ছাগলের পেটে বিভিন্ন কারনে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
* এক বারে অতিরিক্ত দানাদার খাদ্য খাবার কারনে।
*পচাবাসি খাদ্য খাবার কারনে।
* ইউরিয়া যুক্ত ঘাস খাবার কারনে।
* কীটনাশক যুক্ত ঘাস খাবার কারনে।
* নেপিয়ার, পাকচং ঘাস ক্ষেত থেকে কেটে এনে সরাসরি খাওয়ানোর কারনে।
* অনান্য বিভিন্ন কারনেও গ্যাস হতে পারে।
সময় মত ব্যবস্থা বা চিকিৎসা না দিতে পারলে ছাগলের মৃত্যু অবধারিত। গ্যসের জন্য একাধিক চিকিৎসা রয়েছে।
কি ভাবে বুঝবেন ছাগলের পেটে গ্যাস হয়েছে? ছাগলের পেছনে দাড়িয়ে আমাদের হাতে বাম পাশে ছাগলের সিরদাড়ার নিচে একটি জায়গা আছে যেখানে কোন প্রকার হাড় নেই, জায়গাটি তিন কোনাকৃত বা ত্রীভুজ আকৃতির।
আরো সহজ করে বলতে গেলে, ছাগলের পেট খালি থাকা অবস্থায় যে জায়গাটা ভেতরের দিকে ঢুকে যায় এবং ঘাস খাবার পরে যে যায়গাটি উটু হয়ে যায়।
ছাগলের পেটে গ্যাস হবার কারনে ত্রীভুজ জায়গা টা ধীরে ধীরে ফুলতে থাকবে।
ছাগল খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিবে, চুপচাপ বসে বা দাড়িয়ে থাকবে, স্বাভাবিক হাটাচলা করতে চাইবে না।
অকারনে ওঠাবসা করতে থাকবে। অনান্য ছাগল থেকে আলাদা ভাবে থাকতে চাইবে।
গ্যাস হলে করনীয় সমুহঃ-
* সকল প্রকার খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
* বিভিন্ন প্রকার গ্যাস নাশক ঔষধ খাওয়াতে হবে, যেমন- জাইমোভেট পাউডার, নবব্লট সিরাপ ইত্যাদি।
অখবা সুলবে চিকিৎসা করতে হলে ১০ গ্রাম খাবার সোডা(কাপড় কাচা সোডা নয়) ১০০ মিলি পানির সাথে গুলিয়ে ছাগলকে খাইয়ে দিতে হবে।
যদি হাতে ধারে কোন ঔষধ পাওয়া না যায় তবে কিছুটা পরিমান আদা ছেঁচে, কিছুটা লবন ও পানি এক সাথে মিলিয়ে ছাগল কে খাইয়ে দিতে হবে এবং পর্যবেক্ষনে রাখতে হবে,
যদি ফোলা কমতে থাকে তবে চিন্তার কিছু নেই ধীরেধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাবে। নিচ থেকেই খাওয়া দাওয়া সুরু করবে।
যদি বোঝা যায় ক্রমেই গ্যাস বেশী হচ্ছে বা ত্রীভুজ আকৃতির জায়গা আগের তুলনায় ফুলে যাচ্ছে, ছাগল অস্থির হয়ে উঠছে, তবে চিকিৎসার উপর ভরসা করে বসে থাকা যাবে না।
ছাগলের পিছনে দাড়িয়ে আমাদের হাতের ডান পাশ মাটির সাথে মিছিয়ে শোয়াতে হবে অথাৎ আমাদের হাতের বাম পাশটা যেন ওপরের দিকে থাকে। নিচের ছবিটার মত করে শোয়াতে হবে, তবে নিচের ছবিটা বাম পাশ মাটির সাথে আছে,
আমাদের ডান পাশ মাটির সাথে রাখতে হবে। বামপাশ ওপরের দিকে করে শুইয়ে দিয়ে ত্রীভুজ আকৃতির ফোলা জায়গাতে ইনজেকশনেন সিরিঞ্জ(শুধুমাত্র সুইয়ের অংশটা) খাড়া ভাবে ঢুকিয়ে দিতে হবে।
গ্যসের ধর্ম ওপরের দিকে ধাবিত হওয়া, তাই সিরিঞ্জ ফোটানোর সাথে সাথে সিরিঞ্জের ভিতর দিয়ে গ্যাস বেরিয়ে আসবে, যেটা আপনি অনুভব করতে পারবেন। এভাবে কিছু সময় রাখলে পেটের ফোলা ভাবটা কমে যাবে এবং সিরিঞ্জ বের করে ফেলতে হবে।
ছাগল স্বাভাবিক হলে ব্যাথানাশক ঔষধ খাইয়ে দিতে হবে।
সিরিঞ্জ অবশ্যই জীবাণুমুক্ত থাকতে হবে বা করে নিতে হবে। অল্প পরিমানে গ্যাস হলে চিকিৎসা দিতে হবে, শুধুমাত্র অন্তিম সময়ের পূর্বে (যখন চিকিৎসা দেবার পরেও গ্যাস কমার তুলনায় দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে) সিরিঞ্জ ফুটিয়ে গ্যাস বের করে দেবার ব্যবস্থা করতে হবে।
BD Farm