Breaking News

একজন নতুন উদ্যেক্তা হিসাবে আপনার করনীয়ঃ

একজন নতুন উদ্যেক্তা হিসাবে আপনার করনীয়ঃ
________________________________

উদ্যোক্তা সেই যে রিস্ক বা ঝুঁকি নিতে জানে সফল হওয়ার লক্ষ্যে।

১। নিজেকে চ্যালেন্জ দিন আপনি পারবেন- সফলতার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হচ্ছে নিজেকে সবসময় চ্যালেঞ্জিং রাখা।

২। নিজের কাজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন। অনেক সময় আমাদের মধ্যে এমন কিছু মানুষ আমরা খুজে নাই যারা নিজের কাজকে ছোট করে দেখে। নিজেই যদি নিজেকে ছোট মনে করেন তাহলে মানুষ আরো সুযোগ পাবে কথা বলার আপনার কাজ নিয়ে। তাই যেই কাজ করুন না কেন নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে।

৩। ঝুঁকি নিতে হবে। উদ্যোক্তা হতে হলে আপনাকে অবশ্যই ঝুঁকি নিতে হবে। তবে তরুন উদ্যোক্তা হিসাবে আপনাকে আপনার মূলধন এর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। যেন রিক্স নিয়ে সব যেন হারিয়ে না ফেলেন।

৪।তরুণ উদ্যোক্তা হিসাবে লক্ষ স্থির রাখুন।
আজকে এই ব্যবসা, কালকে আরেকটা নিয়ে চিন্তা করার আগে লক্ষ স্থির রাখতে হবে। একজন উদ্যোক্তা কে সফল হওয়ার আগ সময় পর্যন্ত স্থির থাকতে হবে আপানার লক্ষের দিকে। আপনার দৃষ্টি সর্বদা পরিষ্কার রাখুন।

৫। ভয়কে দূর করতে হবে। স্বাভাবিক ভাবেই একজন তরুণ উদ্যোক্তা হিসাবে কিছু ভয় কাজ করবে। তবে তারাই সফল হবে যারা এই ভয়কে দূর করতে পারবে। তাই তরুণ উদ্যোক্তা হতে হলে ভয় কে জয় করতেই হবে।

৬। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ। এটি একটি অন্যতম কার্যকারী উপায় নিজেক মেলে ধরার। এই দুনিয়ায় খুব কম মানুষই আছে যারা সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেন নিয়েছে। আর সফল তারাই যারা সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করে ভয়কে দূর করে সফল হতে পেরেছে।

৭। অতি লোভ ও অতি ভয়।
লোভ এমন একটা জিনিস যা আমাদের সবার মধ্যে কম বেশী আছে। তবে অতি লোভে আবার তাতী নষ্ট হওয়ারও কথা আছে। তাই তরুণ উদ্যোক্তা হতে হলে অতি লোভ ও অতি ভয় দূর করতে হবে।

৮। সঠিক বিজনেস খুজে বের করা। আপনি বাকী সব তরুনদের মত না। কারন আপনি একজন উদ্যোক্তা। উদ্যোক্তা হিসেবে আপনাকে সব সময় চোখ কান খোলা রাখতে হবে।

৯।ভুল থেকে শিখতে হবে।

জানেন , শুনেন & ভাবেন তারপর বিনিয়োগ করেন,,,,

মানহা ডেইরী ফার্ম

একজন প্রতিষ্ঠিত খামারির লক্ষ লক্ষ টাকার গরু, ছাগল আর হাজার হাজার টাকার দুধ বিক্রয়ের গল্প শুনে কখনই চোখ-কান বন্ধ করে খামার ব্যবসায় ঝাঁপ দেবেন না। হোক দেশে অথবা বিদেশে, সোনার হরিণ নামে খ্যাত ভালো বেতনের সম্মানজনক চাকুরীটি হুট করে ছাড়ার সিদ্ধান্তও নেবেন না। আবার শ্রেফ মোহের বশে পরিবারের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি বা বিনিয়োগ করে নিজের একক বুদ্ধিতে নিঃস্ব হবার পথে হাঁটতে যাবেন না। যে কোনো ধরনের খামার শুরুর আগে অত্যন্ত ধৈর্য্য ও বুদ্ধিমত্তার সাথে প্রয়োজনীয় খোঁজখবর ও প্রাথমিক প্রস্তুতি নিন। কেননা সঠিক প্রস্তুতি ও বিচক্ষণতার ওপরেই নির্ভর করছে আপনার স্বপ্নের খামারের সফলতা ও ব্যর্থতা।

খামার ব্যবসা শুরুর পূর্বে প্রধানত যে সব দিকে গুরুত্ব দেয়া ও বিবেচনায় আনা জরুরীঃ

 গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, গাড়ল – আপনি যাই পালন করেন না কেনো আগে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে, আপনি কেনো সেটা পালন করতে চাইছেন এবং স্থানীয়ভাবে এর বিক্রয়মূল্য ও চাহিদা কেমন।

 প্রথমেই বিশাল খামার তৈরীতে হাত না দিয়ে ছোট পরিসরে শুরু করা ভালো। তবে ছোট আকারের খামারে শুরুতে গড় খরচের হার বেশী হলেও, গরুর সংখ্যা যত বাড়বে গড় খরচের হার তত কমতে থাকবে।

 খামার করতে প্রথমেই ব্যাংক লোনের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন, নিজ সামর্থ্যে যত ছোট আকারেই হোক না কেনো সেখান থেকেই শুরু করুন।

 স্বল্প বেতনে বা বিনা পারিশ্রমিকে শুধুমাত্র থাকা খাওয়ার বিনিময়ে একজন প্রশিক্ষিত দক্ষ খামারীর তত্ত্বাবধানে অন্তত তিন মাস হাতে-কলমে কাজ করে গবাদিপশু পালনের প্রশিক্ষণ নিন। পশুর মলমূত্রাদি পরিষ্কার করে, এর গন্ধ সহ্য করে, খড়-ঘাস কেটে নিজেকে একজন রাখাল হিসেবে তৈরী করুন।

 যেখানে সহজ ও ঝামেলা মুক্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং ন্যায্যমূল্যে দুধ বিক্রয়ের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে, এ সব এলাকার আশেপাশে তুলনামূলক উঁচু জায়গায় ডেইরী খামার গড়ে তুলুন।

 খামার পাশ্ববর্তী পরিবেশ, যেমন- রোগজীবাণু, সাপ, পোকামাকড় ইত্যাদি, চুরি-ডাকাতি, এলাকার সাধারণ জনগোষ্ঠীর আচরণ, রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিশ্লেষণ ও বিবেচনা করুন।

 গরু মোটাতাজাকরন দিয়ে খামার শুরু করুন, সংখ্যার দিক থেকে সেটা হোক না ২ বা ৩টি। আর্থিক সামর্থ্য কিছুটা ভালো থাকলে সাথে ১টি দেশী গাভী রাখতে পারেন এবং কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে বিদেশী উন্নত জাতের ষাঁড়ের বীজ দিয়ে জাত উন্নয়নের মাধ্যমে খামারে পশুর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারেন।

 এককালীন বা প্রথম বিনিয়োগে কিছুটা বেশী খরচ হলেও আধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা খামার তৈরী করুন, তাতে খামারের কর্মচারী সংখ্যা কম লাগবে, সময় ও শ্রম বাঁচবে, দৈনিক/মাসিক খরচও অনেক কম হবে।

 মোট মূলধন থেকে একটি অংশ দিয়ে খামার ঘর নির্মাণ ও পশু ক্রয় করুন, দ্বিতীয় অংশ দিয়ে বছরের বিভিন্ন সময়ে উৎপাদিত মৌসুমী পশুখাদ্য সস্তায় ক্রয় করে সারা বছরের জন্যে মজুদ করুন এবং তৃতীয় অংশটি বিভিন্ন ঝুঁকি ও সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিপদআপদ এর সম্বল হিসেবে ব্যাংকে বা হাতের কাছে মজুদ রাখুন।

 গো-শালা বা গবাদিপশুর ঘরটি এমনভাবে তৈরী করুন যাতে ভবিষ্যতে গরুর সংখ্যা বাড়াতে প্রয়োজন অনুযায়ী ঘরের জায়গা সম্প্রসারণ করা যায়।

 গবাদিপশুর সংখ্যা অনুপাতে কাঁচা ঘাস চাষ করার জায়গা/জমি নির্ধারন করুন। অন্যান্য খাদ্য উপকরণ, যেমন- খড়, ভুষি, খৈল, চালের কুড়া, লালি ইত্যাদি সহজে ও সুলভ মূল্যে কোথায় পাওয়া যায়, তা যাচাই করুন।

 গবাদিপশু ও দুধ ক্রয়-বিক্রয়ের স্থানগুলো চিহ্নিত করে একটি তালিকা তৈরী করুন এবং আপনার খামারের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা যাচাই করুন।

 সবশেষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাটি বলতে চাই, আর তা হলো নিজে স্বশরীরে দেখাশোনা ও খামার পরিচালনা করতে না পারলে ভাই-ব্রাদার, মামু-খালু অথবা কর্মচারীর ভরসায় খামার ব্যবসায় বিনিয়োগ লাভজনক বা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রয়োজনে-

১. একজন সরকারি বা প্রাইভেট ডিভিএম (DVM) বা অভিজ্ঞ পশু চিকিৎসকের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে রাখুন।
২. যাচাই-বাছাই করে অন্তত ৩ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ খামারীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগ রক্ষা করুন।
৩. গবাদিপশুর রোগ-বালাই সম্পর্কিত প্রাথমিক চিকিৎসা সম্বন্ধে জেনে রাখুন।
৪. গবাদিপশুর ভেইনে সুই ফোটানো অর্থাৎ ইনজেকশন দেয়ার সঠিক পদ্ধতি শিখে রাখুন।
৫. জরুরী পরিস্থিতিতে ব্যবহার করতে হয়, এমন কিছু ঔষধ ও ইনজেকশন হাতের কাছেই রাখুন।

ইনশা-আল্লাহ্ বিজনেস করে মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে…
৮ টি জিনিসের গ্যারান্টি চাই, নয়তো নয়

১. ভালো আইডিয়া স্কিল,
২, ভালো উপস্থাপনা স্কিল,
৩. ভালো মার্কেটিং স্কিল,
৪. ভালো সততা স্কিল,
৫. মানুষের সাথে সৎ সম্পর্ক উন্নয়স স্কিল,
৬. ৪২ হাজার টাকা বিনিয়োগের সক্ষমতা, নিজের কাছে ৩০ হাজার রেখে এবং অন্যের কাছে ১২ হাজার।
৭. আমি পারবই এমন মনমানোসিকতা এবং
৮. ছয় মাসের ভালো ধৈর্য্য স্কিল

সংগ্রহীত।

 

 

Please follow and like us:

About admin

Check Also

খামার শুরু করার আগে করনীয়ঃ লিখেছেন মালিক ওমর

এটিও একটি ব্যাবসা- যেখানে অন্য ব্যাবসার মত আয়ের যেমন সুযোগ আছে লসেরও তেমন সম্ভাবনা আছে।অতএব …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »