মেনেজার ও রাখাল নির্ভর গরু পালন
অনেক বড় খামারী রয়েছেন যারা মেনেজার দিয়ে রাখালের মাধ্যমে গরু পালন করেন,কাজের চাপে খামারে যান না,অনেকে বিদেশ থেকে খামার পরিচালনা করেন,আর যারা দেশে থাকেন তারা খামারে গেলেও হয়তো ১৫-৩০ দিনে এক বার খামারে যান, খামারে একটু ঘুরে মেনেজারের সাথে কথা বলে চলে আসেন,এ ধরনের খামারীকে অনেক সময় বলতে শুনি খামার করে লস হচ্ছে অথবা লাভের পরিমান কম হয় অথবা কোন লাভ হয় না,অর্থাৎ আয়-ব্যয় সমান সমান হয়,
এদের অনেকে দুঃখ করে বলেন এত টাকা পুঁজি দিলাম কোন লাভ হচ্ছে না বা কম লাভ হচ্ছে বা লস হচ্ছে,
(লাভ হবে কি করে লাভের টাকাতো কুমিরে খাচ্ছে,)
এ ধরনের মালিককে অনুরোধ করবো বিদেশে থাকলে খামার না করা-ই ভাল,আর যারা দেশে থেকেও খামারে যান না তাদের বলবো প্রতিদিন একবার খামারে যাবেন,দিনে সকাল বিকেল ২ বার যেতে পারলে বেশি ভাল হয়,তখন বিভিন্ন সমস্যা আপনি ধরতে পারবেন,তখন হয়তো দেখবেন
কোন গরু পেট ভরে খাচ্ছে না,
কোন কোন পাত্রে খাদ্য নেই,
কোন গরু পাতলা পায়খানা করছে,
কেন গরুর ওলানের এক সাইড ফুলে আছে,
কোন গরু দেখতে অপরিস্কার লাগছে,
কোন গরুর মিউকাস ঝরছে,অন্য গরুর উপর লাফাচ্ছে,
দানাদার খাদ্য পুরাতন বা নষ্ট মনে হচ্ছে,
খাদ্য খরচের তুলনায় গরু গুলো শুকনা ও দূর্বল মনে হচ্ছে,দুধ কম দিচ্ছে,
ফ্লোর নিয়মিত পরিস্কার করা হচ্ছে,না,
ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি সমস্যা আপনি আবিস্কার করতে পারবেন,আর তখনি আসবে সমধানের উপায়,
মেনেজার যত বিশ্বাসী হোক না কেন খামারের আয়-ব্যয়ের হিসাব অন্তত সপ্তাহে একবার চেক করুন,তাহলে খামারের কাঙ্খিত লাভ চোখে পড়বে,
তবে কর্পোরেট খামারীদের কথা ভিন্ন,তাদের প্রতিদিন খামারে যাবার সময় কই?
এমডি সোহেল।