টিপসঃ
১।গরমে আর্দ্রতা বেড়ে ৮০-৮৫% হয়ে যায় ফলে প্যান্টিং হয় এতে বডি থেকে আর্দ্রতা বের হয়ে যায় এতে এনার্জি লস হয় আবার খাবার কম খাওয়ার জন্য আরো এনার্জি লস মানে মোট ২৬০ ক্যালোরী-৮০ক্যালরিঃ১৮০ক্যালোরি।প্রতি মুরগিতে প্রতিদিন লাগে ২৬০ কিলোক্যালরি কিন্তু গরমে ৮০ ক্যালরি লস হয়ে যায় যা উতপাদনে কাজে লাগে।। আর ১৮০ ক্যালরি বডির মেইন্টেইনে খরচ হয় তাই প্রডাকশন কমে যায় এবং ওজনও কমে যায় প্রায় ২০০গ্রাম।মোট ১কেজি খাবারে ২৬০০ কিলো ক্যালরি ধরে।
গরমে খাবারে ফ্যাট বেশি দেয়া উচিত।
সয়াবিন খাবারে না দিলে প্যান্টিং বেশি হয় কারণ এতে পটাশিয়ামের ঘাটতি হয়।
পটাশিয়াম ক্লোরাইড টনে ২-৩কেজি দিতে হবে।
ছাদে পানি দিতে হবে বা পাইপ দিয়ে সেখানে ৪-৬ ইঞ্চি দূর দূর ছিদ্র করে ৩০-৬০ মিনিট পর পর পানি দেয়া যায়।
ভেজা চট শেডের পাশে ঝুলিয়ে দেয়া যায়।
খাবারে পার্টিকল সাইজ বড় করতে হবে এবং জিংক ও কপার টনে ২০০গ্রাম দিতে হবে।
বায়োটিন ও ফলিক আসিড খাবারে দেয়া উচিত।
পানিতে বরফ দেয়া যায় ১০০০লিটারে ২০কেজি।
সেডের বাহিরে বাড়তি ৩ফুট টিন বা আলাদা করে চালা দিলে গরম কম লাগে।
২।সেডে ক্রনিক কক্সিডিওসিস দূর করা জন্য
ফ্লেম গান দিয়ে মাটি পুড়ে দিতে হবে।
১০% হাইড্রোজেন পার অক্সাইড দিয়ে ফ্লোর ওয়াশ করতে হবে।
১/২ কেজি সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড ১০ বর্গ ফুট জায়গায় দিতে হবে।
সোডিয়াম বেন্টোনাইট ১-২কেজি /১০ বর্গ ফুট জায়গার জন্য
এরপর ক্লোপিডল এবং রুবিনিডিন এক সাথে প্রিস্টাটারে এবং মনেন্সিন ও মাদুরামাইসিন স্টাটারে ।
ফিনিশারে ডিকোকৈনেট(Decoquinate) ৫০০গ্রাম /টন খাবারে দিতে হবে।
৩।আই বি বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন প্রভাব ফেলে
বাচ্চাতে আই বি হলে মর্টালিটি হবে না যদি করাইজা,ও আর টি এবং সি আর ডি না আসে।
গ্রোয়িং পিরিয়ডে আই বি, সি আর ডি দ্বারা কমপ্লিকেটেড হয়।
প্রডাকশন পিরিয়ডে প্রডাকশন পিকে আসে না এবং ৭৫-৮৫ এর মধ্যে থাকে।
৪।ব্রয়লারের লাইটিং
১ম সপ্তাহে ৩০-৫০লাক্স ২৩ ঘন্টা
২য় সপ্তাহ ৩০-৫০লাক্স ৮ ঘন্টা রেস্ট
৩য়-৫ম সপ্তাহ ৩০লাক্স ৪ ঘন্টা রেস্ট এই সিস্টেম টা কিভাবে সম্বব তা জানা নাই।এক জায়গায় পেয়েছি।
৫।ডিমের কালার আসে পিগমেন্ট থেকে যেমন ফটোফাইরিন ও বিলিভার্ডিন
ফটোফাইরিন থেকে গাড় বাদামী কালার আসে আর বিলিভার্ডিন থেকে নীল এবং সবুজ কালার আসে।
ইমুর ডিম সবুজ হয়।
পাখিতে যদি হেমোগ্লোবিন কম থাকে বা ভাইরাল ডিজিজ হয় তাহলে ডিম পেল হয়ে যায়।
৬।কোয়েল পাখির খাচার মাপ এবং খরচ
১৮ ইঞ্চি বাই ১২ ইঞ্চি(square) ট্রে সহঃ ২৩০টাকা(15-)
১০ ইঞ্চি বাই ১২ ইঞ্চি (Round) ট্রে সহ ঃ ১৩০টাকা(15-)
৭।গরমে বাজরা ব্যবহার করা ভাল কারণ এতে এনার্জি স্লো রিলিজ হয় কিন্তু এতে ট্যানিন বেশি থাকে ফলে আয়রণ শোষণ কম হয় ফলে চিকেন এনিমিয়া হয়।
৮।চুনের উপকারিতা
লিটারের এমোনিয়া দূর করে এবং পি এইচ বাড়ায়
পি এইচ বেড়ে যাবার ফলে অনেক জীবানূ মারা যায়
মাছি কমে
এ আই,এ ন ডি ও অর্নিথসিস এর উপর কাজ করে
চুনের অসুবিধা
পি এইচ বাড়লে ই-কলাই বাড়ে।
পুরান লিটার ব্যবহার করতে কাজে ্লাগে।
৯।মুরগি বিক্রির আগে তেল বা ডি ও আর বি দিলে মুরগির ওজন বাড়ে
বিক্রির ১৫দিন আগে ২% তেল খাবারে দিলে ওজন ৫০গ্রাম বাড়বে।
শুধু গ্লোকোজ এর চেয়ে পটাসিয়াম সালফেট ও গ্লোকোজ এক সাথে ওজন ভাল থাকে।
১০।গরমে ডিমের সাইজ বড় রাখার উপায়
ফ্রেক্স সিড ওয়েল এবং সয়াবিন তেল কিন্তু পামতেল ও ট্যালোতে কাজ হবে না।
এনার্জি কম হলে ডিমের সাইজ ছোট হয়।
ক্যালসিয়াম দিতে হবে ৪.৫ % এবং লিনোলেনিক এসিড দিতে হবে ১.২ গ্রাম/বার্ড
গরমে হিউমিডিটি দুপুরে ৭৫% এবং রাতে ৭০% এর কম থাকা উচিত।
রাতে যদি তাপ ৩০ডিগ্রির বেশি হয় এবং আর্দ্রতা ৮০% এর বেশি হয় তাহলে মুরগি মারা যায়।এর কম হলে মুরগি মারা যায় না কিন্তু প্রডাকশন কমে।
রাতে তাপ যদি ৩০ডিগ্রির কম হয় তাহলে আর্দ্রতা ৮০% হলেও মুরগি মারা যাবেনা।কিন্তু তাপ যদি ৩২ডিগ্রির বেশি হয় তাহলে আর্দ্রতা ৫৫% হলেও মুরগি মারা যাবে।
রাতে ২৮ ডিগ্রি তাপ আর আর্দ্রতা ৮০% হলো স্বাভাবিক মানে মুরগি মরবে না।
আর্দ্রতা বেশি হলে মুরগির ডায়রিয়া হয়।
১১।ইলেক্টোলাইট ডোজ বেশি দেয়া ঠিক নয় এতে ডায়রিয়া হতে পারে ফলে মাছি বেড়ে যায়।
১২।পালক পড়ার জন্য মেথিওনিন সব সময় দায়ী নয়,পুস্টি উপাদানের মান যদি ভাল না হয় এবং লাইসিন ও ফ্যাটি এসিডের ডাইজেশন যদি ভাল না হয় তাহলে পালক পড়ে যেতে পারে।
১৩।প্রোটিন বেশি দিলে প্রডাকশন ও ডিমের ওজন বাড়ে আবার এনার্জি বেশি দিলে প্রডাকশন বাড়ে না।
এসেনশিয়াল এমাইনো এসিড মেথিওনিন ও লাইসিন এর রেশিও গুরুত্বপূর্ণ ।
১৪।ডি ও আর বি ক্যাটলে বেশি ব্যবহার হয়।পোল্ট্রিতেও ব্যবহার হয় দামে কম ভাল রিজাল্ট।
ভাইরাস আক্রান্ত মুরগির প্রডাকশন কমে যায় কারণ পিটুটাইরি গ্রন্থি আক্রান্ত হয় ফলে ক্লাসে (clutch)সমস্যা হয়।এই সমস্যার সমাধানে সময় দিতে হবে বা ২দিন আলো বন্ধ রাখতে হবে বা মোল্ট্রিং।
১৫।ভুট্রা
ভুট্রা বিভিন্ন ধরণের হয় যেমন
সাদা,লাল,হলুদ,মিক্স ইত্যাদি।
ভুট্রাতে অনেক ত্রুটি থাকে যেমন
পেস্টিসাইড স্প্রে
মাইকোটক্সিন
পোকাযুক্ত
হিট ড্যামেজ
ডিজ কালার
কালার জার্মিটেটেড
অপরিপক্ষ
ফরেন মেটারিয়াল যুক্ত
অর্গানিক যুক্ত
নোংড়া ভুট্রা
আর্দ্র ভুট্রা
ভুট্রা ২দিন শুকালে ৩% আর্দ্রতা কমে এবং ৭০% আলফাটক্সিন ও মোল্ড ধবংস হয়।
হঠাত যদি ডিম কমে যায় এবং খোসা বিহীন ডিম পাড়ে তাহলে সন্দেহ করতে হবে পেস্টিসাইড টক্সিসিটি
ওজন যদি ২-৫% কমে যায় এবং দিনে দিনে যদি ডিম কমে যায় তাহলে মাইকোটক্সিনের সমস্যা আছে।
বয়লারে খাবার হজম হতে ৪ ঘন্টা লাগে
বডির ১০% পানি কমে গেলে ডিহাইডড়েশন হয় আর ২০% কমে গেলে মারা যেতে থাকে
ডিমে ১২% প্রোটিন থাকে আর মুরগিতে থাকে ২০%