#পশুর যক্ষা রোগ বা টি বি
রোগের অন্য নাম : টিউবারকিউলোসিস, টিবি রোগ, ক্ষয় রোগ
রোগের কারণ : মাইকোব্যাকটিরিয়াম নামক ব্যাকটিরিয়া জীবানু দ্বারা সৃষ্ট যক্ষা বা ক্ষয়রোগ মানুষসহ সকল পশু পাখির দীর্ঘমেয়াদি সংক্রামক ব্যাধি
রোগের বিস্তার :
আক্রান্ত পশুর ঘনিষ্ঠ সংস্পশের্, শ্বাস- প্রশ্বাসের সাহায্যে অথবা রোগের জীবানু দূষিত খাদ্য বা পানি গ্রহনের মাধ্যমে সুস্থ পশুতে এ রোগের জীবাণু সংক্রামিত হয় ৷
সংঙ্গমের মাধ্যমে যোনি পথ বা মূত্রনালী দিয়ে এ রোগের জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে
কোন বয়সে হয় :যক্ষা যেহেতু দীঘর্মেয়াদী রোগ তাই পূণর্বয়স্ক পশুতে বেশী হয় ।
মানব দেহের জন্য সমস্যা কিনাঃ
পশু হতে এ রোগ মানবদেহে সংক্রমিত হয় প্রধানত ঘনিষ্ট সংস্পর্শের এবং আক্রান্ত পশুর কাঁচা দুধ বা তা ভালভাবে ফুটিয়ে না খাবার কারণে ৷
লক্ষণ
রোগের লক্ষণ আক্রান্ত পশু স্বাভাবিক দেখালেও ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যহানী ঘটে৷
গরুর খাম খেয়ালি খাদ্য গ্রহন, দেহের তাপমাত্রা হ্রাসবৃদ্ধি ঘটে৷ সন্ধ্যার সময় দেহের তাপমাত্রা বেশি বৃদ্ধি ঘটে ৷
ফুসফুস আক্রান্তের জন্য দীঘর্মেয়াদী কাশি ও শ্বাসকষ্ট হয়৷ নিউমোনি য়ার উপসর্গ প্রকাশ পায় যা নিউমোনিয়ার সাধারণ চিকিৎসায় সারে না ৷
আন্ত্রিক যক্ষায় অবিরাম ডায়রিয়া হয়৷
তবে কোষ্ঠকাঠিন্যও হতে পারে৷
জনন তন্ত্র সংক্রমনের জন্য গভর্ধারনে বিঘ্ন ঘটতে দেখা যায়,গর্ভাবস্থার শেষ পর্যা য়ে ৷
গভর্পাত ঘটতে পারে এবং নবজাতক জণ্মের পর মারা যেতে পারে ৷
ওলানের যক্ষায় ওলান ফুলে যায় ৷ প্রথম দিকে দুধের রংয়ের পরিবর্তন দেখা যায় না
কিন্তু ধীরে ধীরে দুধের স্বাভাবিক বর্ণ পরিবর্তন হয়ে হলদে সবজে ভাব দেখা যায় ৷
চিকিৎসা :
যক্ষা রোগে আক্রান্ত পশুর চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয় বহুল এবং সময় সাপেক্ষ৷
গনস্বাস্থ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ও ঔষধে ঠিকমত কাজ হয় না বিধায় উন্নতদেশে আক্রান্ত পশুকে জবাই করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়
প্রধানত নিম্নোক্ত নীতির উপর ভিত্তি করে যক্ষা রোগে আক্রান্ত পশুকে চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে-
পশু পালে বেশি সংখ্যায় পশু থাকলে
অধিক দুধ উৎপাদনশীল জাতের পশু হলে
আক্রান্ত পশু মূল্যবান হলে এবং মানুষের জন্য ক্ষতি কারক তাই বংশ রক্ষার জন্য পশুর ক্ষেত্রে আইসোনিকোটিনিক এসিড হাইড্রাজিন ঔষধ বেশ ভাল কাজ করে৷
প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য প্রত্যহ ২০ মিলিগ্রাম হিসাবে দুইমাস এবং সপ্তাহে ৩ দিন করে পরবতীর্ ৫ মাস খাওয়াতে হবে
রিফামপিসিন প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১০ মিলি গ্রাম অন্য ঔষধের সঙ্গে ভাল ফল দেয়
প্রতিরোধ আক্রান্ত পশুকে সুস্থ পশু থেকে আলাদা করে লালন করা এবং বাইরের পশুকে খামারে নেয়ার পূবের্ পরীক্ষা করে নেওয়া প্রয়োজন ৷
স্বাস্থ্যসম্মত পালন ব্যবস্থার মধ্যে পশুর খাদ্য ও পানির পাত্র প্রত্যেকদিন পরিস্কার করে জীবাণুনাশক (৫% ফেনল বা ক্রেসল) দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে ৷
বাছুরকে যক্ষা রোগাক্রান্ত পশুর দুধ খাওয়ানো যাবে না ৷
কালেক্টেড