ব্রয়লারের সাডেন ডেথ সিনড্রম
এটি পৃথিবির বিভিন্ন দেশে দীর্ঘ দিন ধরে ব্রয়লার পালনে মারাত্মক সমস্যা এবং অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।আমাদের দেশে তা ব্যাপক হারে দেখা যায়।জাত নির্বাচন,পরিবেশ ও খাদ্যের পুস্টিমানের তারতম্যের ফলে সৃস্ট বিপাক ক্রিয়ার গোলযোগের কারণে ব্রয়লারে এ রোগটি দেখা যায়,যদিও সঠিক কারণ জানা যায়নি।Imbalance of metabolites or electrolytes resulting an irregularity of heart.
এ রোগটিকে একিউট ডেথ সিন্ড্রোম,হার্ট এ্যাটাক,ফিপ ওভার ডিজিজ বলা হয়।ব্রয়লার বেশি খায় এবং দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধি প্রাপ্ত ব্রয়লারে হয়.যে কোন বয়সে হয় তবে ২-৪ সপ্তাহে বিশেষ করে ২১-২৮ দিনে বেশি হয়.৩ দিনে,৯ দিনে এমন কি রোস্টারে ১০-১২ সপ্তাহেও হতে পারে।আক্রান্ত কম হয় তবে পুরুষ ব্রয়লারে বেশি হয়,৬০-৮০%.মৃত্যহার বেশি .৫-৪%,ওজন আসার পর মারা যাবার কারণে আর্থিক ক্ষতি বেশি হয়।
কারনঃ
ধারনা করা হয়,কার্বোহাইড্রেট মেটাবলিজম,কোষ প্রাচীরের ভেদ্যতা,কোষের ভিতর ইলেক্টোলাটের অসমতা ইত্যাদি কারনে সৃস্ট বিপাক ক্রিয়ার ত্রুটির কারণে এ রোগটি দেখা যায়।.দ্রুত ওজন বাড়ার জন্য বেশি খেতে হয় কিন্তু পুস্টিমানের সমতা থাকেনা।কার্বোহাইড্রেট বেশি দেয়া হয় যা এস ডি এস বাড়ায়.যদি ভুট্রা কম থাকে ও গম বেশি থাকে তাহলে এস ডি এস বেশি হয়।খাদ্যে মিট মিল ব্যবহার করলে রোগের প্রবণতা কম হয়.দ্রুত বৃদ্ধি প্রাপ্ত ব্রয়লারে ইকোসানয়েড সংশ্লেসনের অসমতার জন্য হতে পারে।এটাকে হার্ট এ্যাটাক বলা হয় কারণ ইলেক্টোলাটের( সোডিয়াম আয়ন,পটাসিয়াম আয়ন,ক্লোরাইড আয়ন) অসমতার জন্য হয়ে থাকে।
ধকলের সময় এড্রেনাল গ্রন্থি থেকে কেটিকোলামাইন নিসরণ হয় যার ফলে বেশি ক্যালসিয়াম আয়ন কার্ডিয়াক মাসলে জমা হয়।খাবারে ডি বেশি দিলে ও সেলেনিয়াম কম দিলে এবং বায়োটিনের ঘাটতি হলে হতে পারে।খাবারে মনেনসিন ব্যবহার করলে কোষ প্রাচীরের আয়নের ( সোডিয়াম ও পটাসিয়াম) চলা চলে ব্যাঘাত হয় যার ফলে এস ডি এস হয়।মুরগি ঘন বেশি হলে এবং আলোক ব্যবস্থাপনা ভাল না হলে হতে পারে।
লক্ষনঃ
মারা যাবার আগে লক্ষণ থাকেনা,ব্রয়লার দেখতে বেশ মোটা,খাবার ঠিক,ওজন ভাল কিন্তু হঠাত ঘাড় উচিয়ে,শরীর পিছনে উলটো করে পা উচিয়ে দাপাদাপি করবে,জোরে শ্বাস নিবে এবং খুব দ্রুত মারা যাবে।convultion is a sudden violent body movement that cannot controlled.it is caused by muscle contractions.
পোস্ট মর্টেমঃ
ব্রয়লারের ওজন ভাল ও পেঠ বড় থাকবে কারণ ফ্যাট জমা হয় ও ক্ষুদ্রান্ত্রে(ইন্টেস্টাইনে) খাবার থাকে।ক্রপ আংশিক বা ফুল খাবার থাকে কিন্তু গিজার্ড খালী থাকে।লিভার বড়,পেল ও নরম।মাংসে,লিভারে ও কিডনিতে হালকা রক্ত ক্ষরণ হবে।হার্টের ভেন্টিকল সংকুচিত হবে কিন্তু এ্যাট্রিয়াম বড় হবে কারণ এতে রক্ত থাকবে।ফুসফুসে অল্প রক্তক্ষরণ ও ফ্লুইড দ্বারা পূর্ণ থাকবেপিত্তথলি ছোট ও খালি থাকবে কারণ সে মারা যাবার আগ পযন্ত খাবার খায়।
এবডোমিনাল গহবরে রক্ত থাকবে।
করনীয়ঃ
কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার পরিমিত ভাবে দিতে হবে এবং প্রোটিন কম দিতে হবে।মুরগি পাতলা করে দিতে হবে।বেশি শব্দ বা ধকল থেকে মুক্ত রাখতে হবে।।১৫দিন বয়সের পর তীব্র আলো এবং ২২-২৩ ঘন্টার বেশি আলো দেয়া যাবেনা।
ইন্টামিটেন্ট লাইট দেয়া যায়।ভাল মানের স্যালাইন ( হাইড্রেট্ট ,ইলেক্টোপ্যাক,ওরালাইট) দিতে হবে।ভাল মানের ফিড ব্যবহার করা।গরমে দুপুরে খাবার অফ রাখা ১-২ ঘন্টা।৩ সপ্তাহের আগে ওজন যাতে খুব বেশি না হয়।থায়ামিন may influence incidence of sds.