গীষ্মকালীন ব্যবস্থাপনা,লক্ষণ,পোস্টমর্টেম।
গরমে কি হয়?
গরমে মুরগি খাবার কম খায় ফলে প্রডাকশন কমে যায়,ডিমের সাইজ ছোট হয় কারণ মুরগি প্রয়োজনীয় প্রোটিন,এনার্জি,ভিটামিন ও মিনারেলস পাচ্ছেনা। তাছাড়া মুরগি হাঁপায় ফলে শরীরের পি এইচ বেড়ে যায় ফলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয় কারণ পি এইচ বেড়ে যাওয়ায় ক্যালসিয়ামের শোষণ কমে যায় ,এতে ডিমের খোসা পাতলা হয়,সাদা হয়।
এমনকি ধকল পড়ার কারণ বিভিন্ন রোগ ব্যাধি হচ্ছে।
গরমে যে রোগ গুলি দেখা যায় তা নিন্মরুপ.
হিট স্টোক
মাইকোটক্সিকোসিস
কলিব্যাসিলোসিস
মাইকোপ্লামোসিস
কক্সিডিওসিস
সালমোনেলোসিস
কলেরা
গাম্বোরু।
bird first heat loss from blood vessel to near skin surface by nonevaporating.
but when temperature more, heat loss by panting & evaporating.
As a result decrease feed intake 1-1.5% for 1′ celcius at 26-30″& 5% for 32″ celcius.
Result:
co2 decrease
HCO3 increase
blood plasma ph increase
রক্ত পি এইচ ঠিক রাখার জন্য বাইকার্বোনেট( HCO3) বের করে দেয়, সাথে সাথে পটাশিয়াম বের করে দেয় যা শরীরের জন্য দরকার. ফলে ইলেক্টোলাইট ইমবেলেন্স হয়.
গরমে হাঁ করে নিঃশ্বাস নেয়ার কারণে জীবানূ শরীরে ঢুকে যায়।
গরমে শরীরে ভিটামিন সি উৎপাদন কমে যায় ফলে ফ্যাটি এসিডের অক্সিডেশন হয় এবং রোগ প্রতিরোধ কমে যায়।
পানি বেশি পান করার কারণে শরীর থেকে খনিজ পদার্থ ইউরিনের সাথে বের হয়ে যায়।
পাখি ৪ ভাবে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখে
রেডিয়েশন(বিকিরন)বেশি তাপ কম তাপের দিকে ছেড়ে দেয়।
কন্ডা্কশন(পরিবহন)ঠান্ড জায়গায় শরীর লাগিয়ে তাপ কমানো।
কনভেকশন(পরিচলন)বাতাস প্রবাহের মাধ্যমে তাপ কমানো।
এই ৩ টি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় মানে ২১-২৭ ডিগ্রি এর মধ্যে থাকলে সম্বব।
২৭ ডিগ্রির বেশি হলে
প্যান্টিং ঃ২৭ এর উপরে হলে মুরগি প্যান্টিং শুরু করে এবং শ্বাসতন্ত্রের অংশ থেকে জলীয় বাষ্প বের করে দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা কমানোর চেষ্টা করে।
বাষ্পীভবনঃপালক বিহীন চামড়া ও মুরগি হা করে নিঃশ্বাস এর মাধ্যমে পানি বাষ্পীভবন করে তাপ বের করে দেয়।
রেচনতন্ত্রঃগরমকালে পাখি বেশি পানি পান করে ফলে প্রস্রাব ও পাতলা পায়খানা করে তাপ বের করে দেয়।
এই ভাবে যদি তাপমাত্রা কমানো না যায় তাহলে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে এবং পাখি শুয়ে পড়ে ও মারা যায়।
লক্ষণ
১. ব্লাড প্লাজমার পি এইচ বেড়ে যায়।
২. সেলের(কোষ) পি এইচ কমে যায়।
৩. বাইকার্বোনেট(HCO3) কমে যায়।
৪.জিন ফাংশন কমে যায়।
৫. স্টেস হরমোন রিলিজ হয়( ACTH)
6.পুস্টি অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় হয়.
৭.সকল প্রডাকশন কমে যায় কারণ হোমিওস্টেসিস ঠিক থাকেনা.
৮.পানির পিপাসা বেড়ে যায়,পানি বেশি খেলে ইলেক্টোলাইট শরীর থেকে বের হয়ে যায়.
৯.১’ সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রা বাড়লে ২০-৩০% মেটাবলিজম বেড়ে যায় ফলে পানি বেশি খায় , রেস্পিরেশন বেড়ে যায়,পালস রেট কমে যায়,ওয়েট ড্রপিং ( ডায়রিয়া) এবং ডিহাইড্রেশন হয়.
১০. If increase deep body temperature
#changes biochemical & physiological status,ultimately damage heart,lung,liver, kidney.
১১. তাপমাত্রা ২৮” সেন্টিগ্রেট হলে খাবার ২% কমে যায় এবং ওজন কমে যায়.
১২. হার্ট রেট হয় ২৫০ ব্রেথ( breath) পার মিনিট মানে ১০ গুন বেশি.
১৩. গ্যাস্পিং এবং প্যান্টিং হয়।
১৪. পাখা ছড়িয়ে দেয়.
১৫. ডিম পাড়া কমে যায় এবং রং খারাপ হয়, খোসা খসখসে হয়,খোসার মান খারাপ হয় ,ডিম ছোট হয়।
১৬ ঠোকরাঠুকরি বেড়ে যায়।
১৭. মৃত্যহার বেড়ে যায়।
১৮.বোন মেটাবলিজম ডিস্টার্ব এবং টিবিয়াল ডিসকন্ডোপ্লাসিয়া হয়.
১৯. ইমোনিটি,ইউনিফর্মিটি,গাট মটিলিটি,নিউটিয়েন্ট শোষন,গ্রোথ রেট কমে যায় কিন্তু এসাইটিস বেড়ে যায়.
২০. পুলেটের ওজন কমে যায় এবং দেড়িতে ডিম আসে ও প্রডাকশন কম হয়।.
২১. বেশি খাবার খাওয়ালে মর্টালিটি বেড়ে যায়
২২,হিট শক হয়,প্রোটিন বেড়ে যায় ফলে মেটাবলিজম ব্যাহত হয়।
১.হাট বড় হয় এবং ডান এট্রিয়ামে রক্ত জমা হয়।
২.কিডনি বড় হয়ে যায়।
৩. মাংস শুকনা এবং আঠালো হয়.বুকের মাংসের রং পরিবর্তন হয়ে আধা সেদ্ধ মাংসের মত দেখায় ,মাংস সাদা হয়ে যায়।
৪.রক্ত কালো এবং ঘন হয়।
৫. গিজার্ডের ভিতরের পর্দা সহজে উঠে যায় এবং খালি থাকে.
৬,শরীরের ভিতরে রক্তক্ষরণ হয়।
#গরমের প্রভাব:#
১. শরীরের রোগ প্রতিরোধ কমে যায় এবং ই- কলাই ও সি আর ডির প্রবণতা বেড়ে যায়.
২. গাউট হয়
৩.increase blood flow in upper respiratory track,skin & abdominal muscle for relieving heat,as a result decrease blood flow in intestinal tract
ফলে
খাবার কমে যায়
পানি বেশি খায়।
ইনস্টেটাইনে (Intestine) ফ্লোইড বেড়ে যায়।
ডায়রিয়া হয়।
খাবার হজম কম হয়।
ইলেক্টোলাইট লস হয়,গরমে বাইকার্বোনেট বের হয়ে সাথে সোডিয়াম ও পটাসিয়াম বের হয় কারণ বাইকার্বোনেট নেগেটিভ আর সোডিয়াম ও পটাসিয়াম পজিটিভ।
আসিড-বেস ইমবেলেন্স হয়.প্যান্টিং এর কারণে কার্বনডাই অক্সাইড বের হয়ে যায় ফলে রক্তের পি এইচ বেড়ে যায় মানে এল্কালোসিস হয় কিডনি এই অসমতা ফিরিয়ে আনার জন্য বাইকার্বোনেট বের করে দেয় আর ক্লোরিন আয়ন প্লাজমাতে জমিয়ে রাখে ফলে সিস্টেমিক এসিডোসিস হয়।
এতে প্রথমে এল্কালোসিস হয় পরে এসিডোসিস হয়।
হিট স্টোকে তাই এমোনিয়াম ক্লোরাইড ০.৩-১% ব্যবহার করা হয় রক্তের পি এইচ ঠিক রাখার জন্য আর সোডিয়াম বাইকার্বোনেট ১-২ % ব্যবহার করা হয় এসিডোসিস দূর করার জন্য।
#(ধকল)#
লিভার এবং মাংস হতে গ্লোকোজ রক্তে চলে আসে যা গ্লাকোজেন হিসেবে সঞ্চিত ছিল.
শ্বাস প্রশ্বাস বেড়ে যায়.
জি আই ট্রাকের (GIT) পি এইচ এর পরিবর্তন হয় যা জীবানুর জন্য উপযুক্ত.
করটিকোস্টেরন এবং ফি রেডিকেল বেড়ে যায় যা অক্সিজেনের সাথে রিয়েক্ট করে ফলে অক্সিজেন কমে যায়.
শরীরের প্রোটিন এবং এনার্জি শরীরের মেইন্ট্রেইন,বৃদ্ধি,প্রডাকশন এবং পরিবেশ পরিবর্তনের জন্য কাজে লাগে কিন্তু গরমে সব কিছুতে পরিবর্তন আসে ফলে ইমোনিটি কমে যায় আর রোগ বেড়ে যায়.
((বিভিন্ন তাপমাত্রায় মুরগির প্রতিক্রিয়া:))
৬৫-৮০’ ফারেনহাইট(২০-২৭)
আরামদায়ক তাই প্রডাকশন ভাল থাকে
৮১-৮৫’ (২৭-২৮)
খাবার এবং ডিম কমে যায়,খোসার মান খারাপ হতে থাকে.
৮৬-৯৫'(২৯-৩৩’ সেন্টিগ্রেট)
২-৩% খাবার কমে যায়,এফ সি আর,ডিমের উৎপাদন এবং খোসার মান খুব খারাপ হয়.
৯৬-১০০'(৩৪-৪০)
মুরগি ডানা ছেড়ে দেয়. এই অবস্থা চলতে থাকলে হিট স্টোক হয়.
১০০- উপরে(৪০- এর উপরে)
এটা হল কিলিং তাপমাত্রা,এতে মুরগি মারা যেতে থাকে.
***মুরগি কিভাবে অত্যাধিক তাপমাত্রা থেকে রক্ষা পেতে চায়.***
১. মুরগি খাবার খাওয়ার পর জি আই ট্রাকের ভিতর ফারমেন্টেশনের ফলে তাপ তৈরি হয়, এই তাপ নিম্ন তাপমাত্রায় মুরগি কাজে লাগায়। অধিক গরমে মুরগি কম খায় যাতে কম তাপ উৎপন্ন হয়.
২. বেশি দোড়দোড়িতে মুরগির তাপমাত্রা বেড়ে যায় তাই গরমের সময় মুরগি শান্ত থাকে.
৩. মুরগির ঘর্মগ্রন্থি নেই তাই তাপ বের করার জন্য হাপাতে থাকে.
৪. ডিপ লিটারে মুরগি আরাম অনুভব করে কারণ লিটারের তাপমাত্রা শরীরের তাপের থেকে কম.
