নবজাতক বাছুরের সমস্যা।
১।বিকলঙ্গতা
২। এট্রেশিয়া এনাই।
৩।আম্বিলিকাল হার্নিয়া।
৪।জন্মের পর উঠতে না পারা।
৫।অত্যাধিক দৈহিক বৃদ্ধি,মাঝে মাঝে ফিট হয়ে যাওয়া( মৃগি রোগী বলে ভ্রম)
৬।জন্মের ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে অস্বাভাবিক তাপ (১০৮ ডিগ্রির উপরে) ও হাপানী।
বিকলঙ্গতা
একমাত্র জয়েন্ট যদি বাকা হয়,সেক্ষেত্রে বিশেষভাবে জয়েন্টের চারপার্শ্বে ব্যান্ডেজ ক্লথ জড়ায়ে তার উপর বাশের চটা বেধে দিনে দিনে ২/১ দিন পর পর ক্রমান্বয়ে চাপ দিয়ে বেধে জয়েন্ট প্রায় ক্ষেত্রেই সোজা করা হয়।
এট্রেশিয়া এনাই।
পায়ু পথ না হওয়াকে বুঝায়। মাঝে মাঝে এই ধরনের কেস দেখা যায়। অপারেশন করে পায়ুপথ করে দেয়া যায়।
তবে অপারেশন করার পুর্বে প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে পায়ুপথ(এ্যানাস) যথাস্হানে আছে কিনা??
কখনও কখনও দেখা যায় পায়ু পথ আম্বিলিকাল অপেনিং-এর সাথে যুক্ত থাকে।
তাই অপারেশনটা করার পুর্বে পেটে চাপ দিয়ে রেকটাম এর অবস্হান নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রয়োজনে নিশ্চিত হবার জন্য অপারেশন বিলম্বে করা যায়।
প্রথমে পেটে চাপ দিয়ে রেকটামের অবস্হান নিশ্চিত হয়ে চাপ অব্যাহত রেখে কার্ব নিডিল দিয়ে ক্রস সেলাই দিয়ে সুতার সাহায্যে রেকটামকে আটকাতে হবে অন্যথায় অপারেশনের পর পায়খানা বের হয়ে চাপ কমে গেলে রেকটাম হারায়ে যাই।
পায়ুপথের ছিদ্র অনেকে ভয়ে ভয়ে ছোট করে ফলে কিছুদিন পর পুনরায় অপারেশন করা লাগে।
আম্বিলিকাল হার্নিয়া
অপারেশন
দুই পদ্ধতিতে করা যায়।
১। চামড়া, ফেসিয়া সরানোর( ইনছিসন) পর আম্বিলিকাল রিং-এর প্রান্হ বা edge কেটে ক্ষত করা তারপর সেলাই দিয়ে টাকার থলির মত মুখ এক জায়গায় করে দেয়া যাতে পরস্পরের সাথে জোড়া লেগে যায়।
এক্ষেত্রে সিল্ক সুতা ব্যাবহার করা উত্তম।
২। প্রান্ত বা এজ ক্ষত না করে সরাসরি সেলাই করে বন্দ্ধ করে দেয়া। তবে এক্ষেত্রে পুনরায় সেলাই করার ফাক দিয়ে ইন্টেশটাইনাল লুপ বের হয়ে যেতে পারে।
অপারেশন ছাড়া হার্নিয়া কারেকশন করা যায়। সেক্ষেত্রে মুল লক্ষ যদি ইন্টেশটাইনাল লুপ (পেরিটোনিয়ামের ভিতরে থাকে) কয়েকদিন ঐ ছিদ্র দিয়ে বের হতে না পারে,তবে ছিদ্র ক্রমান্বয়ে ছোট হয়ে বন্দ্ধ হয়ে যাবে।
এই উদ্দেশ্যে কাপড় ছিদ্রের চেয়ে বড় আকার করে ভাজ করে পুরু করে নিয়ে ছিদ্রের মুখেসেট করতে হবে।
তার পুর্বে ইন্টেশটাইনাল লুপ চাপ দিয়ে পেটের মধ্যে ঢুকায়ে দিয়ে এরপর একটা পাতলা কাপড় দিয়ে পিঠের উপর বেধে রাখুন বাধন সরে গেলে মালিক আম্বিলিকাল কনটেন্ট ভিতরে ঢুকায়ে দিয়ে পুনরায় বেধে দেবে।সাধারনত ২/৩ দিনের মধ্যে কারেকশন হয়ে যায়।।
বাছুর উঠতে না পারা টা মুলত মায়ের অপুষ্টতা থেকে সৃষ্ট।
১। ইনজেকশন প্রিডেক্স/ প্রেডনিভেট/ লংগোসোনা ৩মিলি করে মাংসে ৩ দিন পর ২ টা ইনজেকশন দেয়া যায়।এর বেশী দিলে হাড়ের ক্যাল সিয়াম রক্তে মোবিলাইস করে ফলে বাছুর আর দাড়াতে পারে না।
৩য় ইনজেকশন দিতে হলে১৪/১৫ দিন পর দিলে ভাল হয়।
২। এস আর ভিটা- এ ডি ই বি(S R Vita- ADEB)
গাভীর প্রতিবারে ১০০–২০০ গ্রাম করে দিনে একবার।
বাছুরকে ১৫–২০ গ্রাম গুড় দিয়ে দিনে একবার খাওয়ান।চলবে সুস্হ না হওয়া পর্যন্ত।
অথবা এস আর ভিটা – এ ডি ই লিকুইড -১০০ মিলি
চা চামচের ১ চামচ করে দিনে একবার।
মাঝে মাঝে পড়ে ফিট হয়ে যাওয়া,অতপর জ্ঞান ফিরলে প্রচন্ড হাপানি হয়।
এই ধরনের বাছুরের মাংশ পেশী অত্যন্ত ডিভলপ হয় দেখলে মনে হয় ৩/৪ মাসের স্বাস্হ্যবান বাছুর। বাছুরের শরীর চওড়া মাংশপেশী অত্যন্ত ডিভলপ।
বাছুর দেখলেই বলা যাবে এই ধরনের বাছুর ফিট হয়,তারপর কশে তারপর কশা শেষ হলে প্রচন্ড হাপায়।
চিকিৎসাঃ
১। ইনজেকশন প্রেডনিভেট/ প্রিডেক্স/ লংগোসোনা — ৩মিলি করে মাংশে প্রতিবারে ৩ দিন পর পর ২টা ইনঃ( বাছুরের)।
২। এস আর ভিটা– এ ডি ই বি — ১ কেজি
গাভীর জন্য ১০০ গ্রাম প্রতিবারে দিনে একবার।
৩। এস আর ভিটা- এডিই–১০০ মিলি
চা চামচের ১ চামচ করে ১-২ বার দিনে।
জন্মের ১থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে প্রচন্ড জ্বর(১০৮ ডিগ্রী বা তার অধিক) ও হাপানী।
অনেকে নিউমোনিয়া ভেবে ভুল করে,সেক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক ও ফেব্রিফিউস ব্যাবহার করে ফলে ডি হাইড্রেশনে বাছুর মারা যায়।
চিকিৎসাঃ
১। বাছুরের মাথায় আধা ঘন্টা করে দিনে ২ বার বরফ শেক দিলেই তাপ নিয়ন্ত্রনে আসবে। প্রতিদিন ৪–৫ বার করে মাথা ধোয়াবেন।
২!ইনঃ প্রেডনিভেট—
৩ মিলি করে মাংশে ৩দিন পর পর ইনঃ।
৩।এস আর ভিটা– এ ডি ই ( লিকুইড) ১০০ মিলি।
চা চামচের ১ চামচ করে দিনে ১ থেকে ২ বার।
৪। গাভীর। এস আর ভিটা — এ ডি ই বি -১ কেজি।
১০০ গ্রাম করে দিনে ১থেকে ২ বার।