বিড়াল এর জন্য ক্ষতিকর কিছু খাবার ও তাদের প্রভাব
“”””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
ডা. সুজন কুমার সরকার
01777516183
1.এলকোহল( Alcohol)
এক চা চামচ পরিমান এও অনেক বড় ধরণের সমস্যা তৈরী করে. এটা মস্তিস্ক ও লিভার ধ্বংস করে দিতে পারে …
2. Chocolate ( চকোলেট)..
চকোলেটে থিওব্রোমিন থাকে.. এটা বিড়াল এর হৃদযন্ত্র এ জটিলতা, মাংসপেশীতে কাপুনিসহ খিঁচুনির মতো উপসর্গ তৈরী করে. এছাড়া এতে ক্ষতিকর ক্যাফেইন ও থাকে..
3. কফি, চা ও অন্যান্য পানীয় (Coffee, tea and energy drinks)
এগুলোতে ক্যাফেইনসহ অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা বিড়ালকে রেস্টলেস, শাসকষ্ট, খিঁচুনি, হৃদযন্ত্রের নানা জটিলতায় ভোগায় ..
4. দুধ ও পনির (Cheese and milk)
কিছু বিড়াল এর লাক্টোজ ইন্টলেরান্সে থাকে, তাই দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়ালে বিড়াল এর বমি, ডায়রিয়া সহ নানা ধরণের আন্ত্রিক গোলযোগ হতে পারে. আর ছোট বাচ্চাকে শুধু দুধ খাওয়ালেও সেটা অনেক পাতলা করে পানি মিশিয়ে খাওয়াতে হবে.
5. কাঁচা মাছ, মাংস, ডিম,চর্বি (Fat trimmings, raw meat, raw eggs and raw fish)
বমি ও ডায়রিয়া সহ তীব্র পেটে ব্যথা (প্যাংক্রিয়াটাইটিস) হতে পারে. এছাড়াও সালমোনেলা ও ই. কোলাই ইনফেকশন এর সম্ভাবনা থেকে যায়.
6.আঙ্গুর ও কিসমিস (Grapes and raisins)
কিডনী এর কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে.. তাই এই খাবার গুলো কুকুর বিড়াল এর আশেপাশে না রাখাই ভালো.
7. পেঁয়াজ ও রসুন (Onions and garlic)
খুব অল্প পরিমান কোনো ক্ষতি নাও করতে পারে. কিন্তু এক কোয়া পরিমান রসুন বা পেঁয়াজ ও অনেক সময় পরিপাকতন্ত্রের জটিলতসহ বিষক্রিয়া হতে পারে. এমনকি এগুলো কুকুর বিড়াল এর এনিমিয়া ও ঘটাতে পারে.
8. Xylitol( Sweetener) চুইংগাম
ব্লাড সুগার মারাত্মক ভাবে কমে যাওয়ার জন্য দায়ী. যা পরবর্তীতে সিজার, কনভালসন অথবা মর্ত্যুও ঘটাতে পারে.
9.মানুষের ওষুধ
বিড়াল এর জন্য মানুষের সব ওষুধ ব্যাবহার করা যায় না. আবার যেগুলো ব্যবহার করা যায়, সেগুলোর ডোজ এ অনেক ভিন্নতা আছে. তাই যেকোনো ওষুধ ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই রেজিস্টার্ড ও অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে হবে.
সংগৃহীত ও অনুবাদিত