।ক।ফিতাকৃমি
খ।গোল কৃমি
পোল্ট্রিতে প্রধানত ২ ধরণের কৃমি বেশি হয়।
গোল এবং ফিতা কৃমি
মুরগিতে প্রধানত রাউন্ড ওয়াম (২-৩ ইঞ্চি)হয় তবে,সুতাকৃমি(১-১.৫সে মি),সিকালকৃমি,ফিতাকৃমি(৪-৫ ইঞ্চি) হতে পারে।তবে আমি ফিতাকৃমি ১ফুট লম্বা পর্যন্ত পেয়েছি।সিকাল কৃমি ও ফিতাকৃমি গোল কৃমির চেয়ে কম ক্ষতিকর নয়।
এস্কারিডিয়া গ্যালি নামক রাউন্ড ওয়াম দ্বারা বেশি আক্তান্ত হয়।
বয়স্ক কৃমি ক্ষতিকর নয় কিন্তু লার্ভা বেশি ক্ষতিকর।এটি ক্ষুদ্রান্তে আক্রমণ করে।কৃমির পরিমাণের উপর ক্ষতির প্রভাব নির্ভর করে।ক্যাপিলারিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে ডিমের কুসুম বিবর্ণ হয়(প্লাটিনাম কুসুম)
ক্ষতিকর প্রভাবঃ
কৃমি হলে পাখির ওজন কমে যায়।এন্টারাইটিস হয়।রক্ত শোষণের কারণে এনিমিয়া হয়।ইন্টেস্টাইনে ব্লক তৈরি করে।গ্রোয়িং পিরিয়ডে মুরগি মারা যায়।
চিকিৎসা
১।পাইপেরাজিন সাইট্রেট ৯৯-১০০%(Ascarex)
১গ্রামে ১গ্রাম পাইপেরাজিন সাইট্রেট থাকে।ডোজঃ২৫০ এম জি/কেজি বডিওয়েট।
টোটাল ২দিন পানিতে দিতে হবে এতে ধকল কম পড়ে।প্রতি গ্রামে পাইপেরাজিন সাইট্রেট ১০০০ মিলি গ্রাম আছে।গোলকৃমি ও সিকাল কৃমির জন্য পাইপেরাজিন ভাল কাজ করে।পাইপেরাজিন খাবার বা পানিতে দেয়া যায়।তবে পানিতে বেশি ভাল।এটি ননটক্সিক।
ডোজঃ
বডিওয়েট ছাড়া ডোজ নিন্মরূপ
ডিম পাড়া মুরগিতে ৩টি জন্য ১গ্রাম।পুলেটে ৭টির জন্য ১গ্রাম
গ্রোয়িং এ ১০টির জন্য ১গ্রাম
২।লিভামিজল হাইড্রোক্লোরাইড ৩০%(avinex,Eskanex ,mitrax)
প্রতি গ্রামে আছে লিভামিজল ৩০০ মিলিগ্রাম আর সুক্রোজ ৭০০ মিলিগ্রাম।ডোজঃo.০৮গ্রাম/কেজি বডি ওয়েট এর জন্য ১দিন।
বডিওয়েট ছাড়া ডোজ নিন্ম রূপ
৬-৮ সপ্তাহে ২০টি মুরগির জন্য ১গ্রাম।পুলেট ১৫-১৮ সপ্তাহে ১০টি মুরগির জন্য ১গ্রাম
ডিম পাড়া মুরগিতে ১৯ সপ্তাহ থেকে বিক্রি ৭টির জন্য ১গ্রাম।ফিতা ও গোল কৃমির বিরুদ্ধে কাজ করে।
৩।এলভেন্ডাজল ১০%(Wormazole)
ডোজ ০.১ এম জি/কেজি বডিওয়েট ১দিন।
বডিওয়েট ছাড়া ডোজ নিন্ম রূপ
ডিম পাড়া মুরগিতে ১০০০লেয়ারে ২০০ এম এল
বা ১০ কেজি বডিওয়েটের জন্য ১এম এল
৪।ফেনভেন্ডাজল দেয়া যায়।
ফেনাজল (একমি)
প্রডাকশন মুরগির ক্ষেত্রে ১০০০লেয়ারের জন্য ২০০এম এল পানিতে
৫।আইভারমেক্টিন ১%(Acimec1%)
২০-২৫ এম জি/কেজি বডিওয়েট
বডিওয়েট ছাড়া ডোজ নিন্ম রূপ
১ এম এম ৩লিটার পানিতে বা ডিম পাড়া লেয়ারে ১০০০ মুরগির জন্য ১০০ এম এল।উকুনের জন্য (এক্টোপ্যারাসাইট) করা যায়,১০০০ পাখির জন্য ১০০ এম এল ২লিটার পানিতে মিশিয়ে।
উকুন যদি থাকে তাহলে ৭ -১৫দিন পর আবার ২দিন দিতে হবে।মুরগিতে ৩ফোটা করে ড্রপ ও দেয়া যায়।গেপ ওয়ার্ম,সিকাল কৃমি,ট্রাকিয়াল কৃমি ও অন্ত্রের কৃমির বিরুদ্ধে কাজ করে।
প্রতিরোধ
খাচায় পালন করলে কম হয়।খাবারে ভিটামিন এ ও বি কমপ্লেজ এর ঘাটতি যাতে না হয়।এসবের ঘাটতি হলে কৃমির আক্রমণের সম্বাবনা বেশি হয়।লিটার শুকনা,মাঝে মাঝে পরিবর্তন করতে হবে ,তাছাড়া লিটারে ইন্সেক্টিসাইড দেয়া যায়।অল্প জায়গায় বেশি মুরগি পালন করলে লিটার খারাপ হয় মানে লিটারের আদ্রতা ও তাপমাত্রা বেড়ে যায় যা কৃমির ডিমের জন্য দরকার।খাবার ও পানি যাতে পরিস্কার হয়।
টিপসঃ সোনালীতে প্রায় ফার্মেই কৃমি হয়,মুরগি শুকিয়ে যায় তাই ৪-৫ সপ্তাহে কৃমিনাশক দেয়া উচিত।
লেয়ারে অনেকে কৃমির ডোজ ঠিকমত করে না তাই ভ্যাক্সিন ঠিক মত কাজ করে।কারণ কৃমি থাকলে টিকা ভাল কাজ করবে না।লেয়ারে ৭-৮ সপ্তাহে ১ম বার ,তারপর ৪৫-৬০দিন পর পর কৃমিনাশক দেয়া উচিত।ফার্মে যদি মাছি বা পোকামাকড় বেশি থাকে তাহলে কৃমি হবার সম্বাবনা বেশি থাকে।কৃমিনাশকের গ্রুপ পরিবর্তন করে দেয়া উচিত কারণ একই গ্রুপ দিলে রেজিস্টেন্ট হয়ে যায়।কৃমিনাশক সকাল বেলা ও বডিওয়েট অনুযায়ী দেয়াই ভাল