Breaking News

ভ্যাক্সিন সিডিউলের সূত্র।

ভ্যাক্সিন সিডিউলের সূত্র।

ভ্যাক্সিন সিডিউল সবাই মুখস্থ করে।এভাবেই সবাইকে শিখানো হয়েছে।
সিডিউল কেমন হবে,কিসের ভিত্তিতে ভিন্ন হয় তা নিচে আলোচনা করা হয়েছে।

১.
স্পিসিস অনুযায়ী রোগের ধরণ আলাদা হয় যেমন একই রোগ বিভিন্ন স্পিসিসে বিভিন্ন বয়সে হয়।যেমন কলেরা হাসের ক্ষেত্রে ৪ সপ্তাহে হয় তাই আগে ভ্যাক্সিন দিতে হয়।টার্কির ক্ষেত্রে যে কোন বয়সে হয়।লেয়ারের ক্ষেত্রে কলেরা ১২ সপ্তাহের পরে হয় তাই ভ্যাক্সিন ৮-৯ সপ্তাহে দিতে হয়।
নরমালী রোগটা হবার আগেই বা টাইটারটা শেষ হবার আগেই ভ্যক্সিন টা দিতে হয়।
লাইভ ভ্যাক্সিনের টাইটার উঠতে২ সপ্তাহ সময় লাগে আবার কিল্ড টিকার টাইটার ৪ সপ্তাহের পর উঠে।
এই জন্যই ১ম ২টিলাইভ (প্রাইমিং এবং ব্রুস্টারিং)টিকার মাঝে ২-৩ সপ্তাহ এবং কিল্ড টিকার মাঝে ৪-৬ সপ্তাহ গ্যাপ দেয়া হয়।গাম্বোরু ভ্যাক্সিন ব্যতিক্রম ২টার মাঝে ৭দিন গ্যাপ দিতে হয়।

পক্স কবুতর ও দেশি মুরগিতে হয় অল্প বয়সে (১-২ সপ্তাহে) তাই ভ্যাক্সিন ও আগে দিতে হবে।লেয়ারে পক্স হয় ৪ সপ্তাহের পর তাই ভ্যাক্সিন দিতে হয় একটু দেরিতে ৪-৫ সপ্তাহে।

রানিক্ষেত ব্রয়লারে ১০০% মারা যায় তাই ভ্যাক্সিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু লেয়ার ও সোনালীতে প্রায়৫০% মারা যায় তবু দিতে হয় কিন্তু কোয়েল,টার্কি ও হাসে রানিক্ষেত হলেও মারা যায় না তাই ভ্যাক্সিন লাগেনা।

৩.

সিডিউল তা ফিক্সডটা একটু আগে পরে করা যায় সেটা মাথায় রাখতে হবে।অনেকেই টেনশনে পড়ে যায় আগে পড়ে করতে চায় না।

৪.

ভ্যাক্সিন কয়টা দিবো তা মুরগি কতদিন পালন করবে,রোগ এবং ফার্মের অবস্থার উপর নির্ভর করে যেমন ব্রয়লারে ভ্যাক্সিন কম লাগে,সোনালী ব্রয়লারের দ্বিগুন সময় পালন করে তাই ভ্যাক্সিনও দ্বিগুন লাগে,সোনালীর রোগ বেশি হয় তাই ভ্যাক্সিনও কিছু বেশি লাগে।লেয়ারের ক্ষেত্রে অনেক ভ্যাক্সিন দিতে হয় কারণ লেয়ার ২ বছর থাকে,রোগ ও বেশি হয়।আবার ব্রিডারে আরো বেশি ভ্যাক্সিন দিতে হয় কারণ ব্রিডার থেকে এম ডি এ বাচ্ছাতে আসার জন্য বেশি ভ্যাক্সিন দিতে হয় যাতে বাচ্চা ভাল থাকে।অথচ আমরা ভ্যাক্সিন আগে দেয়ার জন্য বেশি আগ্রহী।

যদি রোগ কম হয় এবং ফার্মের ব্যবস্থাপনা,লোকেশন ভাল হয় তাহল ভ্যাক্সিন কম লাগবে যেমন এইচ ৯এন ২ এবং এইচ ৫ এন ১ ভ্যাক্সিন ২-৩টা করা যায় তবে করলে ২টাই করতে হবে।যে কোন ভ্যাক্সিন নরমালী ২টা করতে হয় যাতে টাইটার বেশিদিন থাকে।একটা করলে মেমোরি সেল কাজ করতে পারেনা তাই টাইটার কম উঠে।রানিক্ষেত,গাম্বোরু ,করাইজা,কলেরা,সালমোনেলা ভ্যাক্সিন ২টা করে দিতে হয় লেয়ারে।

কিছু ভ্যাক্সিন হ্যাচারীতে করতে হয় যেমন মেরেক্স কারণ এই জীবানূ একবার মুরগির শরীরে ঢুকলে পরে আর ভ্যাক্সিনে কাজ হয় না।এক্টাতেই আজীবন ইমোনিটি হয়।
আবার কিছু ভ্যাক্সিন আছে যা হ্যাচারীতে দিলে পরে লাগে না যেমন এইচ ৫এন১.উন্নত দেশ গুলোতে এসব ভ্যাক্সিন বেশি দেয়া হয়।

পক্স একটা দিলেই হয় তবে ২টা লাগতে পারে।

ই ডি এস একটা দিলেই আজীবন ইমোনিটি।

কতদিন পর পর দিবো তা নির্ভর করে লাইভ/কিল্ড/টাইটারের উপর।

তবে রানিক্ষেত ও গাম্বোরু ছাড়া সব ভ্যাক্সিনের মাঝে ৪-৬সপ্তাহ গ্যাপ দিতে হয় যেমন করাইজার ১ম ভ্যাক্সিন ৭ সপ্তাহে দিলে পরের টা হবে ১২বা ১৩ সপ্তাহে।
আই বি,রানিক্ষেত,এ আই যে কোন বয়সে হয়,স্ট্রেইন বেশি তাই বেশি লাগে।

গাম্বোরু নরমালী ৬ সপ্তাহের আগে হয়,পরে হয় না।তাই পরে দিতে হয়না।
আবার সব রোগ সব স্পিসিসে হয় না বা হলেও মারা যায় না তাই সব স্পিসিসে সব ভ্যাক্সিন দেয়া লাগেনা।

১০

ব্রয়লারের কিছু রোগ যা লেয়ারে হয় না সেই রোগের ভ্যাক্সিন ব্রয়লার ব্রিডারকে দিতে হয় যেমন রিও,চিকেন ইনফেকশাস এনিমিয়া।

১১.

কোম্পানীর ভ্যাক্সিন টেকনোলজির কারণেও সিডিউল আগে পরে হয় যেমন ইলাংকোর সালমোনেলার ভ্যাক্সিন যা ১ম সপ্তাহে দেয়া যায় কিন্তু অন্য কোম্পানীরটা ৬ সপ্তাহের আগে দেয়া যায় না।

১২
কোন ভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে ১ম ভ্যাক্সিন কে প্রাইমিং বলে।এই প্রাইমিং ১ম কত দিনে/সপ্তাহে দিবো তা নির্ভর করে বাচ্চার
এম ডি এ,বাচ্চার কোয়ালিটি,ফার্মের ব্যবস্থাপনা এবং ব্রিডারের ব্যবস্থাপনা ভাল হলে,ফার্মে আগে কোন জটিল রোগ না হলে ভ্যাক্সিন সিডিউল পেছাবে আর সমস্যা যত বেশি হবে তত আগাবে ভ্যাক্সিন সিডিউল।

যেমন রানিক্ষেত ১-৭দিনের মধ্যে দেয়া যায় সমস্যা থাকলে ১দিনেও হতে পারে।সব ভাল হলে ৭দিনেও দেয়া যায়।
তাছাড়া ভ্যাক্সিনের এর টেকনোলজি/কোম্পানীর কারণেও সিডিউল আগে পরে হয়।
যেমন রানিক্ষেত এবং ব্রংকাইটিসের ১ম ভ্যাক্সিন ১-৭দিনে হবে।
২য় টা হবে ১৫-২৫দিন পর।

গাম্বোরুর ১ম ভ্যাক্সিন ৮-১৪দিনের হবে ২য় টি হবে ১মটা দেয়ার ৭দিন পর।

১৩
একেক ফার্ম,ব্যবস্থাপনা এবং বাচ্চার কন্ডিশন একেক রকম তাই সিডিউলও একেক রকম।

১৪.
এসবের সাথে ভ্যাক্সিন সিডিউল এর১৩ টা ফ্যাক্টর পড়ে নিলে আরো ক্লিয়ার হবে।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

ফার্মের যে বিষয়গুলি সংশোধনের সুযোগ নাই তাই আগেই ঠিক করে শুরু করতে হবে।

ফার্মের যে বিষয়গুলি সংশোধনের সুযোগ নাই তাই আগেই করা উচিত।। ক।ফার্মের যে সমস্যা যা কোন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »