হাইব্রিড ভুট্টার চাষাবাদ পদ্ধতি
গবাদি পশুর খাদ্যের জন্য সবচেয়ে ভাল সবুজ ঘাস হলো, ভুট্টার ঘাস।
জাত গুলো হলো :
থাই ৯৮৪ গোল্ড, ৯৯৯ সিলভার, ৭৭৭ ক্লাসিক, মধু ১,২ ও ৩,
এই জাত গুলো
বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়া চাষ উপযোগী। রোগবালাই প্রতিরোধি। সব মৌসুমেই চাষ করা যায়। উচ্চ ফলনশীল।
সাধারণত পানি জমে থাকেনা এমন দো আশ বা পলি দো আশ মাটিতে ভুট্টা ভাল জন্মে। লোনা বা খার আছে এমন মাটি চাষ করা যাবেনা। মাটি ভালোভাবে হাল চাষ দিয়ে মাটি ঝুরঝুরা করে সমান করে নিতে হবে।
কখন চাষ করা যায়:
পানি জমে না থাকলে ১২ মাসেই আবাদ করা যায়।
তবে, মধ্য মার্চ থেকে এপ্রিল শেষ সপ্তাহ, আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর, মধ্য অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর এভাবে করতে পারেন।
বীজের পরিমাণ: বিঘা প্রতি ২ কেজি।
বপন পদ্ধতি: সারি থেকে সারির দূরত্ব ১৮ ইঞ্চি, বিজ থেকে বিজের দূরত্ব ১০ ইঞ্চি।
সারের পরিমাণ:
একর প্রতি ২৩০ কেজি ইউরিয়া, ১২০ কেজি টি এস পি, ৯০ কেজি এম্পি, ৮৫ কেজি জিপসাম, ৬ জিংক সালফেট, ৫ কেজি বোরন, ২০০০-১৮০০ কেজি গোবর। ১/৩ ভাগ ইউরিয়া ও অন্যান্য সার জমিতে ছিটিয়ে চাষ দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। ৩০/৩৫ দিন পর বকি ইউরিয়ার অর্ধেক আর বাকি টুক ৬০-৬৫ দিন পর ছিটিয়ে দিতে হবে।
ভালো ফলনের জন্য ৩ বার সেচ দিতে হবে। প্রথমবার ৩০/৩৫ দিন পর সার ছিটানোর পর। ২য় বার ৫০-৬০ দিন পর সার ছিটানর পর। যদি ফলন বের করতে চান তাহলে ৮০-৮৫ দিন পর ৩য় সেচ দিতে হবে আর সাইলেজ করলে দরকার হবেনা।
ভুট্টার ঘাস গুলো ৫০-৬০ দিনের মধ্যে গবাদি পশুর খাওয়ার উপযোগী হয়ে যায় এবং ঘাস কাটা যায়।
এ ঘাস সাধারণত ১০-১২ ফুট লম্বা হয়। এক একটি ভুট্টার গাছ ২-৩ কেজি হয়।
ভাল ভাবে চাস করতে পারলে প্রতি বিঘায় ৮/১২ টন ঘাস পাবেন।