স্যানিটেশন – কবুতরের রোগ জীবানূ প্রতিরোধে বায়োসিকিউরিটির একটি গুরুত্বপূর্ন দিক।
? লফটে ব্যবহৃত খাবার, আসবাব, লোকবল, সব ধরনের যন্তপাতি জীবানুমূক্ত করন এবং জীবানু মুক্ত রাখার প্রকৃয়া স্যানিটেশনের অন্তর্ভুক্ত।
(১) লফটের খাবার সংগ্রহ করার জন্য এমন দোকান বেছে নিন যেখানে কোন ধরনের পাখি বিক্রয় করা হয় না। যে সব দোকানে পাখি বিক্রয় হয় সেখানকার খাবার থেকে জীবানূ বিস্তারের সম্ভাবনা থাকে। একি কথা প্রযোজ্য পাখির হাটের একেবারে নিকটবর্তী খাবারের দোকানগুলোর ক্ষেত্রেও।
(২) নিয়মিত লফটে জীবানু নাশক ব্যবহার করা। খাবার বাটি, পানির পাত্র, খাচা, ট্রে, লফটের মেঝে এবং দেয়াল, সব কিছু নিয়মিত জীবানু নাশক দিয়ে পরিষ্কার করা।
(৩) রেস থেকে ফেরা কবুতরকে কিছুদিন কোয়ারেন্টাইন করে রাখা।
(৪) লফট শুকনো রাখা এবং পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা।
(৫) লফটে ব্যবহারের জন্য আলাদা জুতো/স্যান্ডেল রাখা। সব সময়ের ব্যবহৃত স্যান্ডেল/জুতা লফটের বাইরে রাখুন।
(৬) লফটে ব্যবহারের জন্য আলাদা পোষাক/গাউন এবং টুপি রাখা।
(৭) লফটে হাত জীবানু মুক্ত করার ব্যবস্থা রাখা।
(৮) অসুস্থ পাখির সেবা শুশ্রুষার জন্য আলাদা হাস্পাতাল এবং কোয়ারেন্টাইন এলাকা রাখা। এটা মূল লফট থেকে কিছুটা দূরে হওয়া বাঞ্চনীয়। কোন কবুতরকে অসুস্থ দেখা মাত্র হাসপাতাল এলাকায় এবং প্রয়োজনে কোয়ারেন্টাইন এলাকায় দ্রুত স্থানান্তর করুন।
(৯) হাসপাতাল এবং কোয়ারেন্টাইন এলাকায় ব্যবহৃত আসবাব মূল লফটে ব্যবহার না করা।
(১০) অসুস্থ কবুতরের পরচর্যা লফট ভিসিটের সর্বশেষ কাজ। অসুস্থ কবুতর পরিচর্যার পর যথাযথ ভাবে নিজের দেহ এবং পরিধেয় সব কিছু জীবানূমুক্ত করন প্রকৃয়া অনুসরন না করে মূল লফটে যাওয়া থেকে বিরত থাকা।Abdullah Zahidur Rahman