গরু ছাগল জাবর কাটার সুবিধার্থে খড় বা ঘাস কমপক্ষে ৩ ইঞ্চি করে কাটা উচিৎ । আমাদের দেশে গ্রামে ছাগলের খড়/ঘাস গুলি খুবই ছোট করে কাটে । যারা কাটে তাদের বক্তব্য এগুলি ছাগলে খেতে পছন্দ করে । কিন্তু আমি তার বিপরীতটা লক্ষ্য করেছি। ছোট ছোট বাচ্চাগুলোও বড় খড়/ঘাস গুলি আগে মুখে নেয় । অপচয় কম হয়।অভিজ্ঞরা কি বলছেন???
#জাবর কাটা
#কিছু কিছু প্রাণী আছে বিশেষ করে গৃহপালিত প্রাণীগুলোকে লক্ষ করলে দেখা যায় বিশ্রামের সময় এরা খাবার চিবুতে থাকে (যা তারা আগে খেয়েছে)। প্রথমে এরা খাবারগুলো না চিবিয়ে গিলে ফেলে পরে বিশ্রামের সময় সে খাবার পেট থেকে মুখে এনে চিবিয়ে চিবিয়ে খায়। এই প্রাণীগুলোকে জাবরকাটা প্রাণী বা রোমন্থক প্রাণী বলে। এই রোমন্থক প্রাণী হলো গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, উট ইত্যাদি।
খাবারগুলি পেট থেকে মুখের মধ্যে এনে চিবিয়ে খাওয়ার জন্য এদের একধরনের পাচনতন্ত্র আছে। এগুলোর পাকস্খলীতে চারটি কক্ষ আছে (১) উদর (২) জালবৎ থলি (৩) ওমাসাম বা বহুভাঁজ থলি ও (৪) অ্যাবোমাসাম বা সত্যিকারের পাকস্খলী।
প্রাণীরা যখন তাদের খাবার গিলে ফেলে তখন তা পাকস্খলীর প্রথম কক্ষে যায়। এটা সব থেকে বড় কক্ষ। খাদ্যদ্রব্য এই স্তরে বড় বড় দলার আকারে থাকে। এখানে খাবারগুলো ভিজে নরম হয়। তারপর চলে যায় দ্বিতীয় কক্ষে। এখানে খাবারগুলো আরো ছোট ছোট টুকরায় পরিণত হয়।
জাবর কাটার সময় উদগীরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খাদ্যবস্তু মুখের মধ্যে চলে আসে। চিবানো হয়ে গেলে চর্বিত খাদ্যবস্তু চলে যায় তৃতীয় কক্ষে। তারপর সেখান থেকে আসল পাকস্খলী বা চতুর্থ কক্ষে। ওখানেই পাচন ক্রিয়া সংঘটিত হয়। তবে সব জাবর কাটা প্রাণীর মতো উটের তৃতীয় কক্ষটি নেই। অর্থাৎ উটের তিনটি কক্ষ থাকে। গরু-ভেড়া-ছাগলের মুখের ওপরের পাটিতে দাঁত নেই। তবে পাটিটি বেশ শক্ত। এর সাহায্যে এবং নিচের পাটির দাঁতের সাহায্যে এরা মুখে খাবার ঢোকায়।