪️ জার্মানি লতার গুন আছে ভেবে মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।।নয়তো গুণের চেয়ে দোষের পরিমান বেশি হবে ।
নিয়মিত জার্মানি লতার পাতার ব্যবহারের ফলে খামারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ব্যাপক উপকার পাওয়া সম্ভব।সবচেয়ে বড় বেপার ওষুধের খরচ কম যাবে অধিক অংশে।
প্রকৃতিতে সব রকম রোগের ওষুধ ই বিদ্যমান।।জার্মানি লতা হলো ইনফেকশন ও ফাঙ্গাস পড়া রোধে ও প্রতিকারে যমের ভূমিকা পালন করে।তাই আমাদের উচিত খামারে জার্মানি লতার ব্যবহার বাড়িয়ে,উপকৃত হওয়া।।দিনে জার্মানি লতা ৮০-৯০ মিলিমিটার পার্যন্ত বদ্ধি পায়। দ্রুত বর্ধনশীল বিধায় ইংরেজীতে এটাকে “Mile a minute” নামেও ডাকা হয়,a magical tree ও বলা হয়।যেখানে সেখানে গ্রামে বাড়ির আসে পাশে ঝোপ ঝাড়ে পাওয়া যায় তাই সহজেই পাওয়া সম্ভব।
???Accept nature’s gift ,, be and keep healthy?️?️?️?️???
Compiled and originated by
Joya K Ahmed