গাভীর ঋতু চক্র ঃ
গাভীর জননতন্তে একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর যে ধারা বাহিক বিবর্তন সাধিত হয় তাকে ইস্টাস বা ঋতুচক্র বলে। গাভীর ইস্টাস চক্র সাধারনত ২১ দিনে সম্পন্ন হয়
গাভী যৌবন প্রাপ্ত হওয়ার পর গর্ভধারন না করা পর্যন্ত এই চক্র চলতে থাকে। ইস্টাস
চক্র কে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়।
১, প্রো- ইস্ট্রাস, ২, ইস্ট্রাস, ৩, মেট–ইস্ট্রাস,
৪, ডাই–ইস্ট্রাস।
১) প্রো-ইস্ট্রাস পর্ব ঃ গাভীর গরম হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়কে প্রো–ইস্ট্রাস বলে। এ পর্বে গাভীর ডিম্বাশয়ে এক বা একাধিক ডিম্বাকোষ ( ফলিকল) দ্রত বৃদ্ধি পায় এবং ইষ্ট্রোজেন হরমোন ক্ষরণ হয়। ইস্টাস চক্রের ১৮-২০তমদিন হলো প্রো–ইস্টাস।
২,ইস্টাস পর্ব ঃ এ পর্বে গাভী ষাড়ের সাথে মিলনের জন্য প্রস্তত থাকে এবং ইস্টাসের লক্ষন সমূহ প্রকাশ করে। সাধারনত গাভীর ইস্টাস কাল ১৮–২০ ঘন্টা।
৩, মেট –ইস্টাস ঃ এ পর্ব ৩–৫ দিন স্হায়ী হয়। মেট–ইস্টাস পর্বে যে ফলিকল হতে ডিম্ব ক্ষরিত হয় সে ফলিকলে করপাস লুটিয়াম গঠন শুরু হয়। ইস্টাস চক্রের ১–৫ তম দিন হল। মেট –ইস্টাস।
৪, ডাই—ইস্টাস পর্ব ঃ গাভীর ইস্টাস চক্রের মধ্যে এই পর্বটি অধিক দীর্ঘ যা ৫–১৭ দিন হয়ে থাকে । এই পর্বে করপাস লুটিয়াম পরিপক্ক হয় এবং প্রোজেজটেরন হরমোন নিঃসরণ শুরু হয়। গাভী গর্ভবতী হলে পেটে বাচ্চা রাখতে এই হরমোন প্রয়োজন হয়।
গাভী গরম হওয়ার লক্ষন সমূহঃ
প্রজননে স্বার্থ কতা লাভে গাভী কখন গরম হয় সে সম্পর্কে গাভী পালন কারি কে সজাগ থাকতে হবে।
# গাভী খাওয়া আগ্রহ কমে যাবে ও দুধালো গাভীর ক্ষেএে হঠাৎ দুধ কমে যাবে।
# অনেক সময় গাভী ডাকতে থাকবে। তবে অনেক সময় গাভী উচ্চ স্বরে ডাকেনা এবং তাদের গরম হওয়ার সময়টা নীরবে কেটে যায়।
# যৌনিদ্বার ফুলে উঠবে এবং সেখানে থেকে শ্লেষ্মা জাতীয় তরল পদার্থ নির্গত হতে থাকবে।
# গাভী নিজের যৌনদ্বার অন্য যে কোন গরুকে শুকতে বা চাটতে দিবে।
# লেজ নাড়াতে থাকবে এবং ঘনঘন প্রস্রাব করবে।
# গাভী অন্য যে কোন গাভী বা ষাঁড়ের উপর লাফিয়ে উঠতে চেষ্টা করবে ও নিজের উপর অন্য গরুকে লাফিয়ে উঠতে দেবে।
গরম হওয়ার লক্ষন প্রকাশ — এস্ট্রাস শুরু হওয়ার ৮ ম ঘন্টায়।
গাভীর গরম অবস্হা –১৮ ঘন্টা।
গরম অবস্হা শেষের দিকে।
## গাভীকে প্রজনন করার উপযুক্ত সময় ঃ
গাভী গরম হওয়ার ১২—১৮ ঘন্টার মধ্যে পাল দিতে হয়। সাধারন কোন গাভী ভোরে গরম হলে বিকালে প্রজনন করাতে হয়।