Breaking News
মেটাবলিক ডিজিজ
মেটাবলিক ডিজিজ

বিপাকীয় রোগ(Metabolic Disease): বিস্তারিত

বিপাকীয় রোগ(Metabolic Disease):
লক্ষণ:হঠাৎ খাওয়া,জাবর বন্ধ করে দেয় ,তাপমাত্রা ১০২ ডিগ্রি ফরেনাইট থেকে ১০৫ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে।

দুধ হঠাৎ ৬০‌ভাগ পযর্ন্ত কমে যায় ,পায়খানা শক্ত গুটি গুটি হয় ,নাকে সর্দি থাকে না।এরপর পায়খানা ২-১ দিন বন্ধ থাকে।তারপর দূর্গন্ধযুক্ত পাতলা পায়খানা হয় ,এরপর অল্প অল্প আম যুক্ত কালো পায়খানা হয়।তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়ে।

পূর্বে র ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় হাট থেকে কেনা বা কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছিল প্রথমেই লক্ষ ণ আসে গায়ে তাপ,পায়খানা শক্ত গুটি গুটি ,খাওয়া বন্ধ নিম্নের চিকিৎসা দিলে ২-১ ঘন্টার মধ্যে খাওয়া ধরবে এবং ৮-১০ ঘন্টার মধ্যে খাওয়া জাবর সবই হবে।

অধিকাংশ চিকিৎসক সংক্রামক রোগ বলে ভুল করে।অনেকে প্রোটোজোয়াল ডিজিজ বলে সন্দেহ করে।কখনো কখনো গরু বেচে থাকলে তাপমাত্রা উঠা নামা করে।

যেমন -২দিন ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট আবার ২দিন স্বাভাবিক তাপমাত্রা।স্বাভাবিক তাপ হলে গরু তখন খাবার খাই।

চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ নির্ণয় করা বা নিশ্চিত হওয়া যায়।

চিকিৎসা:

-(১০০-১৫০কেজি দৈহিক ওজনের জন্য)
১.এস.আর.রুচি(S.R.Ruchi)
ব‍্যবহার :
প্রতিবারে ৩০০ গ্রাম।
প্রথম দিন:দিনে ২বার
প‍রবর্তী দিন:১বার করে ।৫-৭ দিনের জন্য খাওয়াতে হবে।বিঃদ্রঃ-এস.আর.রুচি(S.R.Ruchi) ৩০০গ্রামের পরিবর্তে এস.আর.রুচি ২০০গ্রাম সাথে ১০০গ্রাম ডেক্সট্রোজ পাউডার ব্যবহার করা যায়।
২.এস.আর.লিভার টনিক(S.R.Liver Tonic)
ব্যবহার:
প্রতিবারে ৫০-১০০ গ্রাম।এস.আর.রুচি(S.R.Ruchi) এর সাথে একই ভাবে খাওয়াতে হবে।

ক্রোনিক বিপাকীয় রোগ (Chronic Metabolic Disease)
লক্ষণ:
১.দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া কম থাকে।গায়ে স্বাভাবিকের চেয়ে ২-১ডিগ্রী তাপমাত্রা বেশি থাকে, পানি কম খায়
অথবা
প্রচুর খায় কিন্তু স্বাস্থ‍্য ভালো হয় না।পায়খানা পরীক্ষা করলে দেখা যায় খাবার হজম হয়নি।ফলে স্বাস্থ‍্য ভালো হয় না।
২.খাওয়া একটু বেশি হলে কিছু গরু বদ হজমে আক্রান্ত হয়।ফলে পাতলা পায়খানা হয়।
৩.দীর্ঘ দিন যাবৎ পাতলা পাতলা পায়খানা হয়। চিকিৎসা দিলে ৫-৭ দিন ভালো থাকে। পুনরায় পাতলা পায়খানা শুরু হয়।
৪.এক টানা ফাঁপা চলতে থাকে। অথবা দিনে নির্দিষ্ট একটি সময়ে পেট ফাঁপে।
৫.দুধ উৎপাদন পূর্বের দুগ্ধ কালীন সময়ের থেকে কম হয়।
অথবা দুধ উৎপাদন দ্রুত কমতে থাকে।
চিকিৎসা:
(১০০-১৫০কেজি দৈহিক ওজনের জন্য)
১.এস.আর.রুচি(S.R.Ruchi)
ব্যবহার:প্রতিবারে ২০০গ্রাম করে দিনে একবার।স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত খাওয়াতে হবে।
২.এস.আর.লিভার টনিক(S.R.Liver Tonic)
ব্যবহার:
প্রতিবারে ৫০-১০০গ্রাম।এস.আর.রুচি(S.R.Ruchi)এর সাথে একই ভাবে খাওয়াতে হবে।
বিঃদ্রঃ-
*পেট ফাপার ক্ষেত্রে উপরোক্ত চিকিৎসার সাথে এস.আর.বভি(S.R.Bovi) হালকা গরম পানিতে দিনে দুই বার খাওয়াতে হবে।
*দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উপরোক্ত চিকিৎসা৭ দিন চলবে।সাথেএস.আর. মিল্ক টনিক(S.R.Milk Tonic) ৫-৭চা চামচ দিনে ১ বার খাওয়াতে হবে। পরবর্তীতে (৭দিন পর) শুধু মিল্ক টনিক যতদিন দুধ দেবে ততদিন পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে চলবে

ডাউনারস্ কাউ সিনড্রম(Downers cow syndrome):
অথবা
গর্ভবতী অবস্থায় গাভী শোয়া অবস্থা থেকে উঠতে না পারলে:

মিল্ক ফিভার এ আক্রান্ত গাভী যথাসময়ে এবং যথাযথভাবে চিকিৎসা না করালে পরবর্তীতে চিকিৎসা করালে ওই গাভী উঠে দাঁড়াতে পারে না।

এটাই ডাউনাস্ কাউ সিনড্রম অথবা কখনও কখনও গর্ভবতী গাভী গর্ভকালীন সময়ে দূর্বলতার কারনে উঠতে ব‍্যর্থ হয়।

কারণ অজ্ঞাত থাকায় প্রচলিত চিকিৎসায় প্রায় শতভাগ ব‍্যর্থতা পরিলক্ষিত হয়।বিধায় নিম্নোক্ত চিকিৎসায় প্রায় শতভাগ সফলতা লাভ করা সম্ভব হয়।

চিকিৎসা:
(১০০ থেকে ১৫০কেজি দৈহিক ওজনের জন্য)
১.প্রোবায়টিক প্লাস (Probiotic Plus)
ব‍্যবহার:
প্রতিবারে ১০০গ্রাম করে দিনে ২ বার খাওয়াতে হবে।

২.ডেক্সট্রোজ পাউডার (Dextrose Powder)
ব‍্যবহার:
প্রতিবারে ১০০গ্রাম দিনে ২বার খাওয়াতে হবে।

৩.এস.আর. লিভার টনিক(S.R.Liver Tonic)
ব‍্যবহার:
প্রতিবারে ৫০-১০০ গ্রাম দিনে ২ বার খাওয়াতে হবে।

দুগ্ধ জ্বর । ( Metabolic diseases)

রোগের প্রাদুর্ভাব :
High yielding Cow are more susceptible, সাধারণত late pregnancy ও বাচ্চা প্রসব এর পর পরই হয়ে থাকে ।

কারন : ( Hypocalcemia)
১. গর্ভাবস্থায় বাচ্চাতে ও দুধের সাথে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম চলে যাওয়া ।
২. খাবারে ক্যালসিয়াম এর অভাব থাকা ।
( Generally blood contains 9-12 mg/dl Ca, when it is below 5 mg/dl cause hypocalcemia that leads to Milk fever)
৩. Vit-D deficiency
৪. Ca: P ratio imbalance

