মুরগির চিকিৎসা বা টেস্ট কোথায় করবেন,কেন করবেন,লাভ কি,না করলে কি হয়।
ল্যাবঃআমেনা পোল্ট্রি কেয়ার(বাড়ির পাশেই সেবা,নরসিংদী,বি বাড়ীয়া,ঢাকা,কিশোরগঞ্জ,গাজীপুর থেকে সহজেই আসা যায়।এমন কি অন্য বিভাগ থেকেই স্যাম্পল পাঠাতে পারেন.২০০০ মুরগির ক্ষেত্রে মানে ২০লাখ টাকার জন্য আপনাকে ৪০০০ টাকা খরচ করার ইচ্ছা থাকা উচিত আর যাদের ৫০০০-২০০০০ লেয়ার আছে তাদের নিজের স্বার্থেই সঠিক ডায়াগ্নসিস করে চিকিৎসা করা উচিত।
ঠিকানাঃ বটেশ্বর,বেলাবো,নরসিংদী।
এই ল্যাবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা যে কোন সময় মুরগি নিয়ে আসতে পারেন।পোস্ট মর্টেম করে চিকিৎসা নিতে পারেন.১০০% রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা পাবেন ইনশাল্লাহ।
আমরা ফিল্ডে যতগুলো রোগ দেখি অনেক গুলোই রানিক্ষেতের টাইটার না জেনে টিকা দেবার কারণে হয় কারণ আমাদের অজান্তেই টাইটার ৫ এর নিচে চলে আসে বা টাইটার বিভিন্ন ধরনের হয় ১-১০ হয়(কারো ১,কারো ৩ কারু ৫ কারো ১০) মানে মুরগির ইউনিফর্মিটি খারাপ থাকতে পারে।এই অবস্থায় টিকা দিলে মর্টালিটি ৫০-১০০% হতে পারে।টাইটার টেস্ট না করার কারণে সবাই এই অবস্থায় টিকা দিয়ে মাথায় হাত রেখে বসে পড়ে।
অনেক সময় প্রডাকশন লেয়ারে টাইটার ৭-১০ থাকা অবস্থায় টিকা দিয়ে দেই এতেও সমস্যা হয়।টিকা দিলে এন্টীবডি মানে প্রোটিনের খরচ হয় যা ডিম পাড়তে সাহায্য করে।
তাছাড়া মুরগিতে কৃমি,মাইকোপ্লাজমা,মাইকোট্কো টক্সিন আই বি বা এ আই থাকতে পারে তা না জেনে ভ্যাক্সিন দেয়া মানে বিপদ ডেকে আনা।ভ্যাক্সিন মানেই স্ট্রেস যা রোগ তৈরিতে ভূমিকা পালন করে।তাই সেই সুযোগ করে দিবেন না।
টিকার রিয়েকশনের কারণে ঠান্ডা লাগার মত হয় এতে ৭-১৫ দিন বিভিন্ন মেডিসিন চলতে থাকে,এতে আবার অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক দেয়ার কারণে ডিজব্যাক্টেরিওসিস হয়।ইমোনিটি কমে যায় লিভার ও কিডনির উপর স্টড়েস পড়ে ,অন্যান্য রোগ চলে আসে।
কেন টেস্ট করাবেন?
১।ভ্যাক্সিন রিয়েকশন দূর করতে(৬০% ফার্মে মাইকোপ্লাজমা ও এন ডি টাইটার থাকা অবস্থায় ভ্যাক্সিন দেয়া হচ্ছে)
২।ভ্যাক্সিন শিডিউল মেনে চলতে(টাইটার দেখে ভ্যাক্সিন দেয়া উচিত)
৩।ধকল দূর করতে(ভ্যাক্সিনের ফলে মুরগির উপর ধকল পড়ে)
৪।অনাকাংখিত রোগ থেকে মুক্ত রাখতে(প্রায় সময়ই দেখা যায় ভ্যাক্সিন দেয়ার পর বিভিন্ন রোগ চলে আসে।)
৫।ফার্ম নিরাপদ রাখতে
৬।আমরা প্রায়ই ১-২ মাস পর পর সালমোনেলা,মাইকোপ্লাজমার ডোজ করে থাকি ও রানিক্ষেতের ভ্যাক্সিন দিয়ে থাকি;
এটা ভুল।নিয়ম হলো সুযোগ থাকলে টেস্ট করে নেয়া।
টাইটার ৭ এর উপর ও মাইকোপ্লাজমা থাকা অবস্থায় টিকা দিলে ভ্যাক্সিন রিয়েকশন হয় এবং প্রডাকশন কমে যেতে পারে।।
৭।ফার্মের খরচ কমাতে।
ধরি ২০০০(একই সেড) লেয়ার এর সালমোনেলা ও মাইকোপ্লাজমা ও টিকার খরচ প্রায় ৯০০০টাকা অথচ যদি ১০০০টাকা খরচ করে যদি টেস্ট করি তাহলে ৯০০০টাকা নাও লাগতে পারে।
৮।মানুষের যেমন মন বুঝে কথা বা কাজ করতে হয় তেমনি মুরগির ক্ষেত্রেও মন ও রক্ত বুঝে ভ্যাক্সিন দিতে হয়।
নোটঃএমন ও দেখা গেছে টেস্টের কারণে ৩-৫ মাস কোন সালমোনেলা,মাইকোপ্লাজমা ও রানীক্ষেতের টিকার দরকার হয় নি শুধু টেস্ট করা হয়েছে।
নোটঃই ডি এস টিকার দেয়ার পর ৩০ সপ্তাহের আগে রানিক্ষেতের কোন টিকা দেয়া ঠিক না।অনেক সময় দেখা যায় ২৫-৩০ সপ্তাহের বড় ধরণের সমস্যা হয় যার অন্যতম কারণ এই সময়ে ভ্যাক্সিন দেয়া।
কোন ফার্মে রানিক্ষেত হয়ে গেলে ৪ মাস রানিক্ষেতের ভ্যাক্সিন্দ্যার দরকার নাই।
আমেনা পোল্ট্রি কেয়ারে কি কি টেস্ট ও সেবা দেয়া হয়ঃ
রানিক্ষেতের টাইটার
সাল্মোনেলা
মাইকোপ্লাজমা
এ আই টেস্ট(রেপিট)
পোস্ট মর্টেম