বাসস্থানঃ
আলো বাতাসযুক্ত এবং বায়ুচলাচল করে এমন জায়গা ভাল।
খাচা এবং লিটার দুইভাবেই পালা যায়।
৪ সপ্তাহে মেল ফিমেল আলাদা করে দিতে হয়।
খাচাঃ
খাচায় রোগ বালাই কম হয়,১০০০ কোয়েলের জন্য ২৩০০০-২৬০০০ টাকার খাচা লাগবে।
লিটারে পালন করলে নেট দিয়ে আটকিয়ে রাখতে হবে কারন কোয়েল উড়ে চলে যেতে পারে।
খাচায় রুগবালাই কম এবং পালন সহজ।
মেঝেতে ১টি বাচ্চার জন্য ১০০ বর্গ সেমি এবং বড় কোয়েলের জন্য ২৫০ বর্গ সে মি জায়গা লাগে।
খাচায় ১টি বাচ্চার জন্য ৭৫ বর্গসেমি এবং বড় কোয়েলের জন্য ১৫০ বর্গ সে মি।
খাচায় ৫০ টি বড় কোয়েলের জন্য দৈঘ্য ১২০ সেমি,উচ্চতা ৩০ সেমি,প্রস্থ ৬০ সেমি,খাচায় মেঝের জালি হবে ১৬-১৮গেজ,নেটের ফাক ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত ৩মিমি বাই ৩মিমি এবং বড় কোয়েলের জন্য ৫ মিমি বাই ৫ মিমি।
খাচায় একপাশে পানি এবং একপাশে খাবার দেয়া হয়।
২সপ্তাহ বয়সে খাচার মাপ ৩*২.৫*১.৫ফুটঃ১৩.১২৫ফুট জায়গায় ১০০কোয়েল রাখা যায়।
৩ সপ্তাহে খাচার মাপ ৪*২.৫*১.৫ফুটঃ১৫ফুট জায়গায় ৫০টি কোয়েল রাখা যায়।
খাচা ৬ফুট লম্বা আর প্রস্থ ১ফুট।খাচা ৬ তলা পর্যন্ত করা যায়।
খাচার নিচে ১টা পাত্র থাকে যা দিয়ে লিটার সরিয়ে ফেলা যায়।
১ইউনিটে ১০-১২টি কোয়েল রাখা হয় সাথে ২-৩টি মেল দেয়া যায়।
খাচার দৈর্ঘ্য ৬ফুট
প্রস্থ ২.৫ফুট(ভিতরের দিকে ২ফুট আর বাহিরের দিকে ডিমের ট্রে ০.৫ফুট)
খাচার তাকের সংখ্যা ৫টি
তাকের উচ্চতা ১০-১২ইঞ্চি
প্রতি তাকে কোয়েল থাকে ১০০টা১টা খাচায় মোট কোয়েল রাখা যায় ৫০০টি
৫০০ কোয়েলের জন্য খাচার খরচ ১৫-১৮হাজার টাকা
খাচার সুবিধা
ডিম সংগ্রহ হহজ
ডিম কম ভাংগে
সহজে খাবার ও পানি দেয়া যায়
মল খাচার নিচে ট্রেতে পড়ে ফলে পরিস্কার করা সহজ।
ফ্লোরের চেয়ে ৫গূণ বেশি কোয়েল পালা যায়।
নেটের ফাক দিয়ে ইদুর ঢুকতে পারেনা।
কোয়েল দেখতে সুন্দর থাকে এবং পালক বেশি পড়েনা।
গ্যাস কম হয়।
অসুবিধা।
খরচ বেশি
লিটার প্রতিদিন পরিস্কার না করলে প্রচুর গন্ধ হয়।
লিটারঃ
মেঝেতে হলে ১ম দিকে ১ইঞ্চি ৪-৫ সপ্তাহের দিকে ২-৩ ইঞ্চি করে লিটার দিতে হয়।লিটার যাতে ভিজে না যায় সেজন্য পানির পাত্র শুকনা হার্ডবোডের উপর দেয়া ভাল।ভিজে গেলে বদলাতে হবে।বাচ্চা আসার ৩দিন আগে লিটারে জীবাণূনাশক ছিটানো দরকার।
লিটার হিসাবে তুষ,করাতের গুড়া,ধান বা গমের শুকনো খড়,বাদামের খোসার গুড়া।
আর্দ্রতা ২৫-৩০% এর বেশি হলে ৪-৫কেজি চুন/১০ ঘন মিটারে মিশাতে হবে।
১ বর্গফুট জায়গায় ৬টি কোয়েল পালা যায়।
লিটারের অসুবিধা
এমোনিয়া গ্যাস হয়
ডিম ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে
ঘরে ইদুর এসে ডিম খেয়ে ফেলে
জীবানূ বেশি হয়
খাবার ও পানির পাত্র পরিস্কার করে সাজানো কস্টকর এবং সময় সাপেক্ষ।
পালক পড়ে যায়।
কৃমি হয়
২ সপ্তাহের পর খাচায় পালা ভাল এতে ওজন ভাল আসে।
খাবারঃ
বড় কোয়েল ২০-২৫গ্রাম খাবার খায়।
খাবার হিসেবে ডিম আসার আগে ব্রয়লার খাবার এবং ডিম পাড়া শুরু হলে লেয়ার খাবার খাওয়ানো হয় তবে লেয়ার খাবার দিলে ভেংগে গুড়া করে দিতে হবে, ব্রয়লার প্রিস্টাটার বা স্টাটার খাবার দিলে সাথে পাথর মিশিয়ে দেয় দিতে হবে(১০০কেজিতে ৭-৮কেজি),কোয়েলের জন্য আলাদা খাবার তেমন পাওয়া যায়না।
৫সপ্তাহে প্রতি কোয়েল ৫০০গ্রাম খাবার খায়।
বাচ্চার খাদ্যে ২৭% আমিষ এবং বড় কোয়েলের জন্য ২২-২৪% আমিষ লাগে।
ব্রয়লারের খাবার দিতে হবে।
স্টাটার খাবার ১-২৫দিন
গ্রোয়ার ২৬ দিন -ডিম পাড়ার ১ সপ্তাহ পর্যন্ত
লেয়ার খাবার ডিম পাড়ার ১ সপ্তাহ পর থেকে বিক্রি পর্যন্ত।
তবে লেয়ার খাবারে সাথে ব্রয়লার স্টাটার খাবার মিক্স করে দিতে হয়.২ভাগ লেয়ার ১ভাগ স্টাটার
খাবার পাত্র
১ সপ্তাহ পেপারে খাবার দিতে হবে।
২য় সপ্তাহে ১৫০টির জন্য ১টি পাত্র
৩য় সপ্তা ১২০টির জন্য ১টি
৪র্থ সপ্তাহে ১১০টির জন্য ১টি
৫ম সপ্তাহ – ১০০ অধিক বয়সে ১১০টির জন্য ১টি
পানির পাত্র
১ম সপ্তা ১৫০টির জন্ত বোতলযুক্ত ১টি ছোট পাত্র
২য় সপ্তা ১৩০টির জন্য মাঝারী ১টি
৩য় সপ্তা ১২০টির জ্য ১টি মাঝারী
৪র্থ সপ্তা ১১০টির জন্য বড় পাত্র
৫ম সপ্তা ১০০টির জন্য ১টি
নিজে ফিড বানাতে গেলে নিচের ফর্মুলা অনুযায়ী বানানো যায়।
স্টাটার
গম ভাংগা ৫০কেজি
চালের মিহি গুড়া ৬কেজি
তিলের খৈল ২৩কেজি
শুটকি মাছের গুড়া ১৮কেজি
ঝিনুকের গুড়া/ডিসিপি ২.৪কেজি
লবণ ৩০০গ্রাম
ভিটামিন মিনারেলস ৩০০গ্রাম
গ্রোয়ার
গম ভাংগা ৫০কেজি
চালের মিহি গুড়া ৮কেজি
তিলের খৈল ২৩কেজি
শুটকি মাছের গুড়া ১৫কেজি
ঝিনুকেরগুড়া/ডিসিপি ৩.৪কেজি
লবণ ৩০০গ্রাম
ভিটামিন মিনারেলস ৩০০গ্রাম
লেয়ার ফিড
গম ভাংগা ৫০কেজি
চালের মিহি গুড়া ৯কেজি
তিলের খৈল ২৩কেজি
শুটকি মাছের গুড়া ১২কেজি
ঝিনুকেরগুড়া/ডিসিপি ৫.৩ কেজি
লবণ ৪০০গ্রাম
ভিটামিন মিনারেলস ৩০০গ্রাম
বয়স অনুযায়ী খাবার,প্রোটিন,এনার্জি
বয়স খাদ্য আমিষ এ্নার্জি
০-৩ সপ্তাহ স্টাটার ২৭% ২৮০০কিলোক্যালরি
৪-৫ সপ্তা গ্রোয়ার ২৩% ২৭০০
৬-বিক্রি লেয়ার বা ব্রয়লার ২২-২৪ ২৫০০-২৭০০
পুরুষ ও মহিলা কোয়েল চেনার উপায়ঃ
বুকের পালক দেখে
ডাক শুনে
পায়ুপথ দেখে
পালক দেখে
পুরুষঃ বুকের পালক গাড় বাদামী
মহিলাঃ বাদামী কালারের মাঝে কালো ফুটা।ফুলের মত মনে হয়।
২৫দিনের আগে পালক দেখে পুরুষ বা মহিলা আলাদা করা যায় না। কারণ এর আগে কালারে পরিবর্তন আসেনা।
ডাক শুনে
পুরুষঃ গলা টানা দিয়ে মাথা উচু করে ডাকে
তবে ৩৫দিনের আগে ডাকাডাকি করেনা তাই এর আগে বুঝা যাবেনা।
মহিলা ঃ ডাকাডাকি করেনা।
পায়ুপথ
পুরুষ ঃ ৪০-৪৫দিনে পায়ু পথে টিউমারের মত দেখা যায়।
মহিলার ক্ষেত্রে এমন হবেনা।
নরমালী ১দিনের বাচ্চা ৬-৮টাকা হয় তবে শীতের দিকে এই রেট থাকে। গরমের সময় দাম কম থাকে।
১৫দিনে ১৫-১৭টাকা।
পরে যতদিন তত টাকা যেমন ২৫দিনে ২৫টাকা
৩০দিনে ৩০টাকা
৪০দিনে ৪০টালা
হ্যাচারীতে বাচ্চা ফোটাতে হলে
তাপমাত্রা ৩৭.৫ রাখতে হবে এবং 0.৫গুণ ডিগ্রির বেশি আপ ডাউন করা যাবেনা।
আর্দ্রতা ৬৫-৭৫%
ভেন্টিলেশনে ভাল হতে হবে।
১ঘন্টা পর পর ডিম ঘুরিয়ে দিতে হবে।
ডিম ফুটার পর ২৪-৩৬ ঘন্টার মধ্যে বাচ্চা বের করতে হবে।
ব্রুডার
চিক গার্ড হবে ৬ফুট
উচ্চতা দেড় ফুট ।২টি চিক গার্ড মোড়ালে ৪ফুট ব্যাসার্ধ হবে যাতে ১হাজার কোয়েলের বাচ্চা রাখা যাবে।
৩-৫ সপ্তা ব্রুডিং করা লাগে।
মশা তাড়ানোর জন্যঃ
কপূরঃ
৫০গ্রাম কর্পুর ছোট বাতিতে রেখে পানি দি্যে পূর্ণ করতে হবে এবং সেডে রেখে দিতে হবে।
রসুন
৫ভাগ পানি ১ভাগ রসুনের রস মিশিয়ে ফার্মে রেখে দিতে হবে বা স্প্রে করতে হবে।
লেবু ও লবংগ
লেবু কেটে লেবুর ভিতর লবংগ ঢুকিয়ে দিতে হবে তবে লবংগের মাথা যেন বাহিরে থাকে।পরে ১টা বাটিতে করে ফারমের কোণায় রেখে দিলেই হবে
কোয়েলের জাতঃ
আমাদের দেশে নির্দিস্ট কোন জাত নেই।
বিভিন্ন দেশে লেয়ার জাতের মধ্যে আছে
জাপানিজ লেয়ার জাত
ইংলিশ হোয়াই
ব্রিশ রেঞ্জ
ফারাও
ব্রয়লার জাত
জায়ান্ট জর্জিয়া বব হোয়াইট( ৪০০-৫০০গ্রাম)
ইন্ডিয়ান হোয়াইট ব্রেস্টেড
আমেরিকার বব হোয়াইট