Clinical Sign : (লক্ষন)
– গাভী খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয় / খুব কম খায়।
– গাভী হাটতে চায় না, হাটলেও এলোমেলো পা ফেলে।
– দাড়িয়ে মাথা ঝাকায়।
– জিহ্বা বের হয়ে আসে ও মাথা , পায়ের মাংস পেশী কাপতে থাকে।
– গাভী বুকে ভর করে শুয়ে থাকে ও মাথা পেটের দিকে গুজে রাখে ( Pathognomonic sign)
– দেহের তাপমাত্রা হ্রাস পায় । ( Normal Body temp 101-102°F)
– চোখ বড় বড় করে রাখে ( Most important)
– গাভী অচেতন হয়ে যায় (severe deficiency and final stage e ) ও পেট ফাপা হয় (Bloat)

চিকিৎসা : ( treatment)
1 . Calcium borogluconate ( 20% Ca borogluconate solution)
Cow – 100- 250 mg ( i/v route)
Sheep/ Goat – 30-40 mg ( i/v route)
2. Dextrose saline for overcoming dehydration,

প্রতিকার : ( prevention)
Calcium chloride or Ammonium chloride may be given with concentrate feed within this time,( late pregnancy and after parturation)

মিল্ক ফেবার,হাইপোক্যালসেমিয়া,হাইপারক্যালসেমিয়,হাইপোম্যাগনেসেমিয়া।

মিল্কফেবার ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ সাধারনত বাচ্চা দেবার সপ্তাহ খানেক পুর্ব থেকে সপ্তাহ খানেক পর পর্যন্ত অধিক দূধ উৎপাদনকারী গাভীতে হয়, এছাড়া সার্বক্ষনিক ছায়া জায়গায় থাকা অল্প দুধের গাভীর ও হতে পারে,এ ছাড়া কয়েকটা বাচ্চা দেয়া ৪/৫ মাসের গর্ভবতী গাভীর ও হতে পারে।

যেমন মাগুরা জেলার শিবরাম পুরে প্রানীসম্পদের একজন ভি এফ এ জনাব হাফিজ সাহেবের গাভীর হয়েছিল,ক্যালসিয়াম দেবার সাথে সাথে ভাল হয়ে যায়।
লক্ষনঃ

অতি তীব্র আক্রমনে কখনও তাপমাত্রা ১০৮ ডিগ্রি ফাঃ হতে পারে,তবে তখন গাভী দাড়ানো থাকে এবং প্রচন্ড খিচুনি থাকে।সেক্ষেত্রে এন্টি হিস্টামিন দিয়ে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করে ক্যালসিয়াম দিতে হবে।
সব সময় একটা লক্ষন মনে রাখতে হবে মিলক ফেবার হলে গাভী খাবেনা।(হাইপোক্যালসেমিয়া) যদি গাভী মুখে খায় তা মিল্ক ফেবার নয়।

বর্তমানে এই ভুলটা অহরহ করতে দেখছি,গর্ভবতী গাভীকে অতি মাত্রায় মুখে ক্যালসিয়াম খাওয়ানো হচ্ছে,প্রকৃতপক্ষে গর্ভবতী গাভীর পেটের বাচচা হাড় গঠনে অল্প ক্যালসিয়াম প্রয়োজন যা তারশরীরে থাকে বাইরে থেকে দেয়ার প্রয়োজন নেই।

কিন্তু কিছু চিকিৎসক এই সময় মুখে ক্যালসিয়াম খাওয়ায়। যার ফলে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গাভীর মাংস পেশী থেকে ম্যাগনেসিয়াম টেনে নিয়ে রক্তে ক্যালসিয়াম ওম্যাগনেসিয়ামের অনুপাত রক্ষা করে।

ফলে গাভীর পিট বাকা হয়ে যায়,জয়েন্ট শক্ত ও মাংস পেশী শক্ত হয়ে যায়(হাইপোম্যাগনেসেমিক টিটেনী) ফলে গাভী শুতে পারে না,উঠতে কষ্ট হয়, ফুসফুস শক্ত হয়ে যায়,ফলে নিশ্বাসে কষ্ট হয়,প্রস্রাবের দ্বার দিয়ে অধিক মিউকাস ভাঙ্গে।

গাভী দাত কাটে খাওয়ার রুচি কমে যায়।উঠতে না পারায় চিকিৎসক মনে করে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি আরো ক্যালসিয়াম যোগ করে।ফলে গাভী আর বসেও থাকতে পারেনা রিকামবেন্ট হয়ে যায়।

একবার ও ভাবেনা মালিক কে জিঙ্গাসা করি মুখে ক্যালসিয়াম খাওয়ায়েছে কিনা? গাভীর মিল্ক ফিবারে অনেক সময় গাভী অখাদ্য চাটাচাটি করে,মুখ চপ চপ করে,থর থর করে কাপে বার বার শোয়া উঠা করে পরে অর্ধেক উঠে পড়ে যায়, পরে আর উঠতে পারেনা।

অনেক সময় মিল্ক ফেবার চিকিৎসা দিতে যেয়ে বিলম্ব করে বাঅল্প দেয়(ডাউনারস কাউসিনড্রম) বা বেশী দিয়েও জটিলতা সৃষ্টি করে,মুখে যদি খাওয়া ধরে বুঝতে হবে ক্যালসিয়াম ঘাটতি নেই।

তারপর উঠছে না প্রিডেক্স ইণঃ ও ঘন ডেক্সট্রোজ ইনঃ বাপাউডার াআকারে খাওয়ান সাথে মুখে এ্যামাইনো এসিড ওমিনারেল খাওয়ান।

যদি গর্ভবতী গাভী মুখে খায় বা ডাউনারস কাউ সিনড্রমে উঠতে না পারে,আপনি ক্যালসিয়াম সহ অনেক ঔষধ করে উঠাতে পারেন নি, বিশেষ করে গর্ভবতী গাভীর ক্ষেত্রে,আপনাকে পরামর্শ দেব এই ঔষধ টা ব্যবহার করতে।।

আর অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ব্যবহারে গাভী উঠতে না পারলে ধীরে ধীরে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট দেড় থেকে ২গ্রাম করে শিরায় অথবা চামড়ার নীচে ইনজেকশন করেন, গাভী ভাল হয়ে যাবে,তবে একবারে অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করবেন না।

পয়জনিং অথবা ক্যালসিয়াম ঘাটতি হয়ে ঘাঢ় বাকায়ে যাবে যা ভাল হওয়ার সম্ভবনা কমে যায়।ধৈর্য ধরে সাধনা করতে হবে।জানার আগ্রহ থাকলে মত বিনিময় করতে পারেন, আমি স্বয়ং সম্পুর্ন নয়।

মিল্কফেভার

বিপাকীয় রোগ অন্য কথায় অভাব জনিত রোগ।ক্যালসিয়ামের অভাবে রোগটা দেখা দেয়। সাধারনত অধিক উৎপাদনশীল গাভীতে এই রোগ দেখাদেয়। শরীরে যখন ক্যালসিয়ামের বেশী প্রয়োজন হয়,অথচ উৎপাদন সেই তুলনায় কম হয়,তখন মিল্কফেভার রোগ হয়।

অধিক উৎপাদনশীল বকনা বা গাভীতে সাধারনত গর্ভাবস্হার শেষ পর্যায়ে অথবা বাচ্চা দেবার ২/১ দিনের ভিতর সাধারনত এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যেমন গর্ভাবস্হায় বাচ্চার ডিভলপমেন্টের জন্য অল্প ক্যালসিয়াম প্রয়োজন।

কিন্তু বাচ্চা দেবার পুর্বক্ষনে দুধ উৎপাদন হয়ে ম্যামারী গ্লান্ড ভর্তি হতে থাকে।হঠাৎ দুধ উৎপাদনের কারনে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পড়ে।আবার বাচ্চা দেবার পর পর অধিক দুধ উৎপাদনের কারনে ক্যালসিয়াম ঘাটতি দেখা যায়।
কখনও কখনও অল্প দুধ দেয়া গরু কিন্তু বয়স্কা অর্থাৎ একাধিক বাচ্চা দিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে দুধ দেয়াকালীন বা গর্ভকালীন সময়েও মিল্কফেভার হতে পারে,

একটা গাভী ৪টা বাচ্চা দেবার পর সাড়ে চার মাস গর্ভাবস্হায় বাশ বনে খেতে যেয়ে শুয়েছে আর উঠতে পারে না।

 গাভীটা ২/৩ লিটার করে দুধ দিতো।
তারপর ক্যালসিয়াম দিয়ে সাথে সাথে গরু উঠে ঘরে চলে আসলো,এটা ব্যাতিক্রম তাই তারা প্রথম বিশ্বাস করতে পারিনি, গাভী উঠার পর তাদের বিশ্বাস হল।

 এক জনের ৩/৪ টা দেশী গাভী ছিলো,খুব স্বাস্হ্যবান ৫/৬ লিটার করে দুধ দিতো।

একদিন তার একটা অসুস্হ্য গরু দেখতে গেলাম, যেয়ে উপরের দিকে চেয়ে দেখলাম প্রচুর গাছপালা যার ফলে গরুর গায়ে কখনো রোদ লাগেনা।

আমি বললাম খেয়াল রাখেন আপনার গাভী বাচ্চা দেবার ২/১ দিন আগে পরে মিল্ক ফেবার হতে পারে,যাহোক একদিন খুব ভোরে বউদি আমার বাসায় আসলে আমি যেয়ে চিকিৎসা দিলাম।
এক খামারীর  বাড়ীতে যেয়ে দেখলাম বাড়ীতে কোন সুর্যের আলো ঢুকেনা।

ভাল ভাল গাভী পালে আমি বললাম সতর্ক থাকবেন আপনার গাভীর মিল্কফেভার হতে পারে।কয়েকদিন পর পিন্টু আমাকে বলল ছার আমার ঐ ভাইয়ের গাভী খোড়াচ্ছে বি কিউ হতে পারে,আমি দেখেছি ভাল মনে হচ্ছেনা আপনি একটু চলেন।

আমি বললাম ক্যালসিয়াম সাথে নেও।ও বলল ছার লাগবেন না।আর লাগলে পরে নিয়ে যাবো।

আমি ক্যালসিয়াম নেয়ায়ে পরে গেলাম।যেয়ে দেখি পিন্টু অবাক ছার আপনি বুঝলেন কিভাবে।

একটা গাভী আড়াই লক্ষ টাকা দাম মাটিতে এক পাশে কাত হয়ে শুয়ে ছটফট করছে।সে ১০ মিলি লংগোসোনা দিয়েছে, আমি বললাম ১২ মিলি ডেক্সাভেট দাও,আধা ঘন্টার মধ্যে তাপ ১০২.৫ হবে তখন শিরায় ক্যালসিয়াম দিয়ে দিও।

যাহোক পরে ফোন করে জানালো গাভী ভাল হয়ে গেছে।গাভীর তাপমাত্রা ছিলো ১০৮.৫ ডিগ্রি ফাঃ।

লক্ষনঃ

কম দুধ দেয়া গাভীতে দেখা যায় অস্হিরতা,যা পাই চাটে মালিকের গা খাবার পাত্র ইত্যাদি। অনেক গাভী একবার উঠে একবার শোয় পরে আর উঠতে পারেনা।

যদি কনভালসন বেশী হয় তখন তাপমাত্রা ১০৮ ডিগ্রির উপরে উঠে যায়।

তাছাড়া সাধারনত তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যায়।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য গাভী খাওয়া বন্ধ করে, তবে কম মাত্রায় প্রথমদিকে অখাদ্য দুই একটা খাওয়ার চেষ্টা করে।

চিকিৎসা।

১। ষ্টেরয়েড/ এন্টিহিষ্টামিন
২।ইনঃ এ ডি ই
৩। ক্যালসিয়াম শিরায়।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

বাছুরের ডায়রিয়ার কারণ

Couses of diarrhea in neonatal rumenants ?Bacterial: ?Escherichia coli ?Salmonella spp. ?Campylobacter fecalis ?Campylobacter coli …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »