Breaking News
ডিম ফোটার আগে বাচ্চার মৃত্যুর
ডিম ফোটার আগে বাচ্চার মৃত্যুর

ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবার আগেই বাচ্চার মৃত্যু

ইনকিউবেটরে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হবার আগেই বাচ্চার মৃত্যু হয়ঃ

অনেক সময় বাচ্চা ডিম একটু ফুটো করেই মারা যায়। কি এমন সমস্যা যার কারনে শেষ মুহুর্তে এসে ভ্রুনের মৃত্যু ঘটে।
এখন বিষয়টা যেহেতু ছোট্ট একটা ভ্রুনের মৃত্যু নিয়ে।
ডিমের ভিতর বাচ্চার মৃত্যুর অনেক কারনই থাকে,সব গুলো উল্লেখ করা সম্ভব নয়,

তবে যেই কারন গুলির জন্য ডিমের ভিতর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাচ্চা মারা যায় সেই কারন খুজে বের করবো এবং তার সমাধাণ করবো।
প্রথমত যে ডিমে বাচ্চা মারা গিয়েছে আপনি সেই ডিম টি ভেঙ্গে দেখুন, লক্ষ করুন বাচ্চাটি অল্প কিছুদিন হলো মারা গিয়েছে,

যেহেতু ডিমের বাচ্চা বড় হয়ে মারা গিয়েছে, তাই সহজেই বোঝা যায় ডিমের ভিতর বাচ্চা বড় হবার সাথে সাথে এমন কিছুর অভাব ঘটেছে যার কারনে বাচ্চা ফুটার আগেই মৃত্যু হয়ছে।
ভ্রুণ যখন বড় হতে থাকে তখন সেই ভ্রুপের বৃদ্ধির সাথে সাথে সব কিছুই নিখুঁত পরিমানে প্রয়োজন হয়।

মনে রাখা উচিৎ ভ্রুনকে শুধুমাত্র  স্বাভাবিক নিয়মে বৃদ্ধি করলেই সেই ভ্রুন বড় হয়ে নিরাপদে ডিম থেকে বের হতে পারবে,

যদি কোনো কিছু  স্বাভাবিক  চেয়ে ব্যতিক্রম হয় তবেই সমস্যা যটিল আকার ধারন করতে থাকে.

যেমন  আর্দ্রতা ঃ

আর্দ্রতা যদি বেশি হয় তবে ডিমের ভিতর তরল পূর্ণই থাকে এবং ডিমের খোষা শক্ত হয়ে যায়, ভ্রুনের অক্সিজেন গ্রহনে বিঘ্নঘটে, এবং সময় মত ডিমটি পরিমান মত খালি না হওয়াতে ভ্রুন ডিমের ভিতরেই মারা যায়।

আর্দ্রতা  যদি কম হয়, তবে ডিমের ভিতর তরল দুর্তো শুকিয়ে যায় যার ফলে ভ্রুনের বৃদ্ধিতে ব্যঘাত ঘটে, যার কারনে ভ্রুনের মৃত্যুহয়। আদ্রতা কম থাকলে ডিমের খোষাও ঙ্গুর হয়েযায়, এতেও ডিমের সাথে যুক্ত থাকা ভ্রুনের রক্তের শিরা গুলি বিচ্ছিন্ন হতে পারে, এতেও অক্সিজেন গ্রহনে বিঘ্ন ঘটে।

তাপমাত্রা,

ভ্রুনের বয়ষ বৃদ্ধির সাথে সাথে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখা জরুরী। তাপমাত্রা যদি বেশি হয় তবে সমস্যা হবে।
কারন ভ্রুন যখন বড় হয় তখন ভ্রুনে কিছু তাপ নিজে থেকেই তৈরি হয়।

ডিমের ভিতর বাচ্চার তাপের সাথে ইনকিউবেটরের তাপের সমঞ্জস্যতা বজায় রাখতে হয়।
যদি ইনকিউবেটরের তাপ বেশি হয় তবে সেই তাপ পরিবাহীত হয়ে ভ্রুনের থেকে যে তাপ তৈরি হয় সেই তাপে বিঘ্ন ঘটিয়ে ভ্রুন স্বাভাবিক তাপকে ভেদ করে ভ্রুনকে ইনিউবেটরের ভিতরের তাপের মত উত্তাপ্ত করে তোলে।
এই তাপে ভ্রুনের  সমস্যা হয় এবং ভ্রুনের মৃত্যু ঘটে।

সেই জন্য ইনকিউবেটরে ডিম ফোটার আগে শেষের সপ্তহে তাপ একটু কমিয়ে ভ্রুনের সহনশীল তাপ দেয়া হয়।
তাপ যদি খুব কম হয়, সেক্ষেত্রে ডিমের তাপ কমে গিয়ে ভ্রুনের তাপও যদি শোষিত হতে থাকে,তবে ভ্রুনের মৃত্যু হতেপারে।
শেষের সপ্তহে ডিম ঘুরনো বন্ধ করে ডিমকে স্থীরভাবে রাখতে হয়, যাতে বাচ্চা সঠিক ভাবে কোনো সমস্যা ছাড়া সময় মত বের হতে পারে।
তাহলে বোঝা গেলো,

ইনকিউবেটরে সঠিক  আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে।
সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে হবেএবং প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব নিখুঁত ভাবে যত্ন নিতে হবে।

ডিম ফুটার আগে গভীরভাবে এই বিষয় গুলিতে লক্ষ রাখা হয়, এবং এই আবহাওয়া একদম নিরবিচ্ছিন্ন রাখা হয় বলেই খুব প্রয়োজন ছাড়া শেষের সপ্তাহে ইনকিউবেটরের দরজা খোলা নিষেধ।
একটা কথা মনে রাখতে হবে, মাত্র ২ মিনিটের ভুলেই সকল ডিম নষ্ট হয়ে যেতেপারে।

লেখক;আব্দুল ওহাব

Please follow and like us:

About admin

Check Also

হ্যাচারী

হ্যাচারীতে হ্যাচিং বাচ্চা্য় কি কি ত্রুটি হয়,কারণ এবং সমাধান

হ্যাচারীতে হ্যাচিং বাচ্চা্য় কি কি ত্রুটি হয়,কারণ এবং সমাধান ১।ভ্রূণ  মারা যাওয়া কারণ প্যারেন্টে সুষম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »