খামারীদের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অন্য খামারী বা ডিলারের কাছ থেকে চিকিৎসা নেয়া ঠিক না।এমনকি অফ্লাইনেও অন্য খামারী/ডিলার/ কোয়াক থেকেও চিকিৎসা নিবেন না কারণ তারা কখনো রোগ নির্ণয় করতে পারেনা।পারার কথাও না।
তবুও এই কথা বলতে হচ্ছে কারণ ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে দিনে প্রচুর পরিমাণ রোগের চিকিৎসা চাওয়া হচ্ছে এবং দেয়া হচ্ছে।
কয়েকটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা বুঝা যাবে যেমন শ্বাসনালীর সব রোগ কে খামারীরা ঠান্ডা লাগা বলে থাকে। কিন্তু ঠান্ডা লাগার অনেক কারণ আছে যেমন আই বি,রানিক্ষেত,এ আই,পুলোরাম,ইক্লাই,নিউমোনিয়া,মাইকোপ্লাজমা,সিজনাল সহ অনেক কারণে এই সমস্যা হয়ে থাকে সেগুলো থেকে ১-২টা রোগ নির্ণয় করে তারপর চিকিৎসা দিতে হয় যা দক্ষ ডাক্তার ছাড়া খামারী/ডিলার/কোয়াক কেউ পারবেনা।
শুধু লক্ষণ দিয়ে রোগ নির্ণয় করা যায় না উপরের সব রোগের একই লক্ষণ তাই রোগ নির্ণয় করতে হলে হিস্ট্রি,লক্ষণ নিতে হবে।পোস্ট মর্টেম করা লাগতে পারে।।মিনিমাল ২টি অপশন লাগবে।
তেমনি সাদা পায়খানা অনেক কারণে হয় যেমন গাউট,গাম্বোরু,আই বি এইচ,রানিক্ষেত,পুলোরাম।তাই শুধু বিস্টার কালার দিয়ে রোগ নির্ণয় করা যাবেনা।
ডিমের সাদা কালারও বিভিন্ন কারণে হয় যেমন রানিক্ষেত,আই বি,এ আই,ই ডি এস।
পাতলা বিস্টা/ডায়রিয়া বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন খাবারের কোয়লিটি খারাপ হলে,প্রডাকশন বেশি থাকলে,তাপমাত্রা বেশি হলে,মাইকোটক্সিন,কলেরা,সাল্মোনেলা,আমাশয়,গাম্বোরু,রানিক্ষেত সহ আরো অনেক কারণে হতে পারে।তাহলে আসলে কোন্টার কারণে হচ্ছে তা আলাদা করতে হলে অনেক বিষয় বিবেচনা করতে হয় যা দক্ষ ডাক্তার ছাড়া সম্বব না।
তাই দেখা যায় একেক খামারী/কোয়াক/ডিলার একেক জন একই সমস্যায় একেক চিকিৎসা দিচ্ছে।এতে রোগ ভাল ত হচ্ছেই না বরং খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
একজন খামারী ফেসবুকে পোস্ট দিলো মুরগির সবুজ পায়খানা,কয়েকটা মারা গেছে।
তখন খামারীদের অবস্থা কি হয় তা নিচে দেয়া হল।
১। একজন রানিক্ষেত বলে কয়েকটা এন্টিবায়োটিক সহ একটা চিকিৎসা দিবে।
২.আরেকজন গাম্বোরু বলে নিজের মত চিকিৎসা দিবে
৩.সাল্মোনেলা বলে ৩য় জন ও চিকিৎসা নিবেন।
৪.কলেরা বলে ৪র্থ জনও বাদ যাবেন না।
৫.৫ম জন বলবে খাবার খায়নি তাই এই অবস্থা।কিন্তু চিকিৎসা তিনিও নিজের মত দিবে।
প্রশ্ন মুরগির কি এত গুলো রোগ হয়েছে?
যিনি পোস্ট দিয়েছেন তিনি কার পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা দিবেন?
প্রতিটি রোগের ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটে।
তাই অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে ফার্ম পরিচালনা এবং চিকিৎসা নেয়াই বুদ্ধিমান খামারীর কাজ।
কেউ হয়ত বলবে ডাক্তার সব সময় পাওয়া যায় না।ডাক্তার সব সময় না পাইলেও অনলাইনে ডাক্তার পাবেন তাদের সাথে মোবাইলে কথা বলে চিকিৎসা নিবেন।
তখন বলতে পারেন অনলাইনে ত ফ্রি দিতে হয়।
জি,চিকিৎসা ত ফি দিয়ে নিতে হবে কারণ মানুষের চিকিৎসা কি ফ্রিতে হয়? যদি না হয় তাহলে মুরগির চিকিৎসা ফি হবে কেন।ফি জিনিসের কোয়ালিটি ভাল হয়না।প্রতিটি মানুষের পরিশ্রমের মূল্য আছে।
যাদের দায়িত্ব থাকে ফ্রি চিকিৎসা দেয়া তাদের ব্যাপার আলাদা।
নোটঃঅনলাইন এবং অফ্ললাইনে ট্রেনিং নিতে চাইলে এবং পরামর্শ নিয়ে ফার্ম চালাতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
০১৭১৭৩০০৭০৬.
বটেশ্বর,বেলাবো।নরসিংদী