গবাদিপশুর কম খাওয়ার কারণ সমূহঃ
”””””'”””””””””””””””‘””””'””‘”””””
স্বাভাবিক কিছু কারণে গবাদিপশু সাময়িক কম খেতে পারে তা হল-
১) অবস্থানের পরিবর্তন হলেঃ
“”””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””‘”
বুদ্ধি সম্পন্ন যে কোন প্রাণীর ক্ষেত্রেই এমনটা হয়। চিরচেনা স্থানে ও পরিবেশে তার সব কার্যক্ষমতায় ঠিক থাকে তেমনি খাবার পরিমাণ ও চাহিদাও। প্রাণিতেও অবস্থান পরিবর্তন হলে কিছু সময়ের জন্য খাবার গ্রহনে ব্যহত হয় সেটা লক্ষ করা যায়। বাজার থেকে কিনে আনলে, অন্য কোথায় নিয়ে গেলে এমন সমস্যা হয়। এর আরো একটা কারণ থাকতে পারে তাহল ধরুন আপনি তাকে কিনে নিয়েছেন কিন্তু জানেন না সে কোন টা বেশী পরিমাণে খায়, তাই হয়ত সেই উপাদান পায়নি তাই খাচ্ছেনা, বা কম খাচ্ছে।
সমাধানঃ
————
এই অবস্থাতে চিন্তার কিছু নেই। কয়েকদিনের ব্যবধানেই তা ঠিক হয়ে যাবে। তবে বেশী ধর্য্য না ধরলে একই খাবার বেশি না দিয়ে অনেক গুলো উপাদান অল্প অল্প করে দিবেন তাহলে একটা ভাল না লাগলেও অন্যটি খাবে। পরিস্কার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ বাড়াতে হবে।
২) খাদ্যে পরিবর্তন আসলেঃ
“””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””””
প্রত্যেহ যে খাবারে প্রাণি অভস্ত হয় তার প্রতিই স্বভাবত বেশী অগ্রহ থাকবে। খাবার পরিমাণ টাও আগের মত নির্দিষ্ট থাকবে। এর বিপরিত অন্য কোন নতুন খাবার দিলে কম খাবে বা খেতে চাবেনা। কারণ তারও একটা মনস্তাত্তিক বিষয়কাজ করে। নতুন খাবার কী তার জন্য সত্যিই ভাল তাও হয়ত কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে স্বাদের পরিবর্তন হলেও এমনটা হতে পারে।
সমাধানঃ
————
নতুন ভাবে অভ্যস্ত হতে কিছুদিন সময় লাগবে। এতে চিন্তার কোন কারণ নাই।তবে নতুন খাবার দেয়ার সময় সকল প্রাণিকে একসাথে প্রদান করলে দ্রুত খাবার গ্রহণে অভ্যস্ত হতে পারে।অন্যান্য রুচি বর্ধক খাওয়ানো যেতে পারে।আগের খাবারের সাথে মিল রেখে কিছু খায়ানো ভাল।
৩) সঙ্গি পরিবর্তন হলেঃ
“”””””””””””””””””””””””””””””””””””
খামারে দীর্ঘদিন একসাথে থাকা গরুগুলোর মধ্য থেকে তার জোড়াকে বিক্রি করলে বা অন্যত্র সরিয়ে রাখলে গরুতে কম খায়। প্রথম কয়েকদিন এই অবস্থা প্রায়ই লক্ষ করা যায়। আর সেই সময়ে খামারি মনে করেন যে হয়ত তার কোন রোগ হয়েছে। আসলে বিষয়টা তেমন নয়, এখানে তার কিছু মনস্থাত্তিক অবস্থান পরিবর্তন হয়।
সমাধানঃ
————
কয়েকদিন দেখেশুনে রাখা এবং ভাল খাবার প্রদানের চেষ্টা করা। বেশী বেশী বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ বাড়ালে ভাল হবে।
৪) খাবার দুর্গন্ধ হলেঃ
“””””””””””””””””””””””””””””””””
অনেক দিনের পচা, বাসি ও দুর্গন্ধ যুক্ত খাবার সাধারণত খেতে চায়না গরুতে/ ছাগলে। বাহ্যিক দৃষ্টিতেখাবারকে ভাল মনে হলেও শুধুমাত্র দুর্গন্ধ থাকার কারণে খায়না। এসব ক্ষেত্রে একবার মুখে নিয়ে আর খাবার মুখে নিতে চায় না কিংবা আর দেখেও না খাবারের দিকে।
সমাধানঃ
———–
পচা খাবার না দিয়ে সুগন্ধ যুক্ত না হলেও যেন দুর্গন্ধ যুক্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খাবারের সাথে কিছু লবণ পানি মিশিয়ে দেয়া যেতে পারে। খাবার তৈরি করার সময় হিসাব করে পরিমাণ মত বানাতে হবে যেন নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হলে গন্ধ ধরে না যায়।
৫) ভয় পেলেঃ
“”””””””””””””””””””
ভয় পেলে এপিনেপ্রিন ও নর এপিনেপ্রিন হরমোনের প্রবাহ বেড়ে যায়, তখন মানুষ এবং প্রাণি কেউই ভাল করে খেতে চায় না। আর প্রাণীর ক্ষেত্রে বিষয়টা আরো বেশী গুরুত্বপুর্ণ। তাছাড়া ভয়ংকর কোন হিংস্র প্রাণি বা সাপ বেজি দেখেও গরু ভয় পেয়ে যেতে পারে। আমরা অনেকে প্রাণীর সাথে খুব খারাপ আচারণ করি কোন একটু কিছু হলেই তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করি, এমনকি তার নাকে নাতা থাকলে সে দড়ি ধরেও তাকে টেনে কস্ট দেয়। এই রকম হলে ভয়ে প্রাণি খাবার কম খায়। তখন উলটো চিন্তায় পরে যায় কৃষক, তাই প্রাণীর সাথে শোভন আচারণ করা একান্ত অপরিহার্য।
সমাধানঃ
————
মার ধর করা হতে বিরত থাকা।গায়ে হাত নেড়ে ভয় কাটানোর চেষ্টা করা।পরিমাণ মত সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা।
Collected
Metronidazole
অনেকদিন যাবৎ মোবাইলে ডাঃ এবং অন্যান্য চিকিৎসক দের একটা সমস্যাই বার বার মোকাবেলা করতে হচ্ছে।কম হলেও ৮/১০ টা ফোন পাই তা হল গরু কোথ দেচ্ছে( ষ্ট্রেইনিং), খাওয়া বন্দ্ধ অথবা অল্প অল্প খাচ্ছে, কখনও পায়খানা নেই,কখনও অল্প পাতলা পায়খানা,কখন ও শুধু আমাশয়,কখনও কোথ দিতে দিতে হালিশ বা রেকটাম অথবা জরায়ু বের হয়ে যাচ্ছে।
এমন শুনলেই আমি বলি মেট্রোনিডাজল কে খাওয়ায়েছে।কোন সময় উত্তর দেয় অন্য ডাক্তার, কোন সময় উত্তর দেই আমি দিয়েছি।তখন বলে মেট্রোনিডাজল যদি এই সমস্যার কারন হবে তাহলে ডাইরোভেটতো ভাল কোম্পানীর ঔষধ তা ওরা তৈরি করবে কেন?? অর্থাৎ সে বিশ্বাস করতে পারেনা।
যারা চিকিৎসা করেন তাদের কাছে আমরা আহবান থাকবে মনযোগ দিয়ে খেয়াল করেন।
মেট্রোনিডাজল দেয়া হয় পাতলা পায়খানা,কাফ স্কাওর,ককসিডিওসিস বা রক্ত আমাশয় রোগের জন্য।অথচ আমি সারাজীবন এক্ষেত্রে Tab. strinacin or other tab.of same preperation twice daily and Diadin injection. দিয়ে সফল চিকিৎসা করেছি।একটা বাছুরও মরে নাই। তাহলে মেট্রো কেন ব্যাবহার করি??
মেট্রোর সাইড ইফেক্ট খাওয়ার রুচি কমে,(রুমেন মাইক্রোফ্লোরা মারা যাওয়ায় অরুচি,বদহজম হয়) কনটিনিউয়াসলি কোথ দিতে থাকে, ফলে রেকটাল প্রোলাপ্স হয়ে যায়,আমাশয় অথবা পাতলা পায়খানা সহজে ভাল হতে চাইনা।কোথ মারাত্বক আকার ধারন করে।এক্ষেত্রে পরামর্শ দেয়া অত্যন্ত বিব্রতকর।
তাই যে রোগে চিকিৎসার জন্য সালফার ড্রাগ ভাল কাজ করে সেখানে মেট্রো ব্যাবহার করে জটিলতা কেন বাড়াবো??
ডা এস কে এম ফিরোজ আলম