ডিম থেকে বাচ্চা ফুটাতে সঠিকভাবে যত্ন নিতে হয়,
এখানে যত্নের মূল বিষয় হচ্ছে সঠিক তাপমাত্রা, সঠিক আর্দ্রতা,সঠিক সময় ডিম ঘুরানো, এছাড়াও সূক্ষ সূক্ষ বিষয়ে লক্ষ রাখতে হয়।
যেমন ডিম গুলোর চিকন মাথা নিেচ রাখা, কার্বনাডাইঅক্সাইড বের করে দেয়া, অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা, ডিম ক্যান্ডালিং এর পরে বাওয়া ডিম সরিয়ে ফেলা ইত্যাদি,
তবে প্রধান বিষয় উক্ত তিন টি।
ডিম ইনকিউবেটর দেবার পরে ভ্রুনের বয়সের সাথে সাথে তাপমাত্রা
আর্দ্রতা
ডিম ঘুরানোর কিছু নিয়ম পরিবর্তন করতে হয়।
যেমন
* ভ্রুন যখন বড় হয়ে বাচ্চায় রুপান্তরিত হয় তখন আর বেশি তাপের প্রয়োজন হয় না তাই তাপমাত্রা একটু কমিয়ে দিতে হয়।
*ভ্রুন যখন বাচ্চায় রুপান্তরিত হয় তখন আর্দ্রতা টা একটু বাড়িয়ে দিতে হয়।
*ভ্রুন যখন বাচ্চা রুপান্তরিত হয় তখন ডিম ঘুরানো বন্ধ করতে হয়।
*ভ্রুন যখন বাচ্চায় রুপান্তরিত হয় তখন ইনকিউবেটরের ভিতরে আক্সিজেনের প্রবাহ বাড়িয়ে,কার্বনডাইঅক্সাইড নিঃস্বরন করতে হয়।
যত্নের পরিবর্তনের এই সময়কে হেচিংএর সময় বলাহয়,অর্থাৎ ডিম ফুটে বের হবার ৪/৫দিন আগে থেকে বাচ্চা ফুটে বের হওয়া পর্যন্ত এই ভাবে যত্ন নিতে হয়।
কিন্তু কন্ট্রোলার একটা রেখে একই ইনকিউবেটরে আলাদা ভাবে অবাহাওয়ার পরিবর্তন ভীষণ কঠিন, যদি একই ইনকিউবেটর হেচার এবং সেটার যুক্ত করা হয় তবে সেই ইনকিউবেটরে সঠিক যত্নের ত্রুটি হাওয়া স্বাভাবিক।
কারন আর্দ্রতা বাতাসের মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে যেতে পারে,তাপও বাতাসে ছড়িয়ে যেতে পারে,তাপএবং আর্দ্রতা ছড়ানোর জন্য সার্কুলেশন ফ্যান থাকে, ফ্যানের বাতাসের প্রবাহ যেমন সব জায়গায় ছড়িয়ে পরে তেমনি ইনকিউবেটরের মাধ্যে দেয়াল না থেকে হেচার ট্রে যেখানেই রাখা হোক সেখানেই সেটারের তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা প্রভাব ফেলতে পারে, যার ফলে ইনকিউবেটরে ডিম ফুটার ভাগ কমে আসতে পারে।
সেই কারনে হেচারের জন্য আলাদা ইনকিউবেটর তৈরি করাটাই সবচেয়ে ভালো। হেচার আলাদা রাখলে হেচিংরেট ভালো আসে।
সেটার হেচার যুক্ত ইনকিউবেট গুলোতে একটা বড় সমস্যা দেখা যায় সেটা হচ্ছে ডিমের ভিতর বাচ্চার মৃত্যু হওয়া, সম্পূর্ণ বাচ্চা হয়েও ডিমের ভিতর থেকে বের হতে পারে না। এটা যত্নের ত্রুটির কারনে, এবং ইনকিউবটর তৈরিতে ভুল থাকার কারনে। নিখুঁত ভাবে ইনকিউবেটর তৈরি করলে সমস্যা অনেকটাই কমে আসে।