ফ্যাটি লিভার সিনড্রম কেন হয়,কারণ,লক্ষণ,পোস্টমর্টেম,চিকিৎসা,প্রতিরোধ।
মুরগি মাঝে মাঝে মারা যায়,বিভিন্ন মেডিসিন খাওয়ানো হয়েছে কাজ হয় না।আমাদের একটা কমন বিষয় হলো মুরগি দেখে এন্টিবায়োটিক না দিলে খামারী খুশি হয় না,কিন্তু এই ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক দেয়া যাবে না।এটা ফ্যাটি লিভার হতে পারে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলো
হোস্টঃ
ডিম পাড়ার শুরুতে এবং বয়স্ক মুরগিতে বেশি হয়।যেসব লেয়ার বেশি ডিম পাড়ে এবং খাচায় পালা হয় তাদের বেশি হয়।এটি মেটাবলিক/নিউট্রিশনাল ডিজিজ।মর্টলিটি বিভিন্ন রকম হয় ২-১০%,লিভার রাপসার হয়ে ইন্টারনাল হেমোরেজ হয় ফলে লেয়ার মারা যায়।
পরিবেশঃ
এবডোমিনালে ফ্যাট বেশী হলে পাখি শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারেনা বিশেষ করে গরমকালে যখন অতিরিক্ত তাপ বের করার জন্য মুরগি নিঃশ্বাস গ্রহণ এবং বের করার সময়।ধকল এবং গরম আবহাওয়া।
কারণ;
অতিরিক্ত ক্যালরি মানে খাবার বেশি দিলে।ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে,লিভারের সমস্যার কারণে ক্যালসিয়ামের মেটাবলিজম হতে পারেনা,ফলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়।মেথিওনিন,বিটেইন,ফলিক এসিড,বি১২ ও ট্রিপ্টোফেন এর ঘাটতি হলে
ওভিসিটি হলে।এন্টিনিউট্রিশনাল ফ্যাক্টর থাকলে
ভাইরাল সমস্যা হলে।পিলেট খাবার দিলে বেশি খায় ফলে ফ্যাটি হয়।
ক্যালরি ও প্রোটিনের ইমব্যালেন্স হলে।লেয়ারের কিছু স্ট্রেইন( সাদা লেয়ারে বেশি হয়)
হাই প্রডাক্টিভ লেয়ার।ইস্টোজেন হরমোন বেশী হলে।বিশেষ করে যারা লোজ ফিড বানায় কিন্তু খাদ্য উপাদানের মান এবং ফর্মোলা ঠিক নাই সেসব ক্ষেত্রে ফ্যাটিলিভার বেশি হয়।
প্যাথোজেনেসিসঃ
আফ্লাটক্সিন,এটি লিপিড পরিপাকে বাধা দেয় ফলে ফ্যাট আকারে লিভারে জমা হয়।ক্লোলিনের ঘাটতি হলে যা লিভার থেকে ফ্যাটকে মবিলাইজ করে।
লক্ষণঃ
Large blood clot in abdomen,clots partly cover liver.দেখতে মুরগি ভাল মনে হয়।লেয়ারের ওজন বেশি হবে ২০-২৫%।হঠাত ডিম কমে যায় এবং পিক প্রডাকশনে আ্সে না।ঝুটি ও ওয়াটল পেল হয়ে যায় এবং মুরগি মারা যায়।ভয় পেয়ে মুরগি মারা যায়।
পোস্টমর্টেম
এবডোমিনাল ক্যাভিটিতে বড় অয়েলি আনস্যাসুরেটেড ফ্যাটি আসিড দেখা যায়।লিভার বড়,নরম,ভংগুর।হলুদ কালার লিভার,শুধু কালার হলে হবেনা কারন হলুদ ভুট্রা খেলে লিভার হলুদ হতে পারে তাই নরম ও বড়,ভংগুর কিনা টা দেখতে হবে।Increased fat in liver which is 70%.normal range 25-50%
চিকিৎসা
লিভার টনিক ।ক্লোলিন ক্লোরাইড।ভিটামিন ই + সেলেনিয়াম দিতে হবে।
সুষম খাবার দিতে হবে মানে ভাল মানের খাবার দিতে হবে।
টক্সিনমুক্ত খাবার দিতে হবে।কপার ও বায়োটিন দিতে হবে।খাবারে ১% তেল দিতে হবে।
প্রতিরোধঃ
এনার্জি মানে ক্যালরি( খাবার) কম দিতে হবে।আফ্লাটক্সিন মুক্ত খাবার দিতে হবে,এটি ফ্যাট পরিপাকে বাধা দেয় ফলে তা লিভারে জমা হয়।
বড় সাইজের ক্যালসিয়াম দিতে হবে যাতে বেশি ক্যালসিয়ামের জন্য বেশি খাবার না খায়।খাবারে ক্যালসিয়াম কম থাকলে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরন করার জন্য পাখি বেশি খাবার খায়।ক্লোলিন ক্লোরাইড দিতে হবে।
ডিম পাড়ার শুরুতে ফ্যাট বেশী দিতে হবে।বয়স্ক লেয়ারকে এ্নার্জি মানে খাবার কম দিতে হবে,বেশি দিলে ফ্যাট আকারে লিভারে জমা হবে।
ডিম পাড়ার শুরুতে এনার্জি বেশি দিতে হবে আনস্যাসুরেটেড ফ্যাট থেকে দিতে হবে,কার্বোহাইড্রেড থেকে নয়।লিপোট্রপিক এজেন্ট ( সেলেনিয়াম,ই,বি১২) দিতে হবে।
ডিম পাড়ার সময় থেকে ১৫ দিন পর পর এবং ৫০ সপ্তাহের পর ৩০ দিন পর পর ওজন নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।