##অত্যাধিক তাপমাত্রায় করনীয়##
গরমে কি কি করতে হবে তা মুরগি মরার সময় ভেবে লাভ নাই।তাছারা এই সময় তেমন কিছু করার নাই।
তবে কোম্পানী কিছু কাজ করতে পারে খাবার ফর্মুলেশনে পরিবর্তন এনে তবু তা অনেকটাই সম্বব না কারণ হঠাত করে তীব্র গরম শুরু হয় আবার কিছু দিনের মধ্যে কমে যায়।আবার শুরু হয় যা মেইন্ট্রেইন করা যায় না তবে যারা নিজেরা ফিড বানায় তাদের দ্বারা সম্বব।
গরমের জন্য ১ম যেকাজ টি করতে পারে এবং করা উচিত তা হল ফার্ম করার আগে সেড টি ঠিক মত ঠিক জায়গায় করা যা মুরগিকে ঠান্ডা রাখবে।
আমাদের দেশে মুরগি মারা যাবার পর শুরু হয় সব কাহিনী যা আসলে তেমন কাজে আসেনা।
ক.ঘর ব্যবস্থাপনা
খ.পানি ব্যবস্থাপনা
গ.খাদ্য্ ব্যবস্থাপনা
ঘ.চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা
ক. ঘর ব্যবস্থাপনা
এই ব্যবস্থাপনা হঠাত করে করা যায় না এটা শুরুতে করতে হয় মানে ঠিক করে হাউজিং এবং ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখতে হয়।
ঘর উত্তর দক্ষিণ মুখী হবে যাতে আলো বাতাস ভাল ঢুকে, এতে বায়ুচলাচল ভাল হয়.
ঝোপ ঝাড় ও গাছ পালা কেটে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
ঘরের উচ্চতা ফ্লোর থেকে ৮-১০ফুট হলে ভাল হয়।
স্থায়ী মাটি থেকে সেডের উচ্চতা ২-৩ ফুট হলে ভাল ।
ফ্লোরের চারপাশের দেয়ালের উচ্চতা ৪-৬ ইঞ্চির বেশি যাতে না হয়।
সেডের নেট গুলি পরিস্কার করতে হবে যাতে বায়ু চলাচল ভাল হয়।
সেড থেকে সেডের দূরত্ব ৩০ ফুট রাখা উচিত।
টিনের ছাদের নিচে বাশ বা ইন্সোলেটর বা মোটা কাগজের বোর্ড দিয়ে বিকল্প ছাদ বানাতে হবে।তবে এতে ইদুরের সংখ্যা বেড়ে যায়।
পারলে ঘরে মুরগির সংখ্যা কমাতে হবে এবং পানির পাত্র বাড়াতে হবে.
ঘরের জিনিস পত্র এমনভাবে সেট করতে হবে যাতে বায়ুচলাচলের সমস্যা না হয়.
এগজস্ট এবং স্টেন্ড ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হবে.
স্ট্যান্ড ফ্যান ব্রয়লারের জন্য ঠিক আছে কিন্তু খাচার ক্ষেত্রে তেমন ইফিক্টিভ না।
হালকা পানির স্প্রে করতে হবে।
ঘরের ভিতর ছালা ভিজিয়ে রাখলেও ঘর ঠান্ডা থাকে,তাছাড়া যদি সম্বব হয় টিনের ছাদে চট বিছিয়ে সেখানে পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিলে ঘর ঠান্ডা থাকে।
ঘরের ছাদ ৩-৪ ফুট বাড়তি রাখলে সূর্যের আলো কম লাগবে.
চুন দিয়ে ছাদ এবং ফ্লোর লেপে দিলে ঘর ঠান্ডা থাকে।
টিনের উপর ঠান্ডা পানি স্প্রে করা যায়।মটর সিস্টেমে পানির লম্বা পাইপ টিনের উপর টিন বরাবর করে দিতে হবে এবং পাইপে ছিদ্র থাকবে যাতে পানি পড়ে.১ ঘন্টা পর পর মটর চালাতে হবে।টিনের উপর চট থাকবে ঠান্ডা বেশিক্ষণ থাকে।
গরমের সময় লিটারের উচ্চতা ১ইঞ্চির বেশি রাখা উচিত না বেশি রাখলে গরম বেশি হবে।
খ. খাদ্য ব্যবস্থাপনা
গরমে খাবার যেহেতু কম খায় সে কারণে খাবারটা এমন ভাবে বানাতে হবে যাতে খাবার কম মানে ৯০-১০০ গ্রাম খাবার খেয়ে ১২০ গ্রাম খাবারের ভিটামিন,মিনারেলস,এনার্জি ও প্রোটিন পায় ফলে প্রডাকশন ঠিক থাকবে।
আবহাওয়ার সাথে মিল রেখে খাবারের ফর্মুলা করা উচিত.৩-৪ মাস পর পর খাবারের ফর্মুলা চেঞ্জ করা উচিত।
সকাল এবং বিকালে ঠান্ডা সময় খাবার দিতে হবে,দুপুরে ২-৪ ঘন্টা অফ দেয়া যায়(তাপমাতার উপর নির্ভর করে).গরমে খাবার খেলে হজমের জন্য ৭% তাপ বেড়ে যায় যা ৪-৫ ঘন্টা থাকে।
যদি গরম ৩৫-৪০ ডিগ্রি হয় তাহলে ১২-৫ টা পর্যন্ত খাবার বন্ধ রাখতে হবে।
গরমের উপর নির্ভর করবে খাবার কতক্ষণ বন্ধ রাখতে হবে।
খাবার ভিজিয়ে দেয়া যায়, তবে তা যেন বেশিক্ষন না থাকে.
খাবারে এ্নার্জি কমাতে হবে কিন্তু ২৬০০ এর কম নয়,প্রোটিন না বাড়িয়ে মেথিওনিন ও লাইসিন বাড়াতে হবে,মিনারেলস( ক্যালসিয়াম,প্টাশিয়াম ও সোডিয়াম ক্লোরাইড,ফসফরাস এবং ভিটামিন্স( সি ও ই) বাড়াতে হবে.
বডিতে যাতে তাক কম তৈরি হয় সে জন্য ফ্যাট ০.5-1% বাড়িয়ে দেয়া হয়।
লাইসিনের ঘাটতি হলে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে তাই সয়াবিন বেশি দেয়া ভাল।
গরমকালে এনিম্যাল প্রোটিন বাদ দিয়ে/কমিয়ে উদ্ভিজ প্রোটিন ব্যবহার করা উচিত কারণ এতে তাপ কম তৈরি হবে।
বিটেইন এবং অর্গানিক ক্রোমিয়াম ব্যবহার করা যায় এতে বডিতে তাপ কম উতপাদন হবে।
গরমে অক্সিডেটিভ মেটাবলিজম দূর করার জন্য এন্টি অক্সিডেন্ট ব্যবহার করা হয় যেমন ভিটামিন ই,সি,বি এইচ এ (BHA),বি এইচ টি(BHT) ই কিউ (EQ)
টক্সিন বাইন্ডার ব্যবহার করা কারণ গরমে খাবারে টক্সিসিটি বেশি হয়।
নিকারভাজিন ও মনেনসিন ব্যবহার না করা এতে পানি কম খায়।
গরমে ফসফরাস কিছুটা কমিয়ে ক্যালসিয়াম বাড়িয়ে দেয়া উচিত।
পিলেট খাবার দিলে বেশি খায়.তাছাড়া ম্যাশ খাবারে তাপমাত্রা বেড়ে যায়।এতে ক্যালসিয়ামের শোষণ ভাল হয় না।
ক্যালসিয়াম খাবারে না দিয়ে লিটারে বা ফিডারে দিলে খাবার বেশি খায়।
খাবারে সি ২৫০ এম জি প্রতি কেজিতে বা ২০০-৪০০ গ্রাম /টনে দেয়া উচিত, এতে ধকল কমে যাবে.
এসিটাইল স্যালিসাইটিক এসিড ৬০-৪০০এম জি /লিটার
৫% খাবার পাত্র বাড়াতে হবে
গ.পানি ব্যবস্থাপনা
খাবার এবং পানির অনুপাত ১:২ কিন্তু ৯৫* গরমে তা ১:৪ হতে পারে.
বাচ্চা ছাড়া মুরগি ঠান্ডা পানি(১৭-২১*) পছন্দ করে.
গরমে মুরগির রক্ত ক্ষারীয় হয় তাই পানিতে সোডিয়াম বাইকার্বোনেট ১গ্রাম /লিটার ও এমোনিয়াম ক্লোরাইড দেয়া উচিত।
গরমে পানিতে ৪% গ্লুকোজ দিলে রক্তের ভিস্কোসিটি ও অস্মোলারিটির ক্ষেত্রে তাপমাত্রার প্রভাব কম পড়ে।
গ্লোকোজ যত না তাপ তৈরি করে তার চেয়ে বেশি এনার্জি দেয় মুরগিতে।খাবার থেকে যে এনার্জি পায় তা তৈরিতে অনেল তাপ তৈরি হয় যা আরো বেশি রিক্স তাই রেডি মেড এনার্জির জন্য গ্লোকোজ মিশ্রিত ইলেকোলাইট/গ্লোকোজ দেয়া যায়।
পানিতে ভিটামিন ই দিলে লিপিড এর পার অক্সিডেশেনের ক্ষেত্রে এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ফলে তাপমাত্রার কুফল থেকে রক্ষা পায়।
গরমে শরীরে সি এর পরিমান কমে যায় তাই পানিতে সি দেয়া ভাল।
পানির সাথে বরফ দেয়া যেতে পারে.
২০-২৫ % ডিংকার বাড়িয়ে দেয়া উচিত
বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকলে লিটারেরে বা টিনের উপর পানি ছিটানো যাবেনা।
পানির পাইপ লাইন ঘরের উপর না দিয়ে মাটির ৪-৫ ফিট নিচ দিয়ে দিলে পানি ঠান্ডা থাকবে।
ঘরের বিভিন্ন স্থানে চটের বস্তা ভিজিয়ে তার উপর বড় ফ্যান দিয়ে বাতাস প্রবাহিত করে ঘর ঠান্ডা রাখা যায়।
পানির ট্যাংকে বরফ দেয়া যায় এবং পানির ট্যাংক চটের বস্তা দিয়ে ঢেকে দেয়া উচিত।
গরমে পাখি বেশি পানি খালে লিটার বেশি ভিজে যায় তাই লিটারে চুন দিতে হবে এবং লিটার উল্টিয়ে দিতে হবে।
চলার/টিনের উপর তুলির ২পাশে ছিদ্রযুক্ত পাইপ (৪-৫ইঞ্চি পর পর পাইপের ২পাশে ছিদ্র করতে হবে) দিতে হবে যা মোটর দিয়ে চালাতে হবে.৩০-৪৫ মিনিট পর পর ৫-১০মিনিটের জন্য চালালেই হবে।
পানিতে সোডা,ইলেক্টোলাইট,বিটেইন,ক্রোমিয়াম পিকোলিনেট/প্রপায়নেট( Rena CR),স্যালাইন,সি,মেন্থল এর মধ্যে যে কোন একটি দেয়া যায়।
ঘ.চিকিৎসা
মুরগি হাপায়লে কার্বোনেট বের হয়ে যায় ফলে আয়নিক ইমব্যালেন্স হয়.
তাই পানিতে ইলেক্টলাইট এবং সি ব্যবহার করতে হবে এতে ডিমের খোসার মান এবং ইমোনিটি ভাল থাকবে.
কোন মুরগি অসুস্থ মনে হলে পানিতে চুবাতে হবে মাথা বাদ দিয়ে।
অধিক গরমে পুরো লিটার পালটানো উচিত নয় এতে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে।
সন্ধ্যা রাত্রে তাপমাত্রা কম রাখতে পারলে ভোরে বেশি খাবার খাবে।
পানিতে বিটেইন,ক্রোমিয়াম,মেন্থল দিতে হবে ।এতে হিট স্টেস কম হবে।