Breaking News
ছাগলের মিনারেলের অভাব জনিত রোগ
ছাগলের মিনারেলের অভাব জনিত রোগ

ছাগলের মিনারেল এর অভাব জনিত কিছু রোগ :

ছাগলের মিনারেল এর অভাব জনিত কিছু রোগ :

১. সেলেনিয়াম :
পৃথিবীতে অনেক স্থানে সেলেনিয়াম এর পরিমান কম এজাতীয় মাটি আছে যেখানে ঘাস চাষ করলে সেই ঘাসে ও ভিটামিন ই এর অভাব থাকে।

যার ফলে ওই স্থানের গবাদি পশুর ভিটামিন ই অভাব জনিত রোগ দেখা যায়।

ভিটামিন ই অভাব জনিত রোগ হলো white muscle disease (nutritional muscular dystrophy), বাচ্চা জন্মানোর পর পিছনের পায় দাঁড়াতে না পারা বা দুর্বল হওয়া, বাচ্চা জন্মানোর পর দুর্বল মাংস পেশীর কারণে নিউমোনিয়া হওয়া জোরে জোরে শ্বাসপ্রস্বাস করা ইত্যাদি।

ক্ষেত্রে বাচ্চা হওয়ার পরপর সেলেনিয়াম ভিটামিন E ইনজেকশন দিতে হবে।

২. জিঙ্ক :
জিঙ্ক এর অভাব জনিত রোগ এবং লক্ষণ মুখ থেকে লালা পড়া, খুড়ার আকৃতি অস্বাভাবিক হওয়া, পায়ের গিট এ ব্যাথা হওয়া, চামড়া বিভিন্ন ধরণের রোগ, পাঠার অন্ডকোষ ছোট আকৃতির হওয়া, ক্রস করতে আগ্রহী না হওয়া ইত্যাদি।

৩. কপার :
কপার ছাগলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ মিনারেল।

কপার অভাব জনিত রোগ পশম এর রং ফ্যাকাশে হওয়া, বাচ্চা পরে যাওয়া, মরা বাচ্চা হওয়া, রক্ত শূন্যতা, হাড় ভেঙ্গে যাওয়া, ক্ষুদা মন্দা, ওজন কমে যাওয়া, দুধ উৎপাদন কমে যাওয়া।

কপার ভেড়ার জন্য খুবই ক্ষতিকর কিন্তু ছাগলের জন্য অত্তন্ত গুরুত্বপূর্ণ, পর্যাপ্ত নাহলে উপরোক্ত রোগ গুলি হতে পারে।

তাই উন্নত দেশে ছাগলকে বছরে একবার কপার বোলাস দেয়া হয় যা কিনা পেটে গিয়ে ছড়িয়ে পরে এবং কপার গুঁড়া গুলো আস্তে আস্তে গলতে থাকে। এধরণের একটি বোলাস এক বছর পর্যন্ত কাজ করে।

৪. আয়রন :
আয়রন খুব একটা দরকার হয়না কিন্তু যদি ক্রেমি আক্রম করে তবে আয়রন খুবই জরুরি মিনারেল।

যা কিনা রক্ত শূন্যতা থেকে রক্ষা করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আয়রন ইনজেকশন ও দিতে হতে পারে।

৫. আয়োডিন :
এর অভাবে গলগন্ড রোগ হতে পারে। প্রতিদিন খাবারে ১% আয়োডিন যুক্ত লবন থাকা জরুরি।

৬. ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস :
ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস অনুপাত ২:১ হওয়া খুব জরুরি, এর কম বেশি হলে পাঠার প্রস্রাবের রাস্তা বাধা গ্রস্থ হবে (urinary calculi)।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে ছাগল মারা পর্যন্ত যায়। তাছাড়া বাচ্চা জন্মের সময় বিভিন্ন সমেস্যা দেখাযায়, হাড়ের গঠন সুগঠিত হতেপারে না।

দানাদার খাবারে ফসফরাস এর পরিমান অনেক বেশি তাই দানাদার খাবার বেশি দিলে অবশ্যই ক্যালসিয়াম এর মাত্রা বাড়াতে হবে।

যারা ঘাস চাষ করতে মুরগির লিটার ব্যবহার করেন তাদের ও এই ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি কারণ মুরগির লিটার এ ফসফরাস বেশি থাকে যা ফসলের ফসফরাস এর পরিমান বাড়িয়ে দেয়।

৭. ম্যাঙ্গানিজ :
ম্যাঙ্গানিজ এর অভাব এ বাচ্চার গ্রোথ কমে যায়, কনসিভ % কমে যায়, বাচ্চা সময়ের আগে পরে যায় বা এবরশন হয়।

পায়ের গঠন ত্রুটিপূর্ণ হয় এবং হাটতে সমস্যা হয়। অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ম্যাঙ্গানিজকে শরীরে শোষণ করতে বাধা দেয়।

ভিটামিন A :
ভিটামিন A এর অভাবে নাক দিয়ে ঘন সর্দি বের হবে, শ্বাস প্রশ্বাসে প্রব্লেম হবে, ডায়রিয়া, লোম অগুছালো, চোখে কম দেখা, বন্ধা বা গাভিন না হওয়া, খুব সহজে রোগাক্রন্ত হওয়া ইত্যাদি।

ভিটামিন B :
যেকোনো গরু ছাগল ভেড়া অসুস্ত হওয়ার পর দুর্বলতা কাটাতে Vitamin B1 (thiamine) খুব জরুরি।

খাওয়া কমে গেলে, ঘাড় বাঁকা, পায়ে সমস্যা পোলিও , চোখের মনি ঘুরতে থাকা, অরুচি, লিভার ইত্যাদি সমস্যা জন্য Vitamin B1 (thiamine) খুব উপকারী।

ভিটামিন D :
জয়েন্ট এ ব্যাথা, বাঁকা পা bowed legs (rickets) জন্য সেই সাথে যখন ক্যালসিয়াম দেয়া হয় তখন D ব্যবহার করা উচিৎ।

ষ্টল ফিডিং ছাগলকে নিয়মিত ভিটামিন D দেয়া উচিৎ।

ভিটামিন E :
যারা নিয়মিত silage এবং খড় খাওয়ান তাদের নিয়মিত ভিটামিন E খাবারে দিতে হবে।

From Facebook

Please follow and like us:

About admin

Check Also

বাছুরের ডায়রিয়ার কারণ

Couses of diarrhea in neonatal rumenants ?Bacterial: ?Escherichia coli ?Salmonella spp. ?Campylobacter fecalis ?Campylobacter coli …